যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি দ্রুত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারবেন।
ট্রাম্পের এ বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, কিয়েভ কোনো আপসে যেতে প্রস্তুত নয়।
ওয়াশিংটনে সফররত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ের্মাক সাংবাদিকদের জানান, যুদ্ধ শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে পরামর্শ শুনতে রাজি আছি। কিন্তু মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, মুক্তি, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো আপস করব না।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে আগামী সপ্তাহে ন্যাটোর শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ইউক্রেন ইস্যু আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে। এই প্রসঙ্গে ইয়ের্মাকের ওয়াশিংটন সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিতর্কে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, যদি তিনি নির্বাচিত হন, তবে জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই এই যুদ্ধের সমাধান করবেন। যদিও তিনি কীভাবে তা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের প্রধান দুই উপদেষ্টা তাকে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে কিয়েভ সমঝোতায় না এলে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেবে।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণে চারটি অঞ্চল মস্কোকে ছেড়ে দিলে রাশিয়া যুদ্ধের ইতি টানবে। তবে পুতিনের এ শর্ত মেনে নেননি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
যুদ্ধের সমাধানের বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে অ্যান্ড্রি ইয়ের্মাক বলেন, সত্যি বলতে, আমি জানি না। তবে দেখা যাক। এদিকে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগী।