মঙ্গলবার | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: সাতক্ষীরা সীমান্ত সিল, বিজিবির ৫৭ চেকপোস্ট ও ৮৭টি অতিরিক্ত টহল Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল

ঝিনাইদহে যে পরিবারে চল্লিশ বছর বয়সে সবাই অন্ধ !

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:২৯:৪০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের আটলিয়া গ্রামে একই পরিবারের ৩জন অন্ধ ও ১ শিশুসহ ১১ জন চোখের রোগে ভুগলেও ঝিনাইদহ স্ব্যাস্থবিভাগ এদের খোঁজ রাখেনা। তারা স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছেন। পরিরববারের সদস্যরা জানান, পূর্বে এই পরিবারে ৩৫-৪০ বছর বয়স হলে চোখের সমস্যা দেখা দিত। তবে বর্তমানে ১০ বছরের শিশুর চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যায় পরিবারের লোকজন চরম চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। নানা কষ্টের মধ্যে পরিরবরর সদস্যা জীবন যাপন করছেন। তারা স্ব্যাস্থবিভাগের সহযোগিতা কামনা করেছে। জানা গেছে, আটলিয়া গ্রামে মৃত ইয়াছিন মোল্লার ৪ ছেলে এবং এক মেয়ে। তারা হলেন-শহিদুল ইসলাম (৬৫), মফিজুল হক (৫৫), আবুল হোসেন (৫০), মনুমিয়া (৪৩) এবং একমাত্র মেয়ে কুলসুমা বেগম (৬৭)। এদের মধ্যে ছেলেরা অন্ধ হয়ে স্বভাবিক চলাচলের ক্ষমতা হারিয়েছেন। আর মেয়ে কুলসুমা বেগম অন্ধ হয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বার্ধক্য হয়ে বছর খানেক আগে মারা গেছে। এছাড়া শহিদুল ইসলামের ৩ মেয়ে। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে মুর্সিদা খাতুন (৪০) অন্ধ হয়ে গেছে। দুই মেয়ে শহিদা বেগম (৩৫) এবং মাসুদা বেগম (৩২) কোন রকম চোখে ঝাপসা দেখে চলতে পারেন। বড় মেয়ে মুর্সিদা খাতুনেরর বিয়ে হলেও দীর্ঘ দিনের অসুস্থ তার কারনে স্বামী পরিত্যাক্ত হয়ে বাড়িতেই আছেন।

মফিদুল ইসলামের রয়েছে ২ ছেলে এবং ৪ মেয়ে। এদের মধ্যে বড় মেয়ে রুপভান (৩৬) এবং মেঝে মেয়ে রশিয়া খাতুন (৩৩) কোন রকম দেখছেন। আবার মনুমিয়া পোতা ছেলে ইব্রাহিরের ছেলে শাকিব হোসেন (১০) চোখের সমস্যায় ভুগছেন। একই পরিবারের ৩জন সদস্য অন্ধ এক শিশুসহ ১১ জন চোখের রোগের বিষয়টি সচেতন গ্রামবাসির মনে প্রভাব পড়ছে। অন্ধ হয়ে স্বভাবিক চলাচলের ক্ষমতা হারিয়েছেন শহিদুল ইসলাম তিনি জানান, নানা কষ্টের মধ্য দিয়ে কোন রকম বেঁছে আছি। এতো আর বেচে থাকা বলেনা। নানা কষ্টে দিন কাটে । আবুল হোসেন জানান, নিজেদের চাষের কোন জায়গা নেই। অন্যের জমিতে ছেলেরা শ্রমিকের কাজ করে কোন রকম সংসার চলে। গ্রামবাসীদের মধ্যে আলি আকবর জানান, শহিদুল ইসলাম, মফিজুল হক, আবুল হোসেন, মনুমিয়া আমারা সব একই বয়সের। জন্¥ থেকে কেউই অন্ধ নয়। ৩৮-৪০ বছর বয়স হলে চোখের সমস্যা দেখা দেয়। এটা বংশগত সমস্যা বলে তিনি মনে করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বর মো: গোলাম রসুল বলেন, বিষয়টি আমিও তো ভাই দেখেছি। চেষ্টা করেছি তাদের জন্য কিছু করার। এঘটনায় মধুহাটি স্বাস্থ্যকমপ্লেস এর উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভিটামিন এর অভাবে অথবা এ্যালার্জীর জনিত কারনে এমন রোগাক্রান্ত হতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন

ঝিনাইদহে যে পরিবারে চল্লিশ বছর বয়সে সবাই অন্ধ !

