বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দিন ৫ আগস্ট, গণঅভ্যুত্থান দিবস। এই দিনে শহীদদের স্মরণ এবং ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করার লক্ষ্যে কচুয়ায় বর্ণাঢ্য গণমিছিল ও পথসভা আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি।
মঙ্গলবার বিকেলে কচুয়া আল ফাতেহা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল শুরু হয়ে কচুয়া বিশ্বরোড ঘুরে ডাকবাংলো চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। দীর্ঘ এ পথজুড়ে হাজারো নেতাকর্মীর পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে জামায়াতপন্থী নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ডাকবাংলো চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের জামায়াতে ইসলামির সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আবু নছর আশরাফী।
তিনি বলেন—আগস্ট ঐতিহাসিক দিন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে স্বৈরাচার থেকে। গণঅভ্যুত্থান মনে করিয়ে দেয় অন্যায় অত্যাচার আর নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। তিনি আরো বলেন,ইসলামী আদর্শভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই একমাত্র পথ। আমরা কাউকে অপমান করতে চাই না, বরং মানুষের অধিকার রক্ষায় সত্যের পথে দৃঢ় থাকব।”
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন: কচুয়া উপজেলা জামায়াতে আমীর অ্যাডভোকেট আবু তাহের মেজবাহ,নায়েবে আমীর মাস্টার সিরাজুল ইসলাম — জাকিরুল্লাহ শাজুলী, উপজেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ও স্থানীয় ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে—আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বিগত সময়ে এদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে।রাজনৈতিক নিপীড়ন, আলেম-উলামার ওপর দমন-পীড়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছিল,কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।
সমাবেশে কচুয়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কয়েক সহস্রাধিক জামায়াত নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। মিছিল ছিল শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ। পথচারীদের অনেকেই থেমে দাঁড়িয়ে মিছিল লক্ষ্য করেন, কেউ কেউ ভিডিও ধারণ করেন, অনেকে আবার মিছিলকারীদের স্লোগানে সাড়া দিয়ে সংহতি জানান।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশ সদস্যরা মিছিল ও সমাবেশ চলাকালে সতর্ক অবস্থানে ছিল, তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গণঅভ্যুত্থান দিবসে জামায়াতে ইসলামির এই আয়োজন প্রমাণ করে—তারা এখনো মাঠে সক্রিয় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ইসলামী রাজনীতির ভিত্তিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।