শিরোনাম :
Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন

যে কারনে ছেলেদের চাইতে মেয়েদের প্রস্রাবের সংক্রমণ বেশি হয় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১১:২১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রস্রাবের রাস্তায় সংক্রমণ হয় না এমন লোক বিরল। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সচরাচর সংক্রমণ বেশি হয়। এর কারণ হলো মেয়েদের মূত্রনালী ছেলেদের তুলনায় অনেক ছোট। এছাড়া পায়ূপথ এবং মূত্রনালীর দূরত্বও অনেক কম। ফলে জীবাণু খুব সহজে পায়ূপথ থেকে মূত্রনালীতে প্রবেশকরতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটায়।

রোগের কারণঃ

১. প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগের কারণ হলো ই-কলাই নামক জীবাণু। এই জীবাণু অসতর্ক মুহূর্তে পায়ূপথ থেকে মূত্রনালীতে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। এ ছাড়া প্রোটিয়াস,সিউডোমোনাস, স্ট্রেপটোকক্কাই, স্ট্যাফাইলোকক্কাই, ক্লেবসিয়েলা প্রভৃতি জীবাণুও মূত্রপথের সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে।
২. প্রস্রাব করার সময় মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি না হওয়া (এটা সাধারণত ঘটে প্রোস্টেটগ্রন্থি বড় হওয়া, মূত্রনালী সঙ্কীর্ণ হওয়া, মূত্রথলিতে স্নায়ুজনিত দুর্বলতা প্রভৃতি কারণে)।
৩. মূত্রতন্ত্রে পাথর অখবা বাইরের কোনো বস্তু থাকলে কিংবা টিউমার হলে।
৪. যৌনসঙ্গমের ফলে মূত্রনালীতে আঘাত লাগলে। (এ ক্ষেত্রে পেরিনিয়ামথেকে ব্যাকটেরিয়া মূত্রথলিতে স্থানান্তর হতে পারে)।

প্রতিরোধঃ

১. দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করতে হবে।
২. দিনে তিন ঘণ্টা পরপর এবং ঘুমোতে যাওয়ারআগে নিয়মিত ভালোভাবে প্রস্রাব করতে হবে।
৩. মূত্রথলি যেন সম্