শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অভিযোগে ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশির দণ্ড !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:৩৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অপরাধে দণ্ডিত হয়েছেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি কামরুল হাসান জনি। গত ১২ অক্টোবর ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি জেলা কোর্ট তার বিরুদ্ধে ওই রায় দেয়।

সরকারি তথ্যানুযায়ী, ফিনল্যান্ডের বেসরকারি খাতে একজন কর্মীর গড় মাসিক আয় সাড়ে তিন হাজার ইউরো। তবে ফিনিশ আয়কর বিভাগের হিসাবে প্রবাসী জনির প্রতিদিন আয় মাত্র ৬ ইউরো।

মিথ্যা সাক্ষ্য সাজানোর দায়ে প্রবাসী কামরুল হাসান জনিকে ২০ দিনের আর্থিক উপার্জন জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিদিন ৬ ইউরো ধরে মোট ১২০ ইউরো তাকে পরিশোধ করতে হবে।

রায়ে একইসঙ্গে আদালতে খরচ ও বাদীর আইনজীবীর যাবতীয় ফি পরিশোধ করতে বলা হয়েছে দোষী সাব্যস্ত জনিকে।

তবে আদালতে তার দাখিল করা কাগজপত্র অনুযায়ী আর্থিক দীনতা বিবেচনায় নিয়ে আইনজীবীর ওই অর্থ প্রাথমিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

জনির ওই মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর ঘটনাটি কয়েক বছর আগের। ইতালী প্রবাসী এক নারীকে বিয়ে করে নিয়ে ঘর-সংসার করেন। কিন্তু ফিনিশ আইন অনুযায়ী স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করায় কামরুল হাসান জনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী।

পরে ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল ধর্ষণের ওই মামলায় জনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলা হওয়ার পর এক ব্যক্তিকে (ফিনিশ আইনে বিধিনিষেধ থাকায় নাম প্রকাশ করা গেল না) সাক্ষী সাজিয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দেন জনি। পরে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের সদস্যদের জেরার মুখে জনির ‘সাজানো সাক্ষী’ যাবতীয় সঠিক তথ্য দেন।

ওই সাক্ষ্য দেওয়ার জের ধরেই গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে হেলসিংকির বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় তাণ্ডব চালান কামরুল হাসান জনি ও তার অনুসারীরা। সেদিন হামলায় চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করার পর জনিসহ পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছিলেন। দুই দিন পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও হামলার তদন্ত চলছে।

মসজিদ এলাকায় তাণ্ডবের ঘটনায় হেলসিংকি পুলিশর গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, একইসঙ্গে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর কথাও শুনেছেন। ঘটনার সময় উপস্থিত কয়েকজনের মুঠোফোনে ভিডিও চিত্র ও আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরাগুলিতে থাকা এই পুরো ঘটনার রেকর্ডকৃত ভিডিও পুলিশ সংগ্রহ করেছে।

উল্লেখ্য, রায়ের একটি অনুলিপি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অভিযোগে ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশির দণ্ড !

আপডেট সময় : ১২:২৮:৩৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অপরাধে দণ্ডিত হয়েছেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি কামরুল হাসান জনি। গত ১২ অক্টোবর ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি জেলা কোর্ট তার বিরুদ্ধে ওই রায় দেয়।

সরকারি তথ্যানুযায়ী, ফিনল্যান্ডের বেসরকারি খাতে একজন কর্মীর গড় মাসিক আয় সাড়ে তিন হাজার ইউরো। তবে ফিনিশ আয়কর বিভাগের হিসাবে প্রবাসী জনির প্রতিদিন আয় মাত্র ৬ ইউরো।

মিথ্যা সাক্ষ্য সাজানোর দায়ে প্রবাসী কামরুল হাসান জনিকে ২০ দিনের আর্থিক উপার্জন জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিদিন ৬ ইউরো ধরে মোট ১২০ ইউরো তাকে পরিশোধ করতে হবে।

রায়ে একইসঙ্গে আদালতে খরচ ও বাদীর আইনজীবীর যাবতীয় ফি পরিশোধ করতে বলা হয়েছে দোষী সাব্যস্ত জনিকে।

তবে আদালতে তার দাখিল করা কাগজপত্র অনুযায়ী আর্থিক দীনতা বিবেচনায় নিয়ে আইনজীবীর ওই অর্থ প্রাথমিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

জনির ওই মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর ঘটনাটি কয়েক বছর আগের। ইতালী প্রবাসী এক নারীকে বিয়ে করে নিয়ে ঘর-সংসার করেন। কিন্তু ফিনিশ আইন অনুযায়ী স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করায় কামরুল হাসান জনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী।

পরে ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল ধর্ষণের ওই মামলায় জনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলা হওয়ার পর এক ব্যক্তিকে (ফিনিশ আইনে বিধিনিষেধ থাকায় নাম প্রকাশ করা গেল না) সাক্ষী সাজিয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দেন জনি। পরে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের সদস্যদের জেরার মুখে জনির ‘সাজানো সাক্ষী’ যাবতীয় সঠিক তথ্য দেন।

ওই সাক্ষ্য দেওয়ার জের ধরেই গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে হেলসিংকির বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় তাণ্ডব চালান কামরুল হাসান জনি ও তার অনুসারীরা। সেদিন হামলায় চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করার পর জনিসহ পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছিলেন। দুই দিন পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও হামলার তদন্ত চলছে।

মসজিদ এলাকায় তাণ্ডবের ঘটনায় হেলসিংকি পুলিশর গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, একইসঙ্গে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর কথাও শুনেছেন। ঘটনার সময় উপস্থিত কয়েকজনের মুঠোফোনে ভিডিও চিত্র ও আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরাগুলিতে থাকা এই পুরো ঘটনার রেকর্ডকৃত ভিডিও পুলিশ সংগ্রহ করেছে।

উল্লেখ্য, রায়ের একটি অনুলিপি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।