শিরোনাম :
Logo ইকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা Logo বীরগঞ্জে উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo বীরগঞ্জের দুই বোন মণি ও মুক্তার ১৭ তম জন্মদিন আজ ২২ আগষ্ট Logo চীনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন রাবি শিক্ষার্থী রেদওয়ান ইসলাম রিদয় Logo লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রবাসী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লার পিতা- মাতার মাগফেরাত কামনায় দোয়া Logo চৌহালীতে খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তায় সরকারি ৩৫ বস্তা চাল উদ্ধার Logo যবিপ্রবির নাম-লোগো সম্বলিত ফেসবুক পেজ বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ Logo পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি মামুনুর রশীদ, বিদ্যোৎসাহী সদস্য ইউসুফ মিয়াজী Logo কুবি শিক্ষার্থীকে ‘ছিনতাই ও শ্লীলতাহানির’ অভিযোগ; গ্রেফতার ২, পলাতক ৩ Logo চাঁদপুর তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে খাবার বিতরণ

ইকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ইকসু গঠন আন্দোলনের নেতারা। আগামীকাল শনিবার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে তারা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। কর্মসূচিতে জানানো হয়, ওই সময়ের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ না হলে সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হামিদুর রহমান মিলনায়তনের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী বোরহানউদ্দিন।
তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার স্মারকলিপি দেওয়া হলেও প্রশাসন ইকসু গঠনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং আইনের অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টি বারবার এড়িয়ে গেছে।”
বোরহানউদ্দিন আরও বলেন, “যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেভাবেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি হয়ে পড়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।”
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে রাজপথের ভাষায় আন্দোলন করা হবে। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “ইকসু কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের নয়, এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকার। এই অধিকার থেকে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার সুযোগ নেই।”
এসময় তিনি সক্রিয় সকল ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আন্দোলনে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “চব্বিশের জুলাইয়ে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করেছি, ঠিক সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ইকসু বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—ইবি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহমেদ, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফতে ছাত্র মজলিশ সভাপতি সাদেক আহম্মদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী।
তবে সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। তাদের অভিযোগ, আয়োজকরা প্রথমে তাদের আমন্ত্রণ জানালেও পরে আবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। একইসাথে তারা প্রশ্ন তোলেন, যদি এটি শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সংবাদ সম্মেলন হয়, তবে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কেন ছিল না। যদিও তারা জানান, ইকসু গঠনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় সব ছাত্র সংগঠনই একাত্ম রয়েছে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা

ইকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা

আপডেট সময় : ১১:০৯:৪৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ইকসু গঠন আন্দোলনের নেতারা। আগামীকাল শনিবার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে তারা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। কর্মসূচিতে জানানো হয়, ওই সময়ের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ না হলে সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হামিদুর রহমান মিলনায়তনের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী বোরহানউদ্দিন।
তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার স্মারকলিপি দেওয়া হলেও প্রশাসন ইকসু গঠনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং আইনের অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টি বারবার এড়িয়ে গেছে।”
বোরহানউদ্দিন আরও বলেন, “যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেভাবেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি হয়ে পড়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।”
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে রাজপথের ভাষায় আন্দোলন করা হবে। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “ইকসু কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের নয়, এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকার। এই অধিকার থেকে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার সুযোগ নেই।”
এসময় তিনি সক্রিয় সকল ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আন্দোলনে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “চব্বিশের জুলাইয়ে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করেছি, ঠিক সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ইকসু বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—ইবি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহমেদ, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফতে ছাত্র মজলিশ সভাপতি সাদেক আহম্মদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী।
তবে সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। তাদের অভিযোগ, আয়োজকরা প্রথমে তাদের আমন্ত্রণ জানালেও পরে আবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। একইসাথে তারা প্রশ্ন তোলেন, যদি এটি শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সংবাদ সম্মেলন হয়, তবে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কেন ছিল না। যদিও তারা জানান, ইকসু গঠনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় সব ছাত্র সংগঠনই একাত্ম রয়েছে।