নিউজ ডেস্ক:
টানা ষষ্ঠবারের মত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন বসলো। এবারের অধিবেশনে পুরো মার্চ মাসকেই ‘বাংলাদেশী হেরিটেজ মান্থ’ হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি ২৬ মার্চকে ‘বাংলাদেশ ডে’ হিসেবে রেজ্যুলেশন করা হয়।
নিউইয়র্ক সিটিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে জড়ো হওয়া প্রবাসী বাঙালিদের বিশেষভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয় সিনেট ও এ্যাসেম্বলী হলে। মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশ ও বাঙালিদের বিশেষ সম্মান জানানোর এ অনুষ্ঠান ২৮ মার্চ মঙ্গলবার নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনীতে অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্ক সিটি থেকে দেড়শত মাইল দূর আলবেনীর এ অনুষ্ঠানে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন।
বাঙালিদের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পরিচিত স্টেট সিনেটর রুবিন দিয়াজ এবং স্টেট এ্যাসেম্বলীম্যান লুইস সেপুলভেদারের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও ৪ সিনেটর বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা উল্লেখ করেন, মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। একাত্তরের ২৫ মার্চ পাক হানাদারদের বর্বরতা ও নৃশংসতার তথ্যও বাদ যায়নি এ সময়। সেই যুদ্ধে শহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানায় অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্ট।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ৬ বিশিষ্ট বাংলাদেশীকে অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্ট থেকে ‘প্রক্লেমশন’ প্রদান করা হয়। সমাজকর্মে বিশেষ অবদানের পাশাপাশি মার্কিন মুল্লুকে বাঙালি সংস্কৃতির লালন ও বিকাশে নিরন্তরভাবে সক্রিয় থাকায় এ ‘প্রক্লেমেশন’ প্রদান করা হয় কম্যুনিটি লিডার মোহাম্মদ এন মজুমদার, সমাজকর্মে ‘পিপল এ্যান টেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি’র প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফকে।
স্টেট সিনেটর রুবিন দিয়াজ এবং এ্যাসেম্বলীম্যান লেুইস সেপুলভেদা এসব প্রক্লেমেশন হস্তান্তর করেন বিপুল করতালির মধ্যে। অপর ৪ বাংলাদেশী হচ্ছেন মোবাশ্বর হাশমী, সালেহউদ্দিন, মাহবুব আলম এবং ইঞ্জিনিয়ার এম এ খালেক। এছাড়া, বাংলা ভাষা, সংস্কৃতির আদলে প্রবাসে বিভিন্নভাবে সক্রিয় থাকা ১৩টি সংগঠনকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত ৬ বছর যাবত এমন আয়োজন করার জন্যে অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টের সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান ।