মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

মাইক্রোওয়েভ ম্যাজিক নাকি ব্ল্যাক ম্যাজিক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:২৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭
  • ৭৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ম্যাজিকে এখন সবাই ভক্ত। যন্ত্রটির কদর ঘরে ঘরে। চোখের নিমেষেই খাবার গরম হয়, বলতে গেলে বাঁ হাতের খেলা। কিন্তু সব খাবারই কি গরম করতে মাইক্রোওয়েভে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন? এটা করবেন না। ডাক্তাররাই বলছেন, কিছু কিছু খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভয়ঙ্কর!
হাতের সামনে গরম গরম খাবার। কার না ভাল লাগে? তবে আধুনিক যুগে ব্যস্ততা বেশি। খেতে বসার ঠিক আগে রান্নার সুযোগ আর ক’জনের থাকে? হয়ত দু’বেলার রান্নাই একবারে করে রেখে দেওয়া হয় ফ্রিজে। তারপর সময় সুযোগমতো মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেয়ে নিলেই হল! সহজ সলিউশন! কিন্তু সবকিছু মোটেই এত সহজ নয়। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

কোনো কোনো খাবার মাইক্রোওয়েভে চটজলদি গরম করা মানেই বিপদকে নিমন্ত্রণ। সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট তো হয়ই। স্বাস্থ্যেও মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে আমার-আপনার প্রিয় বহু খাবারই।

পালং বা গাজর বা যে কোনো শাকপাতায় প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে। রান্না করা শাকসবজি মাইক্রোওয়েভে ফের গরম করলে নাইট্রেট থেকে নাইট্রোস্যামাইন নামে বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি হয়। মস্তিষ্কের ক্ষতিসহ পাকস্থলী, অন্ত্রে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এই নাইট্রোস্যামাইন।

মাইক্রোওয়েভে ভাত গরম করা মানেই তাতে নানা ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে ফুড পয়জনিং পর্যন্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

মুরগির মাংসে যে প্রোটিন থাকে তার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। রান্না করা মুরগির মাংস গরম করলে প্রোটিনের অণুগুলি ভেঙে যায়, যা হজমের সমস্যা তৈরি করে।

মাইক্রোওয়েভে চিকেন গরম করলে সালমোনেলা নামে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল।

রান্না করা আলু ঠাণ্ডা হলেই তাতে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়, যা ফের গরম করলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মাইক্রোওয়েভে গরম করা আলু থেকে পেটে মারাত্মক ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।

মাশরুমেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, মিনারেল থাকে যা গরম করলে বিপদ। রান্না করা মাশরুম ফের গরম করলে হজমের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গরম না করে সেক্ষেত্রে ঠাণ্ডা মাশরুমই খাওয়া উচিত বলে মত ডাক্তারদের।

স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই তাই, মাইক্রোওয়েভে খাবার গরমে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। নইলে নিজেরই বিপদ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

মাইক্রোওয়েভ ম্যাজিক নাকি ব্ল্যাক ম্যাজিক !

আপডেট সময় : ০২:২৯:২৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ম্যাজিকে এখন সবাই ভক্ত। যন্ত্রটির কদর ঘরে ঘরে। চোখের নিমেষেই খাবার গরম হয়, বলতে গেলে বাঁ হাতের খেলা। কিন্তু সব খাবারই কি গরম করতে মাইক্রোওয়েভে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন? এটা করবেন না। ডাক্তাররাই বলছেন, কিছু কিছু খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভয়ঙ্কর!
হাতের সামনে গরম গরম খাবার। কার না ভাল লাগে? তবে আধুনিক যুগে ব্যস্ততা বেশি। খেতে বসার ঠিক আগে রান্নার সুযোগ আর ক’জনের থাকে? হয়ত দু’বেলার রান্নাই একবারে করে রেখে দেওয়া হয় ফ্রিজে। তারপর সময় সুযোগমতো মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেয়ে নিলেই হল! সহজ সলিউশন! কিন্তু সবকিছু মোটেই এত সহজ নয়। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

কোনো কোনো খাবার মাইক্রোওয়েভে চটজলদি গরম করা মানেই বিপদকে নিমন্ত্রণ। সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট তো হয়ই। স্বাস্থ্যেও মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে আমার-আপনার প্রিয় বহু খাবারই।

পালং বা গাজর বা যে কোনো শাকপাতায় প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে। রান্না করা শাকসবজি মাইক্রোওয়েভে ফের গরম করলে নাইট্রেট থেকে নাইট্রোস্যামাইন নামে বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি হয়। মস্তিষ্কের ক্ষতিসহ পাকস্থলী, অন্ত্রে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এই নাইট্রোস্যামাইন।

মাইক্রোওয়েভে ভাত গরম করা মানেই তাতে নানা ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে ফুড পয়জনিং পর্যন্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

মুরগির মাংসে যে প্রোটিন থাকে তার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। রান্না করা মুরগির মাংস গরম করলে প্রোটিনের অণুগুলি ভেঙে যায়, যা হজমের সমস্যা তৈরি করে।

মাইক্রোওয়েভে চিকেন গরম করলে সালমোনেলা নামে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল।

রান্না করা আলু ঠাণ্ডা হলেই তাতে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়, যা ফের গরম করলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মাইক্রোওয়েভে গরম করা আলু থেকে পেটে মারাত্মক ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।

মাশরুমেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, মিনারেল থাকে যা গরম করলে বিপদ। রান্না করা মাশরুম ফের গরম করলে হজমের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গরম না করে সেক্ষেত্রে ঠাণ্ডা মাশরুমই খাওয়া উচিত বলে মত ডাক্তারদের।

স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই তাই, মাইক্রোওয়েভে খাবার গরমে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। নইলে নিজেরই বিপদ।