গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত গভীরেও থেমে থাকেনি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের আগুন। মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, চাঁদাবাজির ঠাঁই নাই’, ‘সাংবাদিক নিহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘সাঈদ ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘কণ্ঠে আবার লাগা জোর, চাঁদাবাজদের কবর খোড়’, ‘সন্ত্রাসীদে আস্তনা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়— এটি চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তশক্তির প্রকাশ্য দম্ভের বহিঃপ্রকাশ। তারা অভিযোগ করেন, স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপেরই প্রতীক হয়ে উঠেছে এই নির্মম হত্যা।
বক্তারা স্মরণ করিয়ে দেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আমরা একসাথে লড়েছি, ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করেছি। আজও সেই লড়াই থেমে নেই। সাংবাদিক হত্যার বিচার না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
তারা প্রশ্ন তোলেন— “চব্বিশের পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে কী আমরা এটাই প্রত্যাশা করেছিলাম? যেখানে হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসবে?”
ইন্টেরিম সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, “যদি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার না হয়, যদি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হয়— তবে আপনারা চেয়ার ছেড়ে দিন।”
প্রসঙ্গত, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার মসজিদ মার্কেটের সামনে রাত ৮টার দিকে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন।