শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত ধর্মালোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “সব ধর্মের মূল মন্ত্র হলো মানবিকতা। সমাজকে সুন্দর করতে হলে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন প্রয়োজন। মানবতাকে প্রাধান্য দেওয়া, পশুত্বচর্চার বিরোধিতা করা—এসব জায়গায় সব ধর্মের মিল আছে। মনুষ্য সমাজে ধর্মচর্চার গুরুত্ব অনেক।”
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রফেসর ড. অরবিন্দ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শাহীনুজ্জামান, অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন এবং ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ এবং বিশেষ আলোচক ছিলেন বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. তপন কুমার রায়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীবৃন্দ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, ছাত্রদল ইবি শাখার আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, ছাত্রশিবির ইবি শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি নূর আলমসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ রায়।
এর আগে, সকাল ১০টায় শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ স্থাপনের মাধ্যমে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর বেলা ১২টায় পূজা ও প্রার্থনা শেষে সকলের মাঝে অমৃতস্বরূপ চরণামৃত ও ফলফলাদির প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এসময় পৌরোহিত্য করবেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, ধর্মালোচনা শেষে দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং বিকেল চারটায় শুরু হয় ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে অংশ নেবেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের প্রভাষক ইন্দ্রানী মোদক, ইসলামীয়া কলেজের প্রভাষক শুক্লা মজুমদার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।