শিরোনাম :
Logo খুলনার কয়রা উপজেলায় বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ: রফিকুল ইসলাম নেতৃত্বে সচেতনতা বৃদ্ধি Logo শ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় ঔষধ জব্দ Logo খুবিতে ‘অন্তঃডিসিপ্লিন হাদি মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট’ উদ্বোধন Logo চলন্ত ট্রেনে সন্তানের জন্ম দিলেন মা Logo ভারতে ঢুকতে গিয়ে আটক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা, অতঃপর… Logo একাত্তরে ভিন্ন অবস্থানে থাকা দল বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে: মির্জা ফখরুল Logo মৃত্যুর আগে স্যোশাল মিডিয়ায় যা লিখেছিলেন জুবিন! Logo চুয়াডাঙ্গায় দুই ভাইকে কুপিয়ে মারল প্রতিপক্ষ Logo সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ Logo সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান: ভারতীয় মদসহ একজন গ্রেফতার

মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দালাই লামার বৈঠক, চীনের উদ্বেগ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:০৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

চীনের পক্ষ থেকে তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা দালাই লামাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গণ্য করা হয়। এবার দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। বুধবার (২১ আগস্ট) নিউইয়র্কে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ওই বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা তিব্বতে মানবাধিকার নিশ্চিতের জন্য আমেরিকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

৮৯ বছর বয়সী দালাই লামার সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের এই বৈঠকের পর চীন আরও ক্ষুব্ধ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ দালাই লামার সাথে যেকোনো দেশের কর্মকর্তাদের যোগাযোগের বিরোধিতা করে থাকে চীন।

তিব্বতে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে ভারতে পাড়ি জমান দালাই লামা। গত জুনে হাঁটুর চিকিৎসার জন্য তিনি নিউইয়র্কে যান। ২০১৭ সালের পর এটি তার প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দালাই লামার সঙ্গে দেখা করতে নিউইয়র্কে গেছেন মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও তিব্বত বিষয়ক বিশেষ সমন্বয়ক আজরা জেয়া। এসময় হোয়াইট হাউসের মানবাধিকার বিষয়ক পরিচালক কেলি রাজুকও তার সঙ্গে যোগ দেন।

ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেনগিয়ু বলেছেন, দালাই লামার সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠক নিয়ে ‘চরম উদ্বিগ্ন চীন’। তিনি দালাই লামার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এসময় আজরা জেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষ থেকে দালাই লামার সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তিব্বতে মানবাধিকার নিশ্চিত করা এবং তাদের নিজস্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে এসময় এক অঙ্গীকার করা হয়। (সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল)

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনার কয়রা উপজেলায় বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ: রফিকুল ইসলাম নেতৃত্বে সচেতনতা বৃদ্ধি

মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দালাই লামার বৈঠক, চীনের উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০৭:৫০:০৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪

চীনের পক্ষ থেকে তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা দালাই লামাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গণ্য করা হয়। এবার দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। বুধবার (২১ আগস্ট) নিউইয়র্কে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ওই বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা তিব্বতে মানবাধিকার নিশ্চিতের জন্য আমেরিকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

৮৯ বছর বয়সী দালাই লামার সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের এই বৈঠকের পর চীন আরও ক্ষুব্ধ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ দালাই লামার সাথে যেকোনো দেশের কর্মকর্তাদের যোগাযোগের বিরোধিতা করে থাকে চীন।

তিব্বতে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে ভারতে পাড়ি জমান দালাই লামা। গত জুনে হাঁটুর চিকিৎসার জন্য তিনি নিউইয়র্কে যান। ২০১৭ সালের পর এটি তার প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দালাই লামার সঙ্গে দেখা করতে নিউইয়র্কে গেছেন মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও তিব্বত বিষয়ক বিশেষ সমন্বয়ক আজরা জেয়া। এসময় হোয়াইট হাউসের মানবাধিকার বিষয়ক পরিচালক কেলি রাজুকও তার সঙ্গে যোগ দেন।

ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেনগিয়ু বলেছেন, দালাই লামার সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠক নিয়ে ‘চরম উদ্বিগ্ন চীন’। তিনি দালাই লামার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এসময় আজরা জেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষ থেকে দালাই লামার সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তিব্বতে মানবাধিকার নিশ্চিত করা এবং তাদের নিজস্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে এসময় এক অঙ্গীকার করা হয়। (সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল)