শিরোনাম :
Logo ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা Logo চাঁদপুরে ২১ তম জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo রাবিতে প্রো-ভিসি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি জিয়া পরিষদের নিন্দা Logo উৎসবমুখর  পরিবেশে কয়রায় পালিত হতে যাচ্ছে  শারদীয় দুর্গা উৎসব Logo কচুয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর Logo চাঁদপুরে জুলাই শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের মানববন্ধন Logo ইবিতে বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচিতে সম্প্রীতির বার্তা Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবিতে নবীনবরণ সম্পন্ন Logo যুবকদের কর্মসংস্থানে নতুন সম্ভাবনা-কয়রায় প্রশিক্ষণ সংলাপ  Logo

ঝিনাইদহে মনিটরিং ব্যাবস্থা নেই,রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে আগুন !

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:১৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহে রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে আগুন, মুল্যে ঊর্ধ্বগতি থামছেইনা। মনিটরিং সুব্যাবস্থা না থাকায়, জেলা জুড়ে ক্রেতাসাধারন হতাশ। রমজান এলে আমাদের বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া একটা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সময় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে। তেমনি চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজারে। রমজান মাসের শুরু থেকেই চাল, ডাল, চিনি, তেল ও কাঁচা মালের বাজার উর্ধ্বমুখী রয়েছে।

বার-বার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। তাদের অভিযোগ সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই ঊর্ধ্বগতির দামের এই লাগাম টেনে ধরা সম্ভব। স্থানীয় ক্রেতা মো.জাহাঙ্গির আলম বলেন, মুসলমানরা ধর্মের নিয়ম মেনে চলে না। রমজান শুরু হওয়ার আগে এক দফা ও রমজান শুরুর পরপরই আরেক দফা বেড়েছে বেশিরভাগ পণ্যের দাম। সবচেয়ে বেড়েছে সংসারের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় চাল, তেল, চিনি ও কাঁচা মরিচের দাম। মাছ ব্যবসায়ী বিশারত বলেন, সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে রোজার শেষের দিকে আরেক দফা দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। দাম কবে স্থিতিশীল হবে, এ নিয়ে শঙ্কায় ক্রেতারা। আরেক মাছ ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, সব ধরনের চাষের মাছের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

জৈনিক চাল ব্যবসায়ী বলেন, সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে রমজানের শুরুতেই। হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা সিন্ডিকেট বছরের পর বছর আমাদের নিয়ে খেলছে। আর আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের সরকারিভাবে আরও মদদ দিয়ে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। সেই সঙ্গে প্রয়োজন অনুপাতে চলছে মোবাইল কোর্ট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা

ঝিনাইদহে মনিটরিং ব্যাবস্থা নেই,রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে আগুন !

আপডেট সময় : ১০:৪২:১৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহে রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে আগুন, মুল্যে ঊর্ধ্বগতি থামছেইনা। মনিটরিং সুব্যাবস্থা না থাকায়, জেলা জুড়ে ক্রেতাসাধারন হতাশ। রমজান এলে আমাদের বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া একটা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সময় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে। তেমনি চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজারে। রমজান মাসের শুরু থেকেই চাল, ডাল, চিনি, তেল ও কাঁচা মালের বাজার উর্ধ্বমুখী রয়েছে।

বার-বার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। তাদের অভিযোগ সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই ঊর্ধ্বগতির দামের এই লাগাম টেনে ধরা সম্ভব। স্থানীয় ক্রেতা মো.জাহাঙ্গির আলম বলেন, মুসলমানরা ধর্মের নিয়ম মেনে চলে না। রমজান শুরু হওয়ার আগে এক দফা ও রমজান শুরুর পরপরই আরেক দফা বেড়েছে বেশিরভাগ পণ্যের দাম। সবচেয়ে বেড়েছে সংসারের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় চাল, তেল, চিনি ও কাঁচা মরিচের দাম। মাছ ব্যবসায়ী বিশারত বলেন, সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে রোজার শেষের দিকে আরেক দফা দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। দাম কবে স্থিতিশীল হবে, এ নিয়ে শঙ্কায় ক্রেতারা। আরেক মাছ ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, সব ধরনের চাষের মাছের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

জৈনিক চাল ব্যবসায়ী বলেন, সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে রমজানের শুরুতেই। হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা সিন্ডিকেট বছরের পর বছর আমাদের নিয়ে খেলছে। আর আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের সরকারিভাবে আরও মদদ দিয়ে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। সেই সঙ্গে প্রয়োজন অনুপাতে চলছে মোবাইল কোর্ট।