ডায়াবেটিস নির্মূল করা না গেলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে: সিভিল সার্জন
নিউজ ডেস্ক:“ডায়াবেটিস প্রতিটি পরিবারের উদ্বেগ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতেও বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে। নভো নরডিক্সের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতি দিবসটি পালন করে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও একই স্থানে এসে শেষ হয় র্যালিটি। এরপর ডায়াবেটিস হাসপাতাল চত্ত্বরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতি ও জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শামশুজ্জোহা, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মালিক, কার্যনির্বাহী সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ও ডা. মিজানুর রহমান। এসময় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. রফিকুল ইসলাম ও ডা. নাহিদ ফাতেমা রতœাসহ সমিতির আজীবন সদস্য ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে ডায়াবেটিস সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট (মেডিসিন) পরিতোষ কুমার ঘোষ, সিনিয়র কনসাল্টেন্ট (মেডিসিন) ডা. আবুল হোসেন, গাইনি কনসাল্টেন্ট ডা. হোসনা জারী তাহমিনা আখিঁসহ মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ছাত্রী-স্টাফ নার্স ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ডায়াবেটিস থেকে রক্ষার জন্য প্রতিদিন ওষুধ খেতে হবে না কারোর, শুধু সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাত্রায়। ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য আপনি আপনার বাসায় এই নিয়মগুলো মেনে চলুন, আশা করা যায়, অতি দ্রুতই আপনি দুঃশ্চিন্তামুক্ত, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন। খালি পেটে ফলের রস পান করা, কিংবা ফল খাওয়া ডায়াবেটিস রোধে খুবই কার্যকর। তবে দেখা গেছে, স্বাদে তিতা ফলের রস খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে করোল্লা বা উচ্ছা জাতীয় খাবার সাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এগুলো জুস বা ভাঁজি করে খাওয়া যেতে পারে। এজন্য অবশ্য আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকা পরিবর্তনের দরকার হবেনা। ডায়াবেটিস নির্মূল করা না গেলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এজন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট (মেডিসিন) পরিতোষ কুমার ঘোষ, সিনিয়র কনসাল্টেন্ট (মেডিসিন) ডা. আবুল হোসেন, গাইনি কনসাল্টেন্ট ডা. আকলিমা খাতুনসহ মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ছাত্রী-স্টাফ নার্স ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
রবিবার
২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