নিউজ ডেস্ক:
মহামারী ও প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটি পুণরায় দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইজিবাইক ও রিক্সা চলাচল বন্ধের গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর আন্দুলবাড়ীয়া বাজারে লকডাউনের ঘোষণা করে বাজার এলাকায় সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদের নির্দেশে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল ইসলাম ও ওসি তদন্ত ফেরদৌস ওয়াহিদ জনসচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণা চালান।
সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন যাবত স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে জীবননগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আন্দুলবাড়ীয়া বাজারে অধিকাংশ ব্যবসায়ীগণ প্রকাশ্যে দিনেদুপুরে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছিলেন। আইন, শৃংখলা ভঙ্গের অপরাধে ৩ জন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে আটক করেন জীবননগর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গতকাল রোববার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক অভিযান চালান। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল সকাল সাড়ে দশটায় আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের সরকার প্লাজায় অবস্থিত মেসার্স আমিনা ফ্যাশান হাউজ, বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে সাদিদ ফ্যাশান হাউজে ও কাঁচা বাজারের ভিতরে টিনসেডে খোলা বাজারে কাপড়পট্রিতে মফিজুলের বিভিন্ন পোষাক-কাপড়ের দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান চলাকালীন তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা তরিকুল ইসলাম তারিক, জহির উদ্দীন ও মফিজুল হককে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল ইসলামের নির্দেশে শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সোলাইমান হোসেন, টু-আইসি এএসআই আব্দুল হামিদ ও জীবননগর থানার পুলিশ ফিরোজ, কালাম ও মোস্তাফিজুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স তাদেরকে আটক করেন এবং আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের সুপারিশে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর দিয়ে মুক্তি দেন।
আন্দুলবাড়ীয়া বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে করোনা ভাইরাস প্রতিরেধে এ অভিযান পরিচালিত হওয়ায় সচেতন এলাকাবাসী জীবননগর থানা পুলিশকে ভূয়সী প্রশংসা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সেই সাথে এ অভিযান অব্যাহত রাখার আহবান জানান এলাকাবাসী।