শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় আজ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:৩৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় আজ বুধবার ঘোষণা করবে ভারতের লখনউয়ের বিশেষ আদালত। ভারতীয় সময় দশটা নাগাদ এই রায় দেয়ার কথা আদালতের।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত। যে ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি-র প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর জোশী, কল্যাণ সিং, উমা ভারতী সহ ৩২ জন। লখনউয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব বেলা ১০টা নাগাদ এই রায় দেবেন।

আগে আদালতের নির্দেশ ছিল আদভানি, জোশী, কল্যাণ সিং, উমা ভারতীদের সশরীরে আদালতকক্ষে হাজির থাকতে হবে। কিন্তু বয়সের কথা ভেবে ৯০ পার হয়ে যাওয়া আদভানি ও ৮৬ বছর বয়সী মুরলী মনোহর জোশী জানিয়েছেন, তারা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। উমা ভারতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে এইমসে ভর্তি। কল্যাণ সিং-ও অসুস্থ। তারা কেউই আদালতে থাকবেন না।

তবে আদভানি, জোশী, কল্যাণ সিংয়ের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারেন। বাকিরা আদালতে হাজির থাকবেন।

বাবরি মসজিদ যখন ভাঙা হয়, তখন কল্যাণ সিং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আদভানি, জোশী ও উমা ভারতী ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় ছিলেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা বাবরি মসজিদ ভাঙার চক্রান্ত করেছিলেন এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের চেষ্টা করেছিলেন। বাবরি মসজিদ ভাঙার পর দাঙ্গায় সারা দেশে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন।

উমা ভারতী ইতোমধ্যে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে জেলে যেতে হলে তিনি জামিনের আবেদন করবেন না।

লখনউয়ের আদালতকক্ষে প্রবল নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ও তাদের আইনজীবী ছাড়া কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। রায় যাই হোক না কেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী হতে বাধ্য বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। ডয়চে ভেলে

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় আজ

আপডেট সময় : ১১:৩৪:৩৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় আজ বুধবার ঘোষণা করবে ভারতের লখনউয়ের বিশেষ আদালত। ভারতীয় সময় দশটা নাগাদ এই রায় দেয়ার কথা আদালতের।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত। যে ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি-র প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর জোশী, কল্যাণ সিং, উমা ভারতী সহ ৩২ জন। লখনউয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব বেলা ১০টা নাগাদ এই রায় দেবেন।

আগে আদালতের নির্দেশ ছিল আদভানি, জোশী, কল্যাণ সিং, উমা ভারতীদের সশরীরে আদালতকক্ষে হাজির থাকতে হবে। কিন্তু বয়সের কথা ভেবে ৯০ পার হয়ে যাওয়া আদভানি ও ৮৬ বছর বয়সী মুরলী মনোহর জোশী জানিয়েছেন, তারা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। উমা ভারতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে এইমসে ভর্তি। কল্যাণ সিং-ও অসুস্থ। তারা কেউই আদালতে থাকবেন না।

তবে আদভানি, জোশী, কল্যাণ সিংয়ের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারেন। বাকিরা আদালতে হাজির থাকবেন।

বাবরি মসজিদ যখন ভাঙা হয়, তখন কল্যাণ সিং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আদভানি, জোশী ও উমা ভারতী ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় ছিলেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা বাবরি মসজিদ ভাঙার চক্রান্ত করেছিলেন এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের চেষ্টা করেছিলেন। বাবরি মসজিদ ভাঙার পর দাঙ্গায় সারা দেশে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন।

উমা ভারতী ইতোমধ্যে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে জেলে যেতে হলে তিনি জামিনের আবেদন করবেন না।

লখনউয়ের আদালতকক্ষে প্রবল নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ও তাদের আইনজীবী ছাড়া কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। রায় যাই হোক না কেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী হতে বাধ্য বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। ডয়চে ভেলে