আপডেট সময় : ০৮:২৯:৪০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের আটলিয়া গ্রামে একই পরিবারের ৩জন অন্ধ ও ১ শিশুসহ ১১ জন চোখের রোগে ভুগলেও ঝিনাইদহ স্ব্যাস্থবিভাগ এদের খোঁজ রাখেনা। তারা স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছেন। পরিরববারের সদস্যরা জানান, পূর্বে এই পরিবারে ৩৫-৪০ বছর বয়স হলে চোখের সমস্যা দেখা দিত। তবে বর্তমানে ১০ বছরের শিশুর চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যায় পরিবারের লোকজন চরম চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। নানা কষ্টের মধ্যে পরিরবরর সদস্যা জীবন যাপন করছেন। তারা স্ব্যাস্থবিভাগের সহযোগিতা কামনা করেছে। জানা গেছে, আটলিয়া গ্রামে মৃত ইয়াছিন মোল্লার ৪ ছেলে এবং এক মেয়ে। তারা হলেন-শহিদুল ইসলাম (৬৫), মফিজুল হক (৫৫), আবুল হোসেন (৫০), মনুমিয়া (৪৩) এবং একমাত্র মেয়ে কুলসুমা বেগম (৬৭)। এদের মধ্যে ছেলেরা অন্ধ হয়ে স্বভাবিক চলাচলের ক্ষমতা হারিয়েছেন। আর মেয়ে কুলসুমা বেগম অন্ধ হয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বার্ধক্য হয়ে বছর খানেক আগে মারা গেছে। এছাড়া শহিদুল ইসলামের ৩ মেয়ে। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে মুর্সিদা খাতুন (৪০) অন্ধ হয়ে গেছে। দুই মেয়ে শহিদা বেগম (৩৫) এবং মাসুদা বেগম (৩২) কোন রকম চোখে ঝাপসা দেখে চলতে পারেন। বড় মেয়ে মুর্সিদা খাতুনেরর বিয়ে হলেও দীর্ঘ দিনের অসুস্থ তার কারনে স্বামী পরিত্যাক্ত হয়ে বাড়িতেই আছেন।

মফিদুল ইসলামের রয়েছে ২ ছেলে এবং ৪ মেয়ে। এদের মধ্যে বড় মেয়ে রুপভান (৩৬) এবং মেঝে মেয়ে রশিয়া খাতুন (৩৩) কোন রকম দেখছেন। আবার মনুমিয়া পোতা ছেলে ইব্রাহিরের ছেলে শাকিব হোসেন (১০) চোখের সমস্যায় ভুগছেন। একই পরিবারের ৩জন সদস্য অন্ধ এক শিশুসহ ১১ জন চোখের রোগের বিষয়টি সচেতন গ্রামবাসির মনে প্রভাব পড়ছে। অন্ধ হয়ে স্বভাবিক চলাচলের ক্ষমতা হারিয়েছেন শহিদুল ইসলাম তিনি জানান, নানা কষ্টের মধ্য দিয়ে কোন রকম বেঁছে আছি। এতো আর বেচে থাকা বলেনা। নানা কষ্টে দিন কাটে । আবুল হোসেন জানান, নিজেদের চাষের কোন জায়গা নেই। অন্যের জমিতে ছেলেরা শ্রমিকের কাজ করে কোন রকম সংসার চলে। গ্রামবাসীদের মধ্যে আলি আকবর জানান, শহিদুল ইসলাম, মফিজুল হক, আবুল হোসেন, মনুমিয়া আমারা সব একই বয়সের। জন্¥ থেকে কেউই অন্ধ নয়। ৩৮-৪০ বছর বয়স হলে চোখের সমস্যা দেখা দেয়। এটা বংশগত সমস্যা বলে তিনি মনে করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বর মো: গোলাম রসুল বলেন, বিষয়টি আমিও তো ভাই দেখেছি। চেষ্টা করেছি তাদের জন্য কিছু করার। এঘটনায় মধুহাটি স্বাস্থ্যকমপ্লেস এর উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভিটামিন এর অভাবে অথবা এ্যালার্জীর জনিত কারনে এমন রোগাক্রান্ত হতে পারে।