ঝিনাইদহে বাবা-ছেলে একসাথে পাস করলেন জেডিসি পরীক্ষায়

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:২৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ থেকে, জাহিদুর রহমান তারিকঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পিতা-পুত্র জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে। উপজেলার খামারমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদরাসা থেকে তারা এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তারা উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের খামারমুন্দিয়া গ্রামের বাবলু হোসেন ও তার ছেলে মেহেদি হাসান। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে বাবা বাবলুর রহমান পেয়েছে জিপিএ ২.৭২ এবং ছেলে মেহেদী হাসান পেয়েছে জিপিএ ২.০৬। বাবুল হোসেন জানান, শিক্ষার কোন বয়স নেই। এছাড়া আমার অনেক দিনের ইচ্ছা আলেম হওয়া। যে কারনে আমি ছেলের সাথে জেডিসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। এ পরীক্ষায় পাশ করলে দাখিল ও আলিম পরীক্ষা দিয়ে যতদুর সম্ভব পড়তে চাই। সে আরো জানাই, ১৯৯৫ সালে দেশে প্রচলিত সাধারন শিক্ষায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করি। এরপর এইচএসসি ভর্তি হয় কিন্তু সাংসারিক চাপের কারনে আর লেখা-পড়া হয়নি। তারপর থেকে আমার ইচ্ছা ছিল একদিন না একদিন লেখা-পড়া শেষ করবো। সেই ইচ্ছা থেকে এবার জেডিসি পরীক্ষা দিয়ে শুরু করলাম। মাদরাসা সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, বাবুল হোসেন বলেছিল সার্টিফিকেটের জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য আমি পড়তে চাই। যে কারনে আমি তাকে সুযোগ করে দিয়েছিলাম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে বাবা-ছেলে একসাথে পাস করলেন জেডিসি পরীক্ষায়

আপডেট সময় : ১০:৫৫:২৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ঝিনাইদহ থেকে, জাহিদুর রহমান তারিকঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পিতা-পুত্র জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে। উপজেলার খামারমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদরাসা থেকে তারা এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তারা উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের খামারমুন্দিয়া গ্রামের বাবলু হোসেন ও তার ছেলে মেহেদি হাসান। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে বাবা বাবলুর রহমান পেয়েছে জিপিএ ২.৭২ এবং ছেলে মেহেদী হাসান পেয়েছে জিপিএ ২.০৬। বাবুল হোসেন জানান, শিক্ষার কোন বয়স নেই। এছাড়া আমার অনেক দিনের ইচ্ছা আলেম হওয়া। যে কারনে আমি ছেলের সাথে জেডিসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। এ পরীক্ষায় পাশ করলে দাখিল ও আলিম পরীক্ষা দিয়ে যতদুর সম্ভব পড়তে চাই। সে আরো জানাই, ১৯৯৫ সালে দেশে প্রচলিত সাধারন শিক্ষায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করি। এরপর এইচএসসি ভর্তি হয় কিন্তু সাংসারিক চাপের কারনে আর লেখা-পড়া হয়নি। তারপর থেকে আমার ইচ্ছা ছিল একদিন না একদিন লেখা-পড়া শেষ করবো। সেই ইচ্ছা থেকে এবার জেডিসি পরীক্ষা দিয়ে শুরু করলাম। মাদরাসা সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, বাবুল হোসেন বলেছিল সার্টিফিকেটের জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য আমি পড়তে চাই। যে কারনে আমি তাকে সুযোগ করে দিয়েছিলাম।