শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

কুয়েতে অদক্ষ শ্রমিক এখন দক্ষ কারিগর !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
  • ৭৭১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশী একটু সচ্ছ জীবিকা নির্বাহে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করছে। এদের অনেকে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে পাড়ি দেয় প্রবাসে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমুহে অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা অনেক।

অনেক অদক্ষ প্রবাসী নিজ কোম্পানির কর্মের পাশাপাশি একটু বাড়তি আয়ের আশায় পার্ট টাইম কাজ করে থাকে। দীর্ঘদিন যারা বিদেশে আছেন তাদের অনেকে পার্ট টাইম কাজকে নিজ মেধা আর পরিশ্রমের কারণে আয়ত্তে নিয়ে একজন দক্ষ কারিগড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠেন। এমনই একজন কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর থানার হাটাস গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস এর সন্তান মাসুম।

মাসুম সোনার হরিনের খুঁজে ১৯৯৬ সালে আল আফরাজ নামে একটি কোম্পানিতে (ক্লিনিং) ছাফাই কাজের কন্টাকে কুয়েত আসে। কোম্পানিতে আট ঘন্টা কাজের সময় নির্ধান থাকলেও ১১ থেকে ১২ ঘন্টা সময় চলে যায় কোম্পানির কাজে। মাসিক বেতন ছিলো ১৮ কুয়েতি দিনার যা বিভিন্ন অজুহাতে কেটে ১৫ কুয়েতি দিনার বেতন পেতেন। এরই ফাঁকে একটি মোবাইলের দোকানে পার্টটাইম কাজ ভাগ্যে জোটে।

নিজ মেধাকে কাজে লাগিয়ে এরই মধ্যে আয়ত্ত করে ফেলেন মোবাইল মেরামত এর কাজ। দীর্ঘ আট বছর কোম্পানির কাজের পাশাপাশি মোবাইলের দোকানে পার্টটাইম কাজ করে নিজেই একজন অদক্ষ শ্রমিক থেকে দক্ষ শ্রমিক হয়ে উঠেন। জমানো সঞ্চয় আর বন্ধুদের আর্থিক সহযোগিতায় একটি দোকানের মালিক বনে যান তিনি। দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর মোবাইল মেরামতের কাজ করে বর্তমানে একজন দক্ষ কারিগর হয়ে উঠেছেন তিনি। কুয়েত সিটির প্রাণকেন্দ্র মুরগাবে সুক আল ওয়াতানিয়া তার দোকান।

এখানে মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিক্রী সহ নামিদামী ব্রান্ডের মোবাইলের মেরামত করা হয়। কুয়েতে বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকে মাসুমকে মোবাইল ইঞ্জিনিয়ার বলে ডাকে। মাসুম বলেন, সকল শ্রমিকদেরই নিজ কোম্পানির কাজের পাশাপাশি সুযোগ বুঝে যে কোন একটি টেকনিক্যাল কাজে দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন এতে নিজেরই বেশি লাভ হয়।

কুয়েতে প্রায় তিন লাখের মত প্রবাসী আছেন। এই প্রবাসীদের বড় একটি অংশ দীর্ঘদিন কুয়েতে বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে অনেকে নিজ মেধা, পরিশ্রম আর ভাগ্যের কারণে আজ প্রতিষ্ঠিত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

কুয়েতে অদক্ষ শ্রমিক এখন দক্ষ কারিগর !

আপডেট সময় : ০১:০৬:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশী একটু সচ্ছ জীবিকা নির্বাহে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করছে। এদের অনেকে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে পাড়ি দেয় প্রবাসে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমুহে অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা অনেক।

অনেক অদক্ষ প্রবাসী নিজ কোম্পানির কর্মের পাশাপাশি একটু বাড়তি আয়ের আশায় পার্ট টাইম কাজ করে থাকে। দীর্ঘদিন যারা বিদেশে আছেন তাদের অনেকে পার্ট টাইম কাজকে নিজ মেধা আর পরিশ্রমের কারণে আয়ত্তে নিয়ে একজন দক্ষ কারিগড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠেন। এমনই একজন কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর থানার হাটাস গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস এর সন্তান মাসুম।

মাসুম সোনার হরিনের খুঁজে ১৯৯৬ সালে আল আফরাজ নামে একটি কোম্পানিতে (ক্লিনিং) ছাফাই কাজের কন্টাকে কুয়েত আসে। কোম্পানিতে আট ঘন্টা কাজের সময় নির্ধান থাকলেও ১১ থেকে ১২ ঘন্টা সময় চলে যায় কোম্পানির কাজে। মাসিক বেতন ছিলো ১৮ কুয়েতি দিনার যা বিভিন্ন অজুহাতে কেটে ১৫ কুয়েতি দিনার বেতন পেতেন। এরই ফাঁকে একটি মোবাইলের দোকানে পার্টটাইম কাজ ভাগ্যে জোটে।

নিজ মেধাকে কাজে লাগিয়ে এরই মধ্যে আয়ত্ত করে ফেলেন মোবাইল মেরামত এর কাজ। দীর্ঘ আট বছর কোম্পানির কাজের পাশাপাশি মোবাইলের দোকানে পার্টটাইম কাজ করে নিজেই একজন অদক্ষ শ্রমিক থেকে দক্ষ শ্রমিক হয়ে উঠেন। জমানো সঞ্চয় আর বন্ধুদের আর্থিক সহযোগিতায় একটি দোকানের মালিক বনে যান তিনি। দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর মোবাইল মেরামতের কাজ করে বর্তমানে একজন দক্ষ কারিগর হয়ে উঠেছেন তিনি। কুয়েত সিটির প্রাণকেন্দ্র মুরগাবে সুক আল ওয়াতানিয়া তার দোকান।

এখানে মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিক্রী সহ নামিদামী ব্রান্ডের মোবাইলের মেরামত করা হয়। কুয়েতে বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকে মাসুমকে মোবাইল ইঞ্জিনিয়ার বলে ডাকে। মাসুম বলেন, সকল শ্রমিকদেরই নিজ কোম্পানির কাজের পাশাপাশি সুযোগ বুঝে যে কোন একটি টেকনিক্যাল কাজে দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন এতে নিজেরই বেশি লাভ হয়।

কুয়েতে প্রায় তিন লাখের মত প্রবাসী আছেন। এই প্রবাসীদের বড় একটি অংশ দীর্ঘদিন কুয়েতে বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে অনেকে নিজ মেধা, পরিশ্রম আর ভাগ্যের কারণে আজ প্রতিষ্ঠিত।