বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত

মমতার বাগড়ায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

তিস্তার মতো গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাবের কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে খোদ তার নিজের রাজ্যজুড়ে। তৃণমূল নেত্রীর এমন মনোভাবে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন মমতার রাজ্যের বর্ষীয়ান সাংবাদিকরা।

২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে নাম ঘোষণার পর বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফর বাতিলের কারণ তিস্তা চুক্তিতে তার সায় না থাকা।

২০১১ থেকে ২০২৪। গেল প্রায় ১৩ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। বাংলাদেশের অধিকার থাকলেও সেই পানির ন্যায্য ভাগও পায়নি ভাটির দেশের লাখ লাখ মানুষ। যার ফল স্বরূপ উত্তরবঙ্গে কখনো বন্যা, কখনো তীব্র খরা।

তিস্তার বাগড়া দেয়ার পর এবার পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধানের নজর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির নবায়নের দিকেও। লোকসভা ভোটের সময় মুর্শিদাবাদে প্রচারে গিয়ে ফারাক্কার ব্যারাজ লাগোয়া মানুষকে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। আর এবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সরাসরি তিস্তা-গঙ্গা চুক্তি নিয়ে রণংদেহী রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী।

এতেই মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে যারা কাজ করেন, সেই বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই ধরনের আচরণ প্রতিবেশী দুই দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ভারতীয় বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, মমতা নিজে মনে করছেন তিনি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনিই একজন প্রধানমন্ত্রী। তার এই চিন্তা-ভাবনা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি ভেস্তে দেয়ার পেছনে মমতার অবস্থানের সমালোচনা করেন। বলেন, তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন তিনবার মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝাতে এসেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু মমতা বোঝেননি।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মমতার চরম বৈরি সম্পর্ক। বিশেষ করে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর থেকে যেভাবে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার অভিযান শুরু করেছে।

একের পর এক মমতার মন্ত্রী, নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সঙ্গে রেশন, সরকারি বাড়ি বরাদ্দসহ নানা সরকারি চাকরি চুরির কারণে মমতা সরকারকে কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য বন্ধ রাখার মতো কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে মোদি প্রশাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির সঙ্গে নেতিবাচক সম্পর্কের কারণেই গঙ্গা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মমতার কঠোর অবস্থান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

মমতার বাগড়ায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা

আপডেট সময় : ১২:০৩:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

তিস্তার মতো গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাবের কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে খোদ তার নিজের রাজ্যজুড়ে। তৃণমূল নেত্রীর এমন মনোভাবে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন মমতার রাজ্যের বর্ষীয়ান সাংবাদিকরা।

২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে নাম ঘোষণার পর বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফর বাতিলের কারণ তিস্তা চুক্তিতে তার সায় না থাকা।

২০১১ থেকে ২০২৪। গেল প্রায় ১৩ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। বাংলাদেশের অধিকার থাকলেও সেই পানির ন্যায্য ভাগও পায়নি ভাটির দেশের লাখ লাখ মানুষ। যার ফল স্বরূপ উত্তরবঙ্গে কখনো বন্যা, কখনো তীব্র খরা।

তিস্তার বাগড়া দেয়ার পর এবার পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধানের নজর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির নবায়নের দিকেও। লোকসভা ভোটের সময় মুর্শিদাবাদে প্রচারে গিয়ে ফারাক্কার ব্যারাজ লাগোয়া মানুষকে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। আর এবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সরাসরি তিস্তা-গঙ্গা চুক্তি নিয়ে রণংদেহী রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী।

এতেই মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে যারা কাজ করেন, সেই বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই ধরনের আচরণ প্রতিবেশী দুই দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ভারতীয় বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, মমতা নিজে মনে করছেন তিনি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনিই একজন প্রধানমন্ত্রী। তার এই চিন্তা-ভাবনা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি ভেস্তে দেয়ার পেছনে মমতার অবস্থানের সমালোচনা করেন। বলেন, তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন তিনবার মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝাতে এসেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু মমতা বোঝেননি।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মমতার চরম বৈরি সম্পর্ক। বিশেষ করে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর থেকে যেভাবে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার অভিযান শুরু করেছে।

একের পর এক মমতার মন্ত্রী, নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সঙ্গে রেশন, সরকারি বাড়ি বরাদ্দসহ নানা সরকারি চাকরি চুরির কারণে মমতা সরকারকে কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য বন্ধ রাখার মতো কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে মোদি প্রশাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির সঙ্গে নেতিবাচক সম্পর্কের কারণেই গঙ্গা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মমতার কঠোর অবস্থান।