নিউজ ডেস্ক:
ভিসা জালিয়াতি ও গৃহকর্মীকে মজুরি না দেয়ার অভিযোগে জাতিসংঘে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তা ড. হামিদুর রশিদ গ্রেফতার হয়েছেন। হামিদুর রশিদ ঢাকায় পররাষ্ট্র দফতরের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি লিয়েনে জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রোগ্রাম ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মেধাবী কর্মকর্তা।
গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। দীর্ঘ শুনানি শেষে জামিন পেয়েছেন তিনি।
দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস’র ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া গৃহকর্মীর সঙ্গে ভিসা জালিয়াতি, কর্মী নিয়োগ চুক্তি জালিয়াতি এবং সেই কর্মীর পরিচয় জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে হামিদুর রশীদের বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো রশীদ কিংবা জাতিসংঘের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এর আগে গত সপ্তাহে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নিউইয়র্কের বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
নিউইয়র্কের সাংবাদিক লাভলু আনসার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির ডেভেলপমেন্ট পলিসি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ডিভিশনের প্রধান হিসেবে কর্মরত হামিদুর রশিদকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে তোলা হয় তাকে এবং দীর্ঘ শুনানি শেষে জামিন পান তিনি।
মাত্র এক সপ্তাহ আগেই গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নিউইয়র্কের বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই বাংলাদেশি কূটনীতিক গ্রেফতারের ঘটনা দেশটির গণমাধ্যমে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের সাংবাদিক লাভলু আনসার।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস’র ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে আরো জানা গেছে, রশিদ বাংলাদেশ থেকে আনা গৃহকর্মীর জন্য প্রযোজ্য জি-৫ ভিসার নিয়ম অনুযায়ী যে মজুরি দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন তা পরবর্তীতে মানা হয়নি।
সাপ্তাহিক ৪২০ ডলার মজুরিতে গৃহকর্মী নিয়োগের চুক্তিপত্র পররাষ্ট্র দফতরে দাখিল করা হলেও ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে গৃহকর্মী যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালে নতুন একটি চুক্তিপত্রে সই নেন।
যেখানে সাপ্তাহিক মজুরি দেখানো হয় ২৯০ ডলার। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী গৃহকর্মীকে সাপ্তাহিক ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করানোর অভিযোগও আনা হয়।
সূত্র: বিবিসি