দর্শনা-জীবননগর সড়কে পাখিভ্যানকে বালি ভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কা
নিউজ ডেস্ক:দর্শনা-জীবননগর সড়কে বালি ভর্তি ট্রাক্টরের সঙ্গে পাখিভ্যানের সংঘর্ষে পাখিভ্যানের চালক নিহত হয়েছেন। নিহত ভ্যানচালক জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের শিংনগর গ্রামের মসজিদ পাড়ার সুরমান আলী ওরফে পয়মলের ছেলে সাগর ওরফে মনু (৩৫)। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের গাঙপাড়ার আব্বাস আলীর লাইসেন্সবিহীন ট্রাক্টরচালক দামুড়হুদার ফারুকের ছেলে আমজাদ হোসেন (২৫) গতকাল সন্ধ্যায় দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর ছটাংগা মাঠ থেকে বালি ভর্তি করে বেপরোয়া গতিতে জীবননগর চ্যাংখালীর উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। এ সময় দর্শনা ফিলিং স্টেশনের অদূরে ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের সামনে পৌছে ট্রাক্টরটি একটি পাখিভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পাখিভানের চালক জীবননগর উপজেলার শিংনগর গ্রামের সাগর ওরফে মনু। দুর্ঘটনার পর ট্রাক্টরের চালক ট্রাক্টরটি ফেলে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহাবুবুর রহমান দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে নিহত মনুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে বেগমপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘাতক ট্রাক্টরটি জব্দ করে।
এ বিষয়ে দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ কর্মকতা (ওসি) শেখ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যেহেতু ঘটনাস্থল সদর থানার ভেতরে, তারপরও আমি দ্রুত নিহতের লাশ উদ্ধার করে দর্শনার একটি স্থানীয় ক্লিনিকের সামনে নিয়ে চিকিৎসককে দেখায় এবং সড়কটি চলাচলের উপযোগী করি। ঘাতক ট্রাক্টর চালক পলাতক থাকলেও ট্রাক্টরটি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’