ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিগত বছরগুলোর মতোই এ বছরও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে পূজা-অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থানা গেটসংলগ্ন সবুজ চত্বরে পূজা ও প্রার্থনা সম্পন্ন হয়। পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নয়ন কুমার রাজবংশী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুব্রত কুমার চক্রবর্তী, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার রায়সহ তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।
হিন্দু পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, অন্যায়-অত্যাচার যখন সমাজকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন মানবকল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান কৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক অরবিন্দ সাহা বলেন, “শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজকের পূজায় সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ভবিষ্যতেও এভাবেই আমাদের পাশে থাকবেন।” তিনি আরও বলেন, “ভগবান কৃষ্ণ সাম্য, ন্যায়, সত্য ও কল্যাণের বার্তা দিয়েছেন। তাঁর আদর্শ আমাদের জীবনকে আলোকিত করবে এবং সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে।”
প্রসঙ্গত, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে দুপুর ২টায় ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নয়ন কুমার রাজবংশী এবং আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুব্রত কুমার চক্রবর্তী।
ধর্মীয় আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ এবং বিশেষ আলোচক থাকবেন অধ্যাপক ড. তপন কুমার রায়। আলোচনা শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ ও বিকেল ৪টায় ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের প্রভাষক ইন্দ্রানী মোদক, ইসলামিয়া কলেজের প্রভাষক শুক্লা মজুমদার এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।