রবিবার | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo ক্যান্সারে মৃত্যু খুবি শিক্ষার্থীর: চিকিৎসার অবশিষ্ট অর্থে ‘রাকিব স্মৃতি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ট্রাস্ট’ গঠন Logo চাঁদপুরে প্রাইভেট হসপিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা Logo শ্রোতাদের ভালোবাসায় সিক্ত তরুণ গীতিকার রাসেল ইব্রাহীমের গান ‘আমার বন্ধুরা খুব দুষ্টু ছিল’ Logo বীরগঞ্জে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা Logo মনোহরদীতে বিএজেএসএম মডেল কলেজে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া

দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে যা করা আবশ্যক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৪৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৮২৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘সময়ের কসম! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তারা ব্যতীত যারা ঈমানদার (আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা এবং অবিচল বিশ্বাস রাখে) এবং আমলে সালেহ তথা নেক কাজ করে। (সুরা আসর : আয়াত ১-৩)

উল্লেখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা সময়ের কসম খেয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক প্রথমেই মানুষকে সতর্ক করেছেন। অতঃপর তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের দিক-নির্দেশনা তুলে ধরেছেন।

যারা ঈমান আনবে এবং নেক কাজ করবে তাদের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি সুনিশ্চিত। আর যার ওপর আল্লাহ সন্তুষ্ট; সে ব্যক্তিই সফলকাম। দুনিয়া ও পরকালে তাঁর কোনো চিন্তা নেই।

পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি পরকালের স্থায়ী জীবনে অশান্তি বা কবরের আজাব ভোগ করার ইচ্ছা পোষণ করে।

বরং পরকালে বিশ্বাসী সব মানুষই চায়, তাঁর চিরস্থায়ী জীবন হোক আল্লাহর রহমতে পরিপূর্ণ। জান্নাত হোক সুনিশ্চিত। তাই পরকালীন জিন্দেগীকে সফল করতে মুসলিম উম্মাহর রয়েছে কিছু করণীয়।

পরকালীন জীবনে মৃত্যু থেকে শুরু করে কবর, হাশর, পুলসিরাত তথা কিয়ামতের ময়দানের যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে মুক্তি লাভে নিয়মিত কিছু আমল বা ইবাদত করতে হবে আবার কিছু কাজ ছেড়ে চিরতরে ছেড়ে দিতে হবে। আর তাহলো-

নিয়মিত যে আমলগুলো আবশ্যক

* নামাজের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করা।
* আল্লাহর রাস্তায় বেশি বেশি সাদকা করা।
* আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে কুরআন অনুধাবন ও তেলাওয়াত করা।
* ফরজ ইবাদতগুলোর ভুলত্রুটির সহায়ক হিসেবে বেশি বেশি তাসবিহ-তাহলিলসহ নফল ইবাদত করা।
এ আমলগুলোই মানুষকে দুনিয়ার প্রশান্তি দান করবে। পরকালের প্রথম মঞ্জিল কবরকে করবে প্রশস্ত এবং তাদের জীবন হবে আলোকিত।

সবসময় যে কাজগুলো পরিত্যাগ করা আবশ্যক

* কোনোভাবেই মিথ্যা বলা যাবে না।
* অন্যের সম্পদ, অধিকারে ক্ষতি হয় এমন কাজ কোনোভাবেই করা যাবে না।
* এক জনের কথা অন্য জনের কাছে বেচাকেনা না করা।
* ইস্তেঞ্জার সময় পেশাবের ছিটা থেকে কাপড় বা শরীরকে হেফাজত করা।

দুনিয়া ও পরকালের প্রশান্তি লাভে উল্লেখিত কাজগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাকে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের মাধ্যমে এ কাজগুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে বিধি-নিষেধ জারি করেছেন।

অতঃপর আল্লাহ তাআলা সুরা আসরের শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘যারা ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে; পরস্পরকে সত্যের (সুন্দরের) তাগিদ করবে এবং (বিপদের মুহূর্তে) সবর তথা ধৈর্যের তাগিদ দিবে।’ তারা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত নয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ক্যান্সারে মৃত্যু খুবি শিক্ষার্থীর: চিকিৎসার অবশিষ্ট অর্থে ‘রাকিব স্মৃতি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ট্রাস্ট’ গঠন

দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে যা করা আবশ্যক !

আপডেট সময় : ০২:০৬:৪৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘সময়ের কসম! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তারা ব্যতীত যারা ঈমানদার (আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা এবং অবিচল বিশ্বাস রাখে) এবং আমলে সালেহ তথা নেক কাজ করে। (সুরা আসর : আয়াত ১-৩)

উল্লেখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা সময়ের কসম খেয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক প্রথমেই মানুষকে সতর্ক করেছেন। অতঃপর তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের দিক-নির্দেশনা তুলে ধরেছেন।

যারা ঈমান আনবে এবং নেক কাজ করবে তাদের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি সুনিশ্চিত। আর যার ওপর আল্লাহ সন্তুষ্ট; সে ব্যক্তিই সফলকাম। দুনিয়া ও পরকালে তাঁর কোনো চিন্তা নেই।

পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি পরকালের স্থায়ী জীবনে অশান্তি বা কবরের আজাব ভোগ করার ইচ্ছা পোষণ করে।

বরং পরকালে বিশ্বাসী সব মানুষই চায়, তাঁর চিরস্থায়ী জীবন হোক আল্লাহর রহমতে পরিপূর্ণ। জান্নাত হোক সুনিশ্চিত। তাই পরকালীন জিন্দেগীকে সফল করতে মুসলিম উম্মাহর রয়েছে কিছু করণীয়।

পরকালীন জীবনে মৃত্যু থেকে শুরু করে কবর, হাশর, পুলসিরাত তথা কিয়ামতের ময়দানের যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে মুক্তি লাভে নিয়মিত কিছু আমল বা ইবাদত করতে হবে আবার কিছু কাজ ছেড়ে চিরতরে ছেড়ে দিতে হবে। আর তাহলো-

নিয়মিত যে আমলগুলো আবশ্যক

* নামাজের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করা।
* আল্লাহর রাস্তায় বেশি বেশি সাদকা করা।
* আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে কুরআন অনুধাবন ও তেলাওয়াত করা।
* ফরজ ইবাদতগুলোর ভুলত্রুটির সহায়ক হিসেবে বেশি বেশি তাসবিহ-তাহলিলসহ নফল ইবাদত করা।
এ আমলগুলোই মানুষকে দুনিয়ার প্রশান্তি দান করবে। পরকালের প্রথম মঞ্জিল কবরকে করবে প্রশস্ত এবং তাদের জীবন হবে আলোকিত।

সবসময় যে কাজগুলো পরিত্যাগ করা আবশ্যক

* কোনোভাবেই মিথ্যা বলা যাবে না।
* অন্যের সম্পদ, অধিকারে ক্ষতি হয় এমন কাজ কোনোভাবেই করা যাবে না।
* এক জনের কথা অন্য জনের কাছে বেচাকেনা না করা।
* ইস্তেঞ্জার সময় পেশাবের ছিটা থেকে কাপড় বা শরীরকে হেফাজত করা।

দুনিয়া ও পরকালের প্রশান্তি লাভে উল্লেখিত কাজগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাকে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের মাধ্যমে এ কাজগুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে বিধি-নিষেধ জারি করেছেন।

অতঃপর আল্লাহ তাআলা সুরা আসরের শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘যারা ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে; পরস্পরকে সত্যের (সুন্দরের) তাগিদ করবে এবং (বিপদের মুহূর্তে) সবর তথা ধৈর্যের তাগিদ দিবে।’ তারা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত নয়।