নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে শতবর্ষী কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এরপর থেকে কলেজ আমলের অপর্যাপ্ত অবকাঠামো ও নানামুখী সংকট নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ২০ হাজার শিক্ষার্থীর এ প্রতিষ্ঠানটি। গত ৭ বছরেও উন্নয়ন বাজেট পায়নি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে নানামুখী সংকট আর সমস্যাকে সঙ্গী করে পথ চলছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোতে। তবে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মঙ্গলবারের একনেকে অনুমোদন পাবে বলে আশা করছেন ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
সুত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১০ সালের অক্টোবরে ১০০ কোটি টাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প নামে একনেকে অনুমোদিত হয়। এ উন্নয়ন বাজেটের পর আর কোনো বাজেট পায়নি তারা। তবে ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প নামে একটি গৃহীত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় কেরানীগঞ্জে জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ছেলেদের জন্য একটি আবাসিক হল এবং একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য ১৩০ কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ হয়। পরে এ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকায় উন্নীত করে সরকার। অনেকদিন ধরে একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর এ প্রকল্পটি প্রি-একনেকে অনুমোদন পেয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। বর্তমানে এ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় একনেকে এ প্রকল্পটি আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সুকুমার চন্দ্র সাহা এ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠি হাতে পেয়েছেন বলে জানান।
উন্নয়ন বাজেট না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা জানান, অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বারবার আন্দোলন করেও কোনো লাভ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারের উচ্চমহল থেকে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন থামানো হয়। ৭ বছরেও রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন বাজেট পাবেনা তা হতে পারে না। অবকাঠামোগত উন্নয়নে দ্রুত বাজেট বরাদ্দের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে ভিসি ড. মীজানুর রহমান বলেন, এ প্রকল্পটি নিয়ে ২ বছর ধরে পড়ে আছি। সবাই আশায় আশায় রয়েছে এ প্রকল্পটি নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্পটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একনেকে অনুমোদন পেলেই ছেলেদের আবাসিক হল এবং একাডেমিক ভবনের কাজ শুরু করতে পারবো। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মহাপরিকল্পনা নামে ১০০০কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, সরকার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অনুমোদন হবে বলে আশা করেন তিনি। এর মাধ্যমে জবির সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে জানান তিনি।