শিরোনাম :
Logo সদ্য নির্বাচিত বোদা উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে শোকজ Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল

নিয়মিত বডি স্প্রে ব্যবহার করলে হতে পারে বিপদ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৪০:০২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ জুন ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গরমে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে প্রায় প্রত্যেকেই বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন। এটি এখন অনেকেরই নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রতিদিন এই কাজ করার ফলেই কি একটু একটু করে বেড়ে চলেছে ক্যান্সারের সম্ভাবনা? অন্তত সাম্প্রতিক সমীক্ষা সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ খুঁজতে গিয়েই কাঠগড়ায় উঠেছে বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট। দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ ক্যান্সারই ধরা পড়ছে স্তনের উপরিভাগে। বা বাঁ-দিকের আর্মপিটে। ২০টির মধ্যে আঠেরোটি ক্ষেত্রেই এই জিনিস ধরা পড়েছে। এবং সেই টিউমারের নমুনা সমীক্ষা করে মিলেছে ‘প্যারাবেন’ নামে এক ধরনের রাসায়নিকের। এই রাসায়নিকই ক্যানসারের জন্য দায়ী। যা যথেচ্ছভাবে পাওয়া যায় ডিওডোরেন্টে।

মলিকিউলার বায়োলজিস্ট ড. ফিলিপ্পি দরব্রে এই নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছেন। আর তাতেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা যাচ্ছে, বেশির ভাগ বডি স্প্রে ও ডিওডোরেন্টে প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই রাসায়নিক। যা শরীরের কোষ শোষণ করে নেয়। দিনে দিনে তা ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। ব্রেস্ট ক্যান্সারের কেস স্টাডি করতে গিয়েই এ জিনিস নজরে আসে। কেন স্তনের উপরিভাগেই ক্যান্সার থাবা বসায়? কেনই বা বাম আর্মপিটে আক্রমণ বেশি হয়?

উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, এর নেপথ্যে আছে বডি স্প্রে-র ব্যবহার। যেহেতু বেশির ভাগ মানুষই ডানহাতি, সে কারণে বাঁদিকে বডি স্প্রে-র প্রয়োগ হয় বেশি। এছাড়া বুকের উপরিভাগেও অনেকে ডিওডোরেন্ট প্রয়োগ করেন। তাই শরীরের ওই অংশের কোষই এই রাসায়নিক শোষণ করে। তাই ওই অংশেই ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি। এছাড়া ডিওডোরেন্টে অ্যালুমিনিয়াম থাকে, যা ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের ব্যবহৃত যে কোনও প্রসাধনী দ্রব্যেই এমন সব রাসায়নিক থাকে যা ক্যান্সারের কারণ হয়ে ওঠে। ক্রমাগত এই ধরনের কসমেটিকসের ব্যবহারে ত্বক ক্যান্সার হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক জিনিস দিয়েই রূপচর্চার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সদ্য নির্বাচিত বোদা উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে শোকজ

নিয়মিত বডি স্প্রে ব্যবহার করলে হতে পারে বিপদ !

আপডেট সময় : ০১:৪০:০২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গরমে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে প্রায় প্রত্যেকেই বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন। এটি এখন অনেকেরই নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রতিদিন এই কাজ করার ফলেই কি একটু একটু করে বেড়ে চলেছে ক্যান্সারের সম্ভাবনা? অন্তত সাম্প্রতিক সমীক্ষা সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ খুঁজতে গিয়েই কাঠগড়ায় উঠেছে বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট। দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ ক্যান্সারই ধরা পড়ছে স্তনের উপরিভাগে। বা বাঁ-দিকের আর্মপিটে। ২০টির মধ্যে আঠেরোটি ক্ষেত্রেই এই জিনিস ধরা পড়েছে। এবং সেই টিউমারের নমুনা সমীক্ষা করে মিলেছে ‘প্যারাবেন’ নামে এক ধরনের রাসায়নিকের। এই রাসায়নিকই ক্যানসারের জন্য দায়ী। যা যথেচ্ছভাবে পাওয়া যায় ডিওডোরেন্টে।

মলিকিউলার বায়োলজিস্ট ড. ফিলিপ্পি দরব্রে এই নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছেন। আর তাতেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা যাচ্ছে, বেশির ভাগ বডি স্প্রে ও ডিওডোরেন্টে প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই রাসায়নিক। যা শরীরের কোষ শোষণ করে নেয়। দিনে দিনে তা ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। ব্রেস্ট ক্যান্সারের কেস স্টাডি করতে গিয়েই এ জিনিস নজরে আসে। কেন স্তনের উপরিভাগেই ক্যান্সার থাবা বসায়? কেনই বা বাম আর্মপিটে আক্রমণ বেশি হয়?

উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, এর নেপথ্যে আছে বডি স্প্রে-র ব্যবহার। যেহেতু বেশির ভাগ মানুষই ডানহাতি, সে কারণে বাঁদিকে বডি স্প্রে-র প্রয়োগ হয় বেশি। এছাড়া বুকের উপরিভাগেও অনেকে ডিওডোরেন্ট প্রয়োগ করেন। তাই শরীরের ওই অংশের কোষই এই রাসায়নিক শোষণ করে। তাই ওই অংশেই ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি। এছাড়া ডিওডোরেন্টে অ্যালুমিনিয়াম থাকে, যা ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের ব্যবহৃত যে কোনও প্রসাধনী দ্রব্যেই এমন সব রাসায়নিক থাকে যা ক্যান্সারের কারণ হয়ে ওঠে। ক্রমাগত এই ধরনের কসমেটিকসের ব্যবহারে ত্বক ক্যান্সার হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক জিনিস দিয়েই রূপচর্চার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।