শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারীর চমকপ্রদ কিছু তথ্য !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৪০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৮০৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারী মিসরীয় নাগরিক ইমান আহমেদের দেহের ওজন এখন ৫০০ কেজি! চিকিৎসকরা বলেছেন, বেঁচে থাকতে চাইলে তার দেহের ওজন কমাতে হবেই। সম্প্রতি ৩৬ বছর বয়সী এ নারী ভারতে গেছেন তার দেহের ওজন কমানোর জন্য। আর তার দেহের পরিস্থিতিও যথেষ্ট জটিল। বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারীর চমকপ্রদ কিছু তথ্য জেনে নিন-

১. ইমান আহমেদের ওজন জন্মের সময় পাঁচ কেজি ছিল। তবে ১১ বছর বয়সে তার ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ক্লাস ফাইভে থাকার সময়ে তিনি থাইরয়েডের সমস্যায় স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন।
২. ওজন বাড়তে থাকায় তিনি অল্প বয়সেই হাঁটতে অক্ষম হয়ে পড়েন। এরপর থেকে তিনি শুধু হামাগুড়ি দিতে পারেন।
৩. ২০১৪ সালে তার দেহের ওজন দাঁড়ায় ৩০০ কেজিতে। তার দেহের কোলস্টেরলের মাত্রাও অনেক বেড়ে যায় এবং স্ট্রোকেরও শিকার হন। ২০১৬ সালে তার দেহের ওজন পাঁচ শ কেজিতে দাঁড়ায়। টাইপ টু ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয় তার।
৪. ইমান আহমেদের নানা জটিলতার কারণে ওজন হ্রাসের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় তার বোন সায়মা অর্থ সংগ্রহের জন্য অনলাইনে ক্যাম্পেইন করেন।
৫. চিকিৎসার জন্য ভারতের ভিসা সংগ্রহের কাজে প্রাথমিকভাবে তিনি ব্যর্থ হন। এরপর অবশ্য ভারতীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের হস্তক্ষেপে তার ভিসাপ্রাপ্তি ঘটে বলে জানা যায়।
৬. ভারতে যাওয়া মোটেই সহজ ছিল না ইমান আহমেদের। কারণ তিনি বিমানের সিটে বসতে অক্ষম। এ ছাড়া তার দেহের ওজনও বহনে রাজি ছিল না বিমান কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ইজিপ্টএয়ারের একটি এয়ারবাস ৩০০-৬০০ ফ্লাইটকে কিছুটা পরিবর্তিত করে তাকে বহন করার উপযোগী করা হয়।
৭. মুম্বাইয়ের বিমানবন্দরে নেমে সাইফি হাসপাতালে যাওয়াও সহজ ছিল না তার পক্ষে। কারণ অ্যাম্বুলেন্স কিংবা অন্যান্য গাড়িতে তার জায়গা হচ্ছিল না। তাই তার জন্য একটি খোলা ট্রাকের ব্যবস্থা করা হয়। এ ট্রাকে করে তিনি হাসপাতালে যান।
৮. হাসপাতালে তার জন্য একটি বিশেষ কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। তাকে যে কক্ষে রাখা হয়েছে, তা আগে অ্যাকাউন্ট অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে চিকিৎসকরা তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর তার চিকিৎসা শুরু হবে বলে জানা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারীর চমকপ্রদ কিছু তথ্য !

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৪০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারী মিসরীয় নাগরিক ইমান আহমেদের দেহের ওজন এখন ৫০০ কেজি! চিকিৎসকরা বলেছেন, বেঁচে থাকতে চাইলে তার দেহের ওজন কমাতে হবেই। সম্প্রতি ৩৬ বছর বয়সী এ নারী ভারতে গেছেন তার দেহের ওজন কমানোর জন্য। আর তার দেহের পরিস্থিতিও যথেষ্ট জটিল। বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারীর চমকপ্রদ কিছু তথ্য জেনে নিন-

১. ইমান আহমেদের ওজন জন্মের সময় পাঁচ কেজি ছিল। তবে ১১ বছর বয়সে তার ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ক্লাস ফাইভে থাকার সময়ে তিনি থাইরয়েডের সমস্যায় স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন।
২. ওজন বাড়তে থাকায় তিনি অল্প বয়সেই হাঁটতে অক্ষম হয়ে পড়েন। এরপর থেকে তিনি শুধু হামাগুড়ি দিতে পারেন।
৩. ২০১৪ সালে তার দেহের ওজন দাঁড়ায় ৩০০ কেজিতে। তার দেহের কোলস্টেরলের মাত্রাও অনেক বেড়ে যায় এবং স্ট্রোকেরও শিকার হন। ২০১৬ সালে তার দেহের ওজন পাঁচ শ কেজিতে দাঁড়ায়। টাইপ টু ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয় তার।
৪. ইমান আহমেদের নানা জটিলতার কারণে ওজন হ্রাসের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় তার বোন সায়মা অর্থ সংগ্রহের জন্য অনলাইনে ক্যাম্পেইন করেন।
৫. চিকিৎসার জন্য ভারতের ভিসা সংগ্রহের কাজে প্রাথমিকভাবে তিনি ব্যর্থ হন। এরপর অবশ্য ভারতীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের হস্তক্ষেপে তার ভিসাপ্রাপ্তি ঘটে বলে জানা যায়।
৬. ভারতে যাওয়া মোটেই সহজ ছিল না ইমান আহমেদের। কারণ তিনি বিমানের সিটে বসতে অক্ষম। এ ছাড়া তার দেহের ওজনও বহনে রাজি ছিল না বিমান কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ইজিপ্টএয়ারের একটি এয়ারবাস ৩০০-৬০০ ফ্লাইটকে কিছুটা পরিবর্তিত করে তাকে বহন করার উপযোগী করা হয়।
৭. মুম্বাইয়ের বিমানবন্দরে নেমে সাইফি হাসপাতালে যাওয়াও সহজ ছিল না তার পক্ষে। কারণ অ্যাম্বুলেন্স কিংবা অন্যান্য গাড়িতে তার জায়গা হচ্ছিল না। তাই তার জন্য একটি খোলা ট্রাকের ব্যবস্থা করা হয়। এ ট্রাকে করে তিনি হাসপাতালে যান।
৮. হাসপাতালে তার জন্য একটি বিশেষ কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। তাকে যে কক্ষে রাখা হয়েছে, তা আগে অ্যাকাউন্ট অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে চিকিৎসকরা তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর তার চিকিৎসা শুরু হবে বলে জানা যায়।