শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

ঝিনাইদহে অবশেষে শুরু হচ্ছে ৩৯৮ কিলোমিটার বেহাল সড়ক মেরামতে টেন্ডার প্রক্রিয়া

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭২৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  খুলনা বিভাগে অন্তত ১২শ’ ৩০ কিলোমিটার বেহাল সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। ইতোমধ্যে বার্ষিক বরাদ্দের টাকায় অনেক সড়কের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় টেন্ডার প্রক্রিয়া। ফলে শিগগিরই সড়কে জনসাধারনের চলাচলে ভোগান্তি কমবে। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে এসব সড়কের বেশির ভাগ স্থানে বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আর এতে দারুণ ভোগান্তিতে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর খুলনা জোনের আওতাধীন ১২৭টি রুটে জাতীয়, জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে মোট ২ হাজার ৭৩৪ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাটে রয়েছে ৩৯৭, খুলনায় ৩৮৫, সাতক্ষীরায় ২৫৩, চুয়াডাঙ্গায় ১৪১, যশোর ৩৫৬, ঝিনাইদহ ৩৯৮, কুষ্টিয়ায় ২৬১, মাগুরা ২৫১, মেহেরপুর ১৩৯ এবং নড়াইলে ১৫৩ কিলোমিটার। সকল পর্যায়ের এসব সড়কের অন্তত শতকরা ৪৫ ভাগ ভাঙ্গাচোরা ও খানাখন্দে বেহাল অবস্থা ধারন করেছে। তবে বেশি বেহাল সড়ক সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট ও খুলনা জেলায়। যশোর-খুলনা, রূপসা-বাগেরহাট, খুলনা-মংলা, খুলনা-পাইকগাছা, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের অধিকাংশ স্থানে বন্যা ও টানা বৃষ্টিতে বিটুমিন ও খোয়া উঠে যাওয়ায় সড়কগুলো চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আর এতে যানবাহন চলছে চরম ঝুঁকি নিয়ে।

পাশাপাশি দুর্ভোগ আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাড়ছে যাতায়াতের সময়ও। এ অবস্থায় জনসাধারণের ভোগান্তি রোধে যাতায়ত সহজ করতে বিভাগের বেহাল ১২শ’ ৩০ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। বার্ষিক বরাদ্দের টাকায় ইতোমধ্যে অনেক সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় এসব সড়ক মেরামতে টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন বলেন, ভারি বর্ষণ, বন্যা ও ওভার লোড নিয়ে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের কারনে বিটুমিন উঠে গিয়ে সড়ক-মহাসড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই যাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে সকল সড়ক-মহাসড়ক বার্ষিক বরাদ্দের টাকা দিয়ে আপাতত মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ৩০/৪০ বছরের আগে নির্মিত সড়ক-মহাসড়কগুলোর গঠন প্রণালী ভালো না হওয়ায় এবং সড়কগুলোর বাজার সংলগ্ন স্থানে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি ও ভারী পণ্য বহনকারী গাড়ির চাপে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন এসব মহাসড়ক চলাচলের উপযোগী করতে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

ঝিনাইদহে অবশেষে শুরু হচ্ছে ৩৯৮ কিলোমিটার বেহাল সড়ক মেরামতে টেন্ডার প্রক্রিয়া

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  খুলনা বিভাগে অন্তত ১২শ’ ৩০ কিলোমিটার বেহাল সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। ইতোমধ্যে বার্ষিক বরাদ্দের টাকায় অনেক সড়কের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় টেন্ডার প্রক্রিয়া। ফলে শিগগিরই সড়কে জনসাধারনের চলাচলে ভোগান্তি কমবে। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে এসব সড়কের বেশির ভাগ স্থানে বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আর এতে দারুণ ভোগান্তিতে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর খুলনা জোনের আওতাধীন ১২৭টি রুটে জাতীয়, জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে মোট ২ হাজার ৭৩৪ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাটে রয়েছে ৩৯৭, খুলনায় ৩৮৫, সাতক্ষীরায় ২৫৩, চুয়াডাঙ্গায় ১৪১, যশোর ৩৫৬, ঝিনাইদহ ৩৯৮, কুষ্টিয়ায় ২৬১, মাগুরা ২৫১, মেহেরপুর ১৩৯ এবং নড়াইলে ১৫৩ কিলোমিটার। সকল পর্যায়ের এসব সড়কের অন্তত শতকরা ৪৫ ভাগ ভাঙ্গাচোরা ও খানাখন্দে বেহাল অবস্থা ধারন করেছে। তবে বেশি বেহাল সড়ক সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট ও খুলনা জেলায়। যশোর-খুলনা, রূপসা-বাগেরহাট, খুলনা-মংলা, খুলনা-পাইকগাছা, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের অধিকাংশ স্থানে বন্যা ও টানা বৃষ্টিতে বিটুমিন ও খোয়া উঠে যাওয়ায় সড়কগুলো চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আর এতে যানবাহন চলছে চরম ঝুঁকি নিয়ে।

পাশাপাশি দুর্ভোগ আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাড়ছে যাতায়াতের সময়ও। এ অবস্থায় জনসাধারণের ভোগান্তি রোধে যাতায়ত সহজ করতে বিভাগের বেহাল ১২শ’ ৩০ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। বার্ষিক বরাদ্দের টাকায় ইতোমধ্যে অনেক সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় এসব সড়ক মেরামতে টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন বলেন, ভারি বর্ষণ, বন্যা ও ওভার লোড নিয়ে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের কারনে বিটুমিন উঠে গিয়ে সড়ক-মহাসড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই যাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে সকল সড়ক-মহাসড়ক বার্ষিক বরাদ্দের টাকা দিয়ে আপাতত মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ৩০/৪০ বছরের আগে নির্মিত সড়ক-মহাসড়কগুলোর গঠন প্রণালী ভালো না হওয়ায় এবং সড়কগুলোর বাজার সংলগ্ন স্থানে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি ও ভারী পণ্য বহনকারী গাড়ির চাপে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন এসব মহাসড়ক চলাচলের উপযোগী করতে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।