শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে চেকপোস্টে ফেন্সিডিল ও নগদ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার মাদককারবারি Logo ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের দুই দিনব্যাপী সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ Logo সাজিদ মৃত্যুর তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাস দাবিতে ইবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ Logo সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান গণমানুষের হৃদয়ে মানবিক নেত্রী Logo ক্ষমতা-টাকার জালে তদন্ত গায়েব, মিথ্যা গুজবে মরিয়া প্রধান শিক্ষক আফছার আলী Logo রাবি ছাত্রদল সভাপতির বক্তব্যের প্রতিবাদ রেজিস্ট্রার ও উপ-উপাচার্যের Logo চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি সেবার দরজায় এখন কাঁদা-পানি, ঝুঁকিতে রোগী-স্বজন Logo বিএনডি ফোরামের উদ্যোগে ১৬তম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত, চারা পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা Logo ড. ইউনূস ও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন জামায়াত আমির Logo পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

কামারখন্দের কেঁচো সার কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চাহিদা বাড়ছে জেলা ব্যাপী

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:২১:০৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ মে ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

রাকিবুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের  কেঁচো সার কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠার পাশাপাশি এর চাহিদা বেড়ে চলেছে জেলা ব্যাপী । এর উৎপাদন ও ব্যবহারে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষক। এলাকার বিভিন্ন গো খামার থেকে গোবর ক্রয় করে কেঁচো কম্পোস্ট তৈরী করা হয়। এতে করে একদিকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে না অপরদিকে জৈব সার উৎপাদন হচ্ছে। জেলার কামারখন্দ উপজেলার স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও এনডিপি নামক একটি বেসরকারি সংস্থা কেঁচো সার উৎপাদন ও ব্যবহারের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করে আসছে। উপজেলার শতাধিক কেঁচো সার উৎপাদনকারী রয়েছেন তারা প্রায় ১হাজার ৮শ’ টি রিং স্থাপন করে গোবরের মাধ্যমে সার উৎপাদন করে আসছেন। প্রতি ২৮দিনে উল্লেখিত রিং থেকে প্রায় ৭৫ টন কেঁচো সার উৎপাদন করা সম্ভব। ফসলের যে সমস্ত রোগবালাই হয় তার ৮০ ভাগ ছত্রাকজনিত। মাটিবাহিত যে সমস্ত ছত্রাক রাসায়নিক ছত্রাক দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না কেঁচো সারের মধ্যে থাকা ট্রাইকোডার্মা নামক অনুজীব সেগুলোকে ধ্বংস করে। মাটিবাহিত ছত্রাকের অবস্থান গাছের শিকরে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয় গাছের পাতায় যে কারণে মাটিবাহিত ছত্রাক ধ্বংস হয় না। ট্রাইকোডার্মা অনুজীব গাছের শিকরে অবস্থান করে যার ফলে অপকারী ছত্রাকগুলোর সেলওয়াল ভেঙ্গে দেয় এবং নেমাটোড ধ্বংস করে। উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের কেঁচো সার উৎপাদনকারী কৃষিবিদ মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বিশ্বে ১৮শ’ ৬০ প্রজাতির কেঁচো রয়েছে। আমরা ইসিনিয়া ফেটিডা ও ইসিনিয়া এন্ড্রিয়া প্রজাতির কেঁচো দ্বারা সার তৈরী থাকি। কারন এই দু’প্রজাতির কেঁচো খাদ্য গ্রহন বেশি করায় মল ত্যাগ বেশি করে ফলে সার উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। আমি কেঁচো সার উৎপাদন করে লাভবান হয়েছি। রসুলপুর গ্রামের কৃষক রইচ উদ্দিন জানান, আমি আগে ইউরিয়া সহ বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছি । কিন্তু কেঁচো সার আসার পর থেকে কেঁচো সার ব্যবহার করি। আগের তুলনায় এখন আমার খরচ কম হয় এবং ফসলের ফলন বেশি হয়।  সোনালী বাংলা ফার্টিলাজারের কেঁচো সার উৎপাদনকারী আ. রহমান জানান, আমি দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলাম। দেশে আসার পর কোন কাজকর্ম না পেয়ে গোবর দিয়ে কেঁচো সার উৎপাদনে নেমে পরি। এখন আমার প্রচুর টাকা হয়েছে।
ভায়ারচর গ্রামের কেঁচো সার ব্যবহারকারী কৃষক আ. কাদের জানান, কেঁচো সার উৎপাদন করা সহজ। এ সার জমিতে প্রয়োগ করলে মাটির উর্বরতা ও পানি ধারণ ক্ষমতা এবং গাছের আয়ুকালও বৃদ্ধি পায়। তাই অন্যন্য সার ব্যবহার না করে কেঁচো সার ব্যবহার করি।
কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিরুল ইসলাম সরকার জানান, কেঁচো সারে প্রচুর প্ররিমাণে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সালফার ও কপার বেশি পরিমাণে থাকে এবং গ্রহনযোগ্য আকারে থাকে যার ফলে গাছ অতি সহজেই গ্রহন করে। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল কৃষককে কেঁচো সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কেঁচো সার প্রথমত কানাডায় উৎপত্তি হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ৩২টি দেশে কেঁচো কম্পোস্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে চেকপোস্টে ফেন্সিডিল ও নগদ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার মাদককারবারি

