শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

রিংয়ের রাজা রোমান রিংস: প্রতিকূলতা জয় করে ডব্লিউডব্লিউই-এর শীর্ষে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:২৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

হাসনাত জিসান, নীল কন্ঠ

পেশাদার রেসলিং-এর ইতিহাসে এমন কিছু নাম থাকে, যারা শুধু একেকজন রেসলার নন, বরং একটি সময়, একটি অধ্যায়। রোমান রিংস ঠিক তেমনই এক নাম।

ডব্লিউডব্লিউই (WWE) -এর বর্তমান সময়ের রাজত্বের প্রতীক, ‘দ্য ট্রাইভাল চিফ’ খেতাব পাওয়া এই কুস্তীগির আধুনিক কুস্তি খেলার জগতের অন্যতম প্রভাবশালী চরিত্র।

»শুরুর গল্প: ফুটবল থেকে রিং পর্যন্ত

আসল নাম লিটি জোসেফ “জো” আনোয়া’ই। জন্ম: ২৫ মে ১৯৮৫, ফ্লোরিডার পেনসাকোলা শহরে। প্রখ্যাত সামোয়ান রেসলিং পরিবারের উত্তরসূরি হলেও, প্রথমে তিনি পেশাদার ফুটবলার ছিলেন।কানাডিয়ান ফুটবল লিগ (সিএফল) -এ খেলেছেন তিনি। তবুও ফুটবলার হিসাবে তার পথচলা দীর্ঘ হয়নি। ২০১০ সালে ডব্লিউডব্লিউই – এ যোগ দিয়ে সূচনা করেন নতুন অধ্যায়ের। ২০১২ সালে ‘দ্য শিল্ড’ নামে গ্রুপে ডিন অ্যামব্রোস ও সেথ রোলিন্সের সঙ্গে অভিষেক করেন। মাত্র কয়েক মাসেই তারা হয়ে ওঠেন ডব্লিউডব্লিউই -র ত্রাস। রোমানের শক্তিশালী আক্রমণাত্মক কৌশল ‘স্পিয়ার’ হয়ে উঠে তার আইকনিক অস্ত্র। একটা সময় শিল্ড ভেঙে যায় অতঃপর শুরু হয় রোমানের একক যাত্রা।

»চ্যাম্পিয়নশিপের রাজপুত্র থেকে রাজা

ডব্লিউডব্লিউই -র তিন বার চ্যাম্পিয়ান ও দুই বার ইউনিভার্সাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রোমান। ২০১৫ সালে রয়্যাল রাম্বল বিজয়ী সহ বহু অর্জন আছে তার।কিন্তু তার সবচেয়ে স্মরণীয় অধ্যায় শুরু হয় ২০২০ সালে — ‘দ্য ট্রাইভাল চিফ’ রূপে।

»দ্যা ব্লাডলাইন ও দীর্ঘ রাজত্ব

রোমান রিংসের সাথে ভাই জেই ও জিমি উসো ও পরবর্তীতে সলো সিকোয়া যুক্ত হয়ে গড়ে উঠে ‘দ্য ব্লাডলাইন’ গ্রুপ। শক্তি কৌশলে ডব্লিউডব্লিউই-এর ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী ও জনপ্রিয় গ্রুপে পরিণত হয়।তিনি টানা ১৩১৬ দিন ইউনিভার্সাল চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রেখে গড়েছেন আধুনিক কুস্তি ডব্লিউডব্লিউই-র সবচেয়ে দীর্ঘ শাসন।

»ব্যক্তিগত সংগ্রাম ও অনুপ্রেরণা

রোমান রিংস শুধু রিংয়ের ভেতরেই নয়, জীবনের লড়াইটাও করেছেন রিংয়ের বাইরে। তিনি দুইবার ব্লাড ক্যান্সার (লিউকেমিয়া)-এর সাথে যুদ্ধ করে ফিরে এসেছেন। তার ফিরে আসা কোটি ভক্তের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক।

»সাম্প্রতিক বিরতি ও প্রত্যাবর্তনের গুঞ্জন

২০২৫ সালের ২১ এপ্রিলের পর্বে সম্প্রচারিত খেলার রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। সেই রাতে সেথ রোলিন্স ও ব্রন ব্রেক্কারের স্টোরিলাইন আক্রমণের মাধ্যমে তাকে ইনজুরি ক্যারেক্টারে বাদ দেখানো হয়। এরপর থেকেই তিনি ডব্লিউডব্লিউই-এর রিং থেকে অনুপস্থিত তারকার তালিকায় রয়েছেন।ধারণা করা হচ্ছে, রোমান গ্রীষ্মকালীন বিশেষ রেসলিং উৎসব (আগস্টের মধ্যে)–এ আবার রিংয়ে ফিরবেন। তার ফিরে আসা নিয়ে ডব্লিউডব্লিউই-এর কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা না এলেও, একাধিক রেসলিং রিপোর্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, এটাই তার সম্ভাব্য ফিরে আসার সময়।

শুরুর দিকে ভক্তদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেলেও, ‘দ্য ট্রাইভাল চিফ’ চরিত্রে তার অভিনয়, পারফরম্যান্স ও ক্যারিশমা তাকে একজন ‘মেইন ইভেন্টার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়। ডব্লিউডব্লিউই-র ব্র্যান্ড মুখ হিসেবে এখনো তিনিই সবার আগে।বিরতি কাটিয়ে ফেরার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তার ভক্তরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

