শিরোনাম :
Logo ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo খুবিতে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও খুবিসাস আয়োজিত কর্মশালা Logo কচুয়ার পূর্ব বিতারা জামালিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসায় ছাত্রদের সবক প্রদান ও দোয়া মাহফিল Logo গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের খোঁজে ইবিতে মানববন্ধন Logo হাজীগঞ্জ রাজারগাঁও সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩ Logo নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ Logo ইবিতে এম.ফিল, পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo জেলা বিএনপির সভাপতির নামে মিথ্য গুজব ছড়ানের প্রতিবাদে পলাশবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল। Logo ভিপি নুরের ওপর হামলা দেশে সংকটের নতুন মাত্রা যোগ করবে :হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান Logo সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম রফিকের  উপকূলীয় অঞ্চলে সংকট সমাধানে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা

বন্যায় ত্বকের সংক্রামক রোগে সাবধানতা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

স্বাভাবিক অবস্থার যেকোনো নোংরা পানির চেয়েও বন্যার পানি দূষিত এবং সর্বপ্রকারে কলুষিত হয়ে থাকে। তার পরও এই বিষাক্ত দূষিত পানিতেই দুর্গত অঞ্চলের মানুষের চলাফেরা করতে হয়। অনেক সময় নানা কাজে এই পানি ব্যক্তিগত ব্যবহারেরও প্রয়োজন পড়ে। মোটের ওপর এই পানির ছোঁয়া থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত রাখা বন্যাদুর্গত অঞ্চলের মানুষের জন্য অসম্ভব।

এই পানির সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ স্বল্পকালীন হলে হয়তো সে রকম গুরুতর সমস্যা হত না। কিন্তু ক্রমান্বয়ে বেশ কিছুদিন এ রকম চলতে থাকলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন;

  • দাদ বা ছত্রাক সংক্রমণ, যা শরীরের নিচের অংশ যেমন; পায়ের দিকে প্রথমে দেখা দিলেও পরবর্তী সময়ে শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এটা হয় ত্বক বেশিক্ষণ ভেজা থাকার কারণে।
  • ত্বকে দূষিত পানির সংস্পর্শের কারণে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিতে পারে ‘একজিমা’ যাকে চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় ‘কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস’ বলা হয়ে থাকে।
  • বন্যার নোংরা পানির সঙ্গে সংস্পর্শ থেকে ত্বকে ঘটতে পারে জীবাণুর সংক্রমণ, যা থেকে ত্বকে পুঁজযুক্ত গোটার আক্রমণ ঘটে থাকে এবং তা ক্রমান্বয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

উপযুক্ত চিকিৎসা ও অপরিচ্ছন্ন পানি ব্যবহার বন্ধ না হলে এই সমস্যাগুলো জটিলাকার ধারণ করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকার ফলে সংক্রামক রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে।

এ ক্ষেত্রে সর্বপ্রথমেই আসে ‘স্কেবিজ’-এর প্রসঙ্গ, যা কি না অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ এবং অতি দ্রুততার সঙ্গে রোগটি শিশু-যুবক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।

এই রোগটির সর্বপ্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, অন্যান্য অনেক সংক্রামক ব্যাধির মতো এটা একবার সংক্রমিত হলে শরীরে কোনো স্থায়ী বা সাময়িক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি আদৌ সৃষ্টি হয় না। তখন একই ব্যক্তি উপযুক্ত চিকিৎসার পর সেরে গেলেও সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সংস্পর্শে আসলে আবারও সংক্রমিত হয়ে পড়বেন।

‘স্কেবিজ’ রোগটি থেকে মুক্তি পেতে তাই একযোগে এক স্থানে বসবাসরত সবার চিকিৎসা করতে হবে। বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের ত্বকের সুরক্ষায় দরকার এই রোগগুলো সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা।

পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. যাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া
সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডার্মাটোলজি
উত্তরা স্কিন কেয়ার অ্যান্ড লেজার, ঢাকা

news24bd.tv/JP

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

বন্যায় ত্বকের সংক্রামক রোগে সাবধানতা

আপডেট সময় : ০৯:১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪

স্বাভাবিক অবস্থার যেকোনো নোংরা পানির চেয়েও বন্যার পানি দূষিত এবং সর্বপ্রকারে কলুষিত হয়ে থাকে। তার পরও এই বিষাক্ত দূষিত পানিতেই দুর্গত অঞ্চলের মানুষের চলাফেরা করতে হয়। অনেক সময় নানা কাজে এই পানি ব্যক্তিগত ব্যবহারেরও প্রয়োজন পড়ে। মোটের ওপর এই পানির ছোঁয়া থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত রাখা বন্যাদুর্গত অঞ্চলের মানুষের জন্য অসম্ভব।

এই পানির সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ স্বল্পকালীন হলে হয়তো সে রকম গুরুতর সমস্যা হত না। কিন্তু ক্রমান্বয়ে বেশ কিছুদিন এ রকম চলতে থাকলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন;

  • দাদ বা ছত্রাক সংক্রমণ, যা শরীরের নিচের অংশ যেমন; পায়ের দিকে প্রথমে দেখা দিলেও পরবর্তী সময়ে শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এটা হয় ত্বক বেশিক্ষণ ভেজা থাকার কারণে।
  • ত্বকে দূষিত পানির সংস্পর্শের কারণে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিতে পারে ‘একজিমা’ যাকে চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় ‘কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস’ বলা হয়ে থাকে।
  • বন্যার নোংরা পানির সঙ্গে সংস্পর্শ থেকে ত্বকে ঘটতে পারে জীবাণুর সংক্রমণ, যা থেকে ত্বকে পুঁজযুক্ত গোটার আক্রমণ ঘটে থাকে এবং তা ক্রমান্বয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

উপযুক্ত চিকিৎসা ও অপরিচ্ছন্ন পানি ব্যবহার বন্ধ না হলে এই সমস্যাগুলো জটিলাকার ধারণ করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকার ফলে সংক্রামক রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে।

এ ক্ষেত্রে সর্বপ্রথমেই আসে ‘স্কেবিজ’-এর প্রসঙ্গ, যা কি না অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ এবং অতি দ্রুততার সঙ্গে রোগটি শিশু-যুবক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।

এই রোগটির সর্বপ্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, অন্যান্য অনেক সংক্রামক ব্যাধির মতো এটা একবার সংক্রমিত হলে শরীরে কোনো স্থায়ী বা সাময়িক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি আদৌ সৃষ্টি হয় না। তখন একই ব্যক্তি উপযুক্ত চিকিৎসার পর সেরে গেলেও সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সংস্পর্শে আসলে আবারও সংক্রমিত হয়ে পড়বেন।

‘স্কেবিজ’ রোগটি থেকে মুক্তি পেতে তাই একযোগে এক স্থানে বসবাসরত সবার চিকিৎসা করতে হবে। বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের ত্বকের সুরক্ষায় দরকার এই রোগগুলো সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা।

পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. যাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া
সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডার্মাটোলজি
উত্তরা স্কিন কেয়ার অ্যান্ড লেজার, ঢাকা

news24bd.tv/JP