বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্রে এবার খাবার পৌঁছে দেবে রোবট!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেনা ছাউনিতে জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হবে রোবট। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।যেসব সেনা ছাউনিতে জিনিসপত্র পৌঁছাতে অসুবিধা হয়, অথচ শত্রুপক্ষের হাত থেকে বাঁচতে একচুলও নড়তে পারে না সেনা সদস্যরা, রোবটই সেখানে পৌঁছে দেবে রেশন বা অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস।

দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মেশিন-মানবেরা ৫০ কেজি পর্যন্ত ওজনের জিনিস বহন করতে পারবে। -৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও দৌড়বে সেই রোবট। ২১০০০ ফুট উচ্চতায় এদের ব্যবহার করা যাবে সহজেই। বরফে মোড়া রাস্তাতেই তাদের কোন অসুবিধা হবে না। এই রোবট ভারতীয় সেনায় এলে স্বাভাবিকভাবেই সেনাবাহিনীর অনেকটাই উপকার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দেশটির সীমান্তে সিয়াচেন সহ একাধিক জায়গায় প্রবল উচ্চতায় মোতায়েন করা রয়েছে সেনাবাহিনী। সেইসব সেনা ঘাঁটি এতটাই উঁচুতে যে কোন গাড়ি সেখানে পৌঁছতে পারে না। সিয়াচেন বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্রের খ্যাতিও পেয়েছে। আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যেই এই প্রজেক্ট শেষ করার ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমের দেশগুলির সেনাবাহিনী থেকেই এসেছে এই পরিকল্পনা। আপাতত ১২ হাজার কুলি ও ৫০০ খচ্চর এই জিনিস পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। কিন্তু এই পন্থা অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ। আবহাওয়ার উপরও নির্ভর করতে হয়। পাশাপাশি, শত্রুদের আশেপাশে হওয়ায় হামলার আশঙ্কাও থাকে ওই সব এলাকায়। কিন্তু কুয়াশা হোক কিংবা বরফ, সব জায়গাতেই কাজ করতে পারবে রোবট।

সিয়াচেনে থাকা এক সেনা অফিসারের কথায়, ‘খারাপ আবহাওয়ায় উড়তে পারে না এয়ারক্রাফট কিংবা চপার। কাজ করতে পারে না খচ্চরও। যদি এক্ষেত্রে রোবটকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে সত্যিই খুব উপকার হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্রে এবার খাবার পৌঁছে দেবে রোবট!

আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেনা ছাউনিতে জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হবে রোবট। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।যেসব সেনা ছাউনিতে জিনিসপত্র পৌঁছাতে অসুবিধা হয়, অথচ শত্রুপক্ষের হাত থেকে বাঁচতে একচুলও নড়তে পারে না সেনা সদস্যরা, রোবটই সেখানে পৌঁছে দেবে রেশন বা অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস।

দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মেশিন-মানবেরা ৫০ কেজি পর্যন্ত ওজনের জিনিস বহন করতে পারবে। -৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও দৌড়বে সেই রোবট। ২১০০০ ফুট উচ্চতায় এদের ব্যবহার করা যাবে সহজেই। বরফে মোড়া রাস্তাতেই তাদের কোন অসুবিধা হবে না। এই রোবট ভারতীয় সেনায় এলে স্বাভাবিকভাবেই সেনাবাহিনীর অনেকটাই উপকার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দেশটির সীমান্তে সিয়াচেন সহ একাধিক জায়গায় প্রবল উচ্চতায় মোতায়েন করা রয়েছে সেনাবাহিনী। সেইসব সেনা ঘাঁটি এতটাই উঁচুতে যে কোন গাড়ি সেখানে পৌঁছতে পারে না। সিয়াচেন বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্রের খ্যাতিও পেয়েছে। আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যেই এই প্রজেক্ট শেষ করার ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমের দেশগুলির সেনাবাহিনী থেকেই এসেছে এই পরিকল্পনা। আপাতত ১২ হাজার কুলি ও ৫০০ খচ্চর এই জিনিস পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। কিন্তু এই পন্থা অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ। আবহাওয়ার উপরও নির্ভর করতে হয়। পাশাপাশি, শত্রুদের আশেপাশে হওয়ায় হামলার আশঙ্কাও থাকে ওই সব এলাকায়। কিন্তু কুয়াশা হোক কিংবা বরফ, সব জায়গাতেই কাজ করতে পারবে রোবট।

সিয়াচেনে থাকা এক সেনা অফিসারের কথায়, ‘খারাপ আবহাওয়ায় উড়তে পারে না এয়ারক্রাফট কিংবা চপার। কাজ করতে পারে না খচ্চরও। যদি এক্ষেত্রে রোবটকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে সত্যিই খুব উপকার হবে।