শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ে দেরি বাড়াচ্ছে জটিলতা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:১২:৪৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেক্সঃ

শুধু শহর নয়, প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদে ডেঙ্গু চোখ রাঙালেও মশক নিধনে নেই তেমন কোনো তৎপরতা। অন্যদিকে আক্রান্ত হলেও রোগ নির্ণয়ে দেরি হওয়ায় জটিলতা বাড়ছে অনেক রোগীর।

দেশজুড়ে কয়েক দিন ধরে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আর মৌসুমের এ বৃষ্টিতে শঙ্কা জাগাচ্ছে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের।

ডেঙ্গুর সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় শুরু হয়েছে নানা তৎপরতা। কীটনাশক ছিটিয়ে মশা মারার পাশাপাশি মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। করা হচ্ছে জেল-জরিমানাও। তবে দৃশ্যমান এসব তৎপরতার অধিকাংশই শহরকেন্দ্রিক। ডেঙ্গু কি শুধুই শহুরে রোগ?

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ শতাংশ। অথচ গত বছর এ সময়ে ঢাকার বাইরে রোগী ছিল ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০২২ সালে ছিল ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ ঢাকার বাইরে আক্রান্তের হার বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।

এমন প্রেক্ষাপটে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ঢাকার বাইরে থেকে আসতে শুরু করেছে রোগী, যাদের অধিকাংশই জটিল শারীরিক সমস্যা নিয়ে আসছেন। কারণ রোগ নির্ণয়ে কালক্ষেপণ বলছেন চিকিৎসকরা।

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে আসা রোগীদের অধিকাংশ সময় সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় হয় না। পরে বিষয়টি যখন তারা জানতে পারেন, তখন তারা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শুধু শহরকেন্দ্রিক তৎপরতার মধ্যে না থেকে কাজ করতে হবে দেশব্যাপী।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, আমরা ডেঙ্গু বলতেই বুঝি, ঢাকা শহর! কিন্তু এই ধারণা থেকে সরে আসতে হবে। ২০২৩ সালে মূল ঝুঁকিটা ছিল ঢাকার ২ কোটি মানুষ। আর এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষই ঝুঁকিতে রয়েছেন। সুতরাং আমাদের কারিগরিভাবে সঠিক ও বাস্তবায়নযোগ্য একটি কর্মকৌশল দ্রুত প্রণয়ন করা দরকার। চলতি বছর এরই মধ্যে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজার। মারা গেছেন ৪৪ জন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ে দেরি বাড়াচ্ছে জটিলতা

আপডেট সময় : ১২:১২:৪৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

অনলাইন ডেক্সঃ

শুধু শহর নয়, প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদে ডেঙ্গু চোখ রাঙালেও মশক নিধনে নেই তেমন কোনো তৎপরতা। অন্যদিকে আক্রান্ত হলেও রোগ নির্ণয়ে দেরি হওয়ায় জটিলতা বাড়ছে অনেক রোগীর।

দেশজুড়ে কয়েক দিন ধরে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আর মৌসুমের এ বৃষ্টিতে শঙ্কা জাগাচ্ছে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের।

ডেঙ্গুর সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় শুরু হয়েছে নানা তৎপরতা। কীটনাশক ছিটিয়ে মশা মারার পাশাপাশি মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। করা হচ্ছে জেল-জরিমানাও। তবে দৃশ্যমান এসব তৎপরতার অধিকাংশই শহরকেন্দ্রিক। ডেঙ্গু কি শুধুই শহুরে রোগ?

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ শতাংশ। অথচ গত বছর এ সময়ে ঢাকার বাইরে রোগী ছিল ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০২২ সালে ছিল ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ ঢাকার বাইরে আক্রান্তের হার বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।

এমন প্রেক্ষাপটে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ঢাকার বাইরে থেকে আসতে শুরু করেছে রোগী, যাদের অধিকাংশই জটিল শারীরিক সমস্যা নিয়ে আসছেন। কারণ রোগ নির্ণয়ে কালক্ষেপণ বলছেন চিকিৎসকরা।

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে আসা রোগীদের অধিকাংশ সময় সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় হয় না। পরে বিষয়টি যখন তারা জানতে পারেন, তখন তারা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শুধু শহরকেন্দ্রিক তৎপরতার মধ্যে না থেকে কাজ করতে হবে দেশব্যাপী।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, আমরা ডেঙ্গু বলতেই বুঝি, ঢাকা শহর! কিন্তু এই ধারণা থেকে সরে আসতে হবে। ২০২৩ সালে মূল ঝুঁকিটা ছিল ঢাকার ২ কোটি মানুষ। আর এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষই ঝুঁকিতে রয়েছেন। সুতরাং আমাদের কারিগরিভাবে সঠিক ও বাস্তবায়নযোগ্য একটি কর্মকৌশল দ্রুত প্রণয়ন করা দরকার। চলতি বছর এরই মধ্যে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজার। মারা গেছেন ৪৪ জন।