কামারখন্দের কেঁচো সার কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চাহিদা বাড়ছে জেলা ব্যাপী

আপডেট সময় : ০৩:২১:০৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ মে ২০১৭

রাকিবুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের  কেঁচো সার কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠার পাশাপাশি এর চাহিদা বেড়ে চলেছে জেলা ব্যাপী । এর উৎপাদন ও ব্যবহারে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষক। এলাকার বিভিন্ন গো খামার থেকে গোবর ক্রয় করে কেঁচো কম্পোস্ট তৈরী করা হয়। এতে করে একদিকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে না অপরদিকে জৈব সার উৎপাদন হচ্ছে। জেলার কামারখন্দ উপজেলার স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও এনডিপি নামক একটি বেসরকারি সংস্থা কেঁচো সার উৎপাদন ও ব্যবহারের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করে আসছে। উপজেলার শতাধিক কেঁচো সার উৎপাদনকারী রয়েছেন তারা প্রায় ১হাজার ৮শ’ টি রিং স্থাপন করে গোবরের মাধ্যমে সার উৎপাদন করে আসছেন। প্রতি ২৮দিনে উল্লেখিত রিং থেকে প্রায় ৭৫ টন কেঁচো সার উৎপাদন করা সম্ভব। ফসলের যে সমস্ত রোগবালাই হয় তার ৮০ ভাগ ছত্রাকজনিত। মাটিবাহিত যে সমস্ত ছত্রাক রাসায়নিক ছত্রাক দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না কেঁচো সারের মধ্যে থাকা ট্রাইকোডার্মা নামক অনুজীব সেগুলোকে ধ্বংস করে। মাটিবাহিত ছত্রাকের অবস্থান গাছের শিকরে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয় গাছের পাতায় যে কারণে মাটিবাহিত ছত্রাক ধ্বংস হয় না। ট্রাইকোডার্মা অনুজীব গাছের শিকরে অবস্থান করে যার ফলে অপকারী ছত্রাকগুলোর সেলওয়াল ভেঙ্গে দেয় এবং নেমাটোড ধ্বংস করে। উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের কেঁচো সার উৎপাদনকারী কৃষিবিদ মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বিশ্বে ১৮শ’ ৬০ প্রজাতির কেঁচো রয়েছে। আমরা ইসিনিয়া ফেটিডা ও ইসিনিয়া এন্ড্রিয়া প্রজাতির কেঁচো দ্বারা সার তৈরী থাকি। কারন এই দু’প্রজাতির কেঁচো খাদ্য গ্রহন বেশি করায় মল ত্যাগ বেশি করে ফলে সার উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। আমি কেঁচো সার উৎপাদন করে লাভবান হয়েছি। রসুলপুর গ্রামের কৃষক রইচ উদ্দিন জানান, আমি আগে ইউরিয়া সহ বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছি । কিন্তু কেঁচো সার আসার পর থেকে কেঁচো সার ব্যবহার করি। আগের তুলনায় এখন আমার খরচ কম হয় এবং ফসলের ফলন বেশি হয়।  সোনালী বাংলা ফার্টিলাজারের কেঁচো সার উৎপাদনকারী আ. রহমান জানান, আমি দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলাম। দেশে আসার পর কোন কাজকর্ম না পেয়ে গোবর দিয়ে কেঁচো সার উৎপাদনে নেমে পরি। এখন আমার প্রচুর টাকা হয়েছে।
ভায়ারচর গ্রামের কেঁচো সার ব্যবহারকারী কৃষক আ. কাদের জানান, কেঁচো সার উৎপাদন করা সহজ। এ সার জমিতে প্রয়োগ করলে মাটির উর্বরতা ও পানি ধারণ ক্ষমতা এবং গাছের আয়ুকালও বৃদ্ধি পায়। তাই অন্যন্য সার ব্যবহার না করে কেঁচো সার ব্যবহার করি।
কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিরুল ইসলাম সরকার জানান, কেঁচো সারে প্রচুর প্ররিমাণে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সালফার ও কপার বেশি পরিমাণে থাকে এবং গ্রহনযোগ্য আকারে থাকে যার ফলে গাছ অতি সহজেই গ্রহন করে। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল কৃষককে কেঁচো সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কেঁচো সার প্রথমত কানাডায় উৎপত্তি হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ৩২টি দেশে কেঁচো কম্পোস্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করা হয়।