রিংয়ের রাজা রোমান রিংস: প্রতিকূলতা জয় করে ডব্লিউডব্লিউই-এর শীর্ষে

আপডেট সময় : ০৪:২৬:২৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

হাসনাত জিসান, নীল কন্ঠ

পেশাদার রেসলিং-এর ইতিহাসে এমন কিছু নাম থাকে, যারা শুধু একেকজন রেসলার নন, বরং একটি সময়, একটি অধ্যায়। রোমান রিংস ঠিক তেমনই এক নাম।

ডব্লিউডব্লিউই (WWE) -এর বর্তমান সময়ের রাজত্বের প্রতীক, ‘দ্য ট্রাইভাল চিফ’ খেতাব পাওয়া এই কুস্তীগির আধুনিক কুস্তি খেলার জগতের অন্যতম প্রভাবশালী চরিত্র।

»শুরুর গল্প: ফুটবল থেকে রিং পর্যন্ত

আসল নাম লিটি জোসেফ “জো” আনোয়া’ই। জন্ম: ২৫ মে ১৯৮৫, ফ্লোরিডার পেনসাকোলা শহরে। প্রখ্যাত সামোয়ান রেসলিং পরিবারের উত্তরসূরি হলেও, প্রথমে তিনি পেশাদার ফুটবলার ছিলেন।কানাডিয়ান ফুটবল লিগ (সিএফল) -এ খেলেছেন তিনি। তবুও ফুটবলার হিসাবে তার পথচলা দীর্ঘ হয়নি। ২০১০ সালে ডব্লিউডব্লিউই – এ যোগ দিয়ে সূচনা করেন নতুন অধ্যায়ের। ২০১২ সালে ‘দ্য শিল্ড’ নামে গ্রুপে ডিন অ্যামব্রোস ও সেথ রোলিন্সের সঙ্গে অভিষেক করেন। মাত্র কয়েক মাসেই তারা হয়ে ওঠেন ডব্লিউডব্লিউই -র ত্রাস। রোমানের শক্তিশালী আক্রমণাত্মক কৌশল ‘স্পিয়ার’ হয়ে উঠে তার আইকনিক অস্ত্র। একটা সময় শিল্ড ভেঙে যায় অতঃপর শুরু হয় রোমানের একক যাত্রা।

»চ্যাম্পিয়নশিপের রাজপুত্র থেকে রাজা

ডব্লিউডব্লিউই -র তিন বার চ্যাম্পিয়ান ও দুই বার ইউনিভার্সাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রোমান। ২০১৫ সালে রয়্যাল রাম্বল বিজয়ী সহ বহু অর্জন আছে তার।কিন্তু তার সবচেয়ে স্মরণীয় অধ্যায় শুরু হয় ২০২০ সালে — ‘দ্য ট্রাইভাল চিফ’ রূপে।

»দ্যা ব্লাডলাইন ও দীর্ঘ রাজত্ব

রোমান রিংসের সাথে ভাই জেই ও জিমি উসো ও পরবর্তীতে সলো সিকোয়া যুক্ত হয়ে গড়ে উঠে ‘দ্য ব্লাডলাইন’ গ্রুপ। শক্তি কৌশলে ডব্লিউডব্লিউই-এর ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী ও জনপ্রিয় গ্রুপে পরিণত হয়।তিনি টানা ১৩১৬ দিন ইউনিভার্সাল চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রেখে গড়েছেন আধুনিক কুস্তি ডব্লিউডব্লিউই-র সবচেয়ে দীর্ঘ শাসন।

»ব্যক্তিগত সংগ্রাম ও অনুপ্রেরণা

রোমান রিংস শুধু রিংয়ের ভেতরেই নয়, জীবনের লড়াইটাও করেছেন রিংয়ের বাইরে। তিনি দুইবার ব্লাড ক্যান্সার (লিউকেমিয়া)-এর সাথে যুদ্ধ করে ফিরে এসেছেন। তার ফিরে আসা কোটি ভক্তের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক।

»সাম্প্রতিক বিরতি ও প্রত্যাবর্তনের গুঞ্জন

২০২৫ সালের ২১ এপ্রিলের পর্বে সম্প্রচারিত খেলার রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। সেই রাতে সেথ রোলিন্স ও ব্রন ব্রেক্কারের স্টোরিলাইন আক্রমণের মাধ্যমে তাকে ইনজুরি ক্যারেক্টারে বাদ দেখানো হয়। এরপর থেকেই তিনি ডব্লিউডব্লিউই-এর রিং থেকে অনুপস্থিত তারকার তালিকায় রয়েছেন।ধারণা করা হচ্ছে, রোমান গ্রীষ্মকালীন বিশেষ রেসলিং উৎসব (আগস্টের মধ্যে)–এ আবার রিংয়ে ফিরবেন। তার ফিরে আসা নিয়ে ডব্লিউডব্লিউই-এর কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা না এলেও, একাধিক রেসলিং রিপোর্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, এটাই তার সম্ভাব্য ফিরে আসার সময়।

শুরুর দিকে ভক্তদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেলেও, ‘দ্য ট্রাইভাল চিফ’ চরিত্রে তার অভিনয়, পারফরম্যান্স ও ক্যারিশমা তাকে একজন ‘মেইন ইভেন্টার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়। ডব্লিউডব্লিউই-র ব্র্যান্ড মুখ হিসেবে এখনো তিনিই সবার আগে।বিরতি কাটিয়ে ফেরার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তার ভক্তরা।