নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে, এই খবর পুরনো। নতুন খবরটা জানেন কি? পৃথিবীর মানচিত্রে গ্রীষ্মপ্রধান দেশ বিশেষত, আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তাপমাত্রা যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও। নাসার নতুন সমীক্ষা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলিতে যত গরম বাড়বে, তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। বিজ্ঞানি হুই সু-এর করা এক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই এই অঞ্চলে ঘন মেঘের সঞ্চার হচ্ছে। মেঘের স্থানপরিবর্তনও বেশ লক্ষ্যণীয়।
বিশ্ব জুড়ে এখনও পূঞ্জীভূত মেঘের পরিমাণের উপর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ভর করে না। বৃষ্টি হওয়ার পিছনে অনেকাংশেই দায়ি পৃথিবীপৃষ্ঠে সূর্যের উত্তাপের জমাটবদ্ধতা। ভূপৃষ্ঠ থেকে সৌরকিরণের বিকিরণও বৃষ্টি হতে সাহায্য করে। যাকে রিপোর্টে বলা হচ্ছে এনার্জি বাজেট। গ্রীষ্মপ্রধান দেশের অতি উচ্চতাসম্পন্ন এলাকাগুলিতে মেঘের জমাট বাঁধার কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, গত কয়েক দশক ধরে মেঘের গতিবিধিতে বেশ কিছুটা হেরফের হচ্ছে যা বৃষ্টিপাতের পরিমাণেও তারতম্য ঘটাচ্ছে। সেই পরিমাণ এবার বাড়তে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
মেঘের স্তরের ওপরের দিকে, জলীয় বাষ্প বরফ কণায় পরিণত হয়ে তাপমাত্রা ছেড়ে দেয়। ফলে উ্ত্তাপ বাড়ে নিচের দিকে থাকা মেঘের স্তরগুলিতে। গত ৩০-৪০ বছরে গ্রীষ্মপ্রধান দেশ সংলগ্ন এলাকায় মেঘের জমাটবদ্ধতার পরিসর কিন্তু বেশ কিছুটা কমেছে। সে যাই হোক, বিজ্ঞানীরা থাকুন তাদের তত্বকথা নিয়ে, পর্যবেক্ষণ বা পরীক্ষা নিয়ে। আমরা শুধু জানি, এই প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে বৃষ্টিই ভরসা। মেঘের ওপর মেঘ জমুক, ছায়া নামুক, অঝোরে বৃষ্টি হোক। গরমে গলে যাওয়ার আগে, এইটুকুই তো চাওয়া!
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।