শিরোনাম :
Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম Logo বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী Logo এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বিসিবির Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ ফখরের Logo নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ভারত Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বন্দুকযুদ্ধে রোকন নিহত : এলজি-কার্তুজ-ফেন্সিডিল উদ্ধার

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৪১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০১৯
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদার কাঠালতলায় মধ্যরাতে দুই দল মাদকব্যবসায়ী-পুলিশের ত্রিমুখী গুলির লড়াই

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা গ্রামে পুলিশ ও দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে রোকন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই গ্রামের একটি বাঁশবাগানে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, নিহত রোকন মাদক ব্যবসায়ী ও শীর্ষ ডাকাত। সে দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুরের আবু বক্কর সিদ্দীকের ছেলে। তার নামে মাদক, চোরাচালান, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), দুইটি কার্তুজ, একবস্তা ফেনসিডিল ও দুইটি রাম’দা উদ্ধারের দাবিও করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা এলাকার করিম মন্ডলের বাঁশবাগানে দুই দল সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টনের নেতৃত্বে একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌছায়। এ সময় দুই পক্ষই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। শুরু হয় পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধ। প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী গুলিবিনিময়ের পর মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রোকন নামে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশীয় এলজি, দুইটি কার্তুজ, একবস্তা ফেনসিডিল ও দুইটি রাম’দা। দ্রুত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ রোকনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস সময়ের সমীকরণকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দুই দল সন্ত্রাসী বা মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ওই মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত রোকন নিহত হয়েছেন। তাঁর নামে মাদক ও চোরাচালানের ৪টি, ডাকাতি ৩টি, অপহরণ ১টি, চাঁদাবাজি ১টিসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

বন্দুকযুদ্ধে রোকন নিহত : এলজি-কার্তুজ-ফেন্সিডিল উদ্ধার

আপডেট সময় : ১১:৪০:৪১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০১৯

দামুড়হুদার কাঠালতলায় মধ্যরাতে দুই দল মাদকব্যবসায়ী-পুলিশের ত্রিমুখী গুলির লড়াই

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা গ্রামে পুলিশ ও দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে রোকন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই গ্রামের একটি বাঁশবাগানে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, নিহত রোকন মাদক ব্যবসায়ী ও শীর্ষ ডাকাত। সে দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুরের আবু বক্কর সিদ্দীকের ছেলে। তার নামে মাদক, চোরাচালান, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), দুইটি কার্তুজ, একবস্তা ফেনসিডিল ও দুইটি রাম’দা উদ্ধারের দাবিও করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা এলাকার করিম মন্ডলের বাঁশবাগানে দুই দল সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টনের নেতৃত্বে একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌছায়। এ সময় দুই পক্ষই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। শুরু হয় পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধ। প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী গুলিবিনিময়ের পর মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রোকন নামে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশীয় এলজি, দুইটি কার্তুজ, একবস্তা ফেনসিডিল ও দুইটি রাম’দা। দ্রুত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ রোকনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস সময়ের সমীকরণকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দুই দল সন্ত্রাসী বা মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ওই মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত রোকন নিহত হয়েছেন। তাঁর নামে মাদক ও চোরাচালানের ৪টি, ডাকাতি ৩টি, অপহরণ ১টি, চাঁদাবাজি ১টিসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।’