নীলকন্ঠ প্রতিবেদকঃ
চুয়াডাঙ্গায় গাঁজা উদ্ধারের পর মুনসুর আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে বাঁধা দেয়ায় মুনসুর আলীর স্ত্রী মমতা বেগম ও তাদের ছেলে শিতলকেও ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা প্রদান করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুর রহমান তাদেরকে সাজা দেন। সাজাপ্রাপ্ত মুনসুর আলী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হক পাড়ার মৃত গোপাল শেখের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরিন আক্তার, উপ-পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মুনসুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। পরে মুনসুরের দেহ তল্লাশি করে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এদিকে, মুনসুর আলীকে আটকের পর তার স্ত্রী, ছেলে এবং পুত্রবধূ আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের সহযোগিতায় আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি করে তাদের দুজনকে আটক করেন।
পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মুনসুর আলীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং তার স্ত্রী মমতা বেগম ও ছেলে শীতলকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করার অপরাধে ১৫ দিনের সাজা প্রদান করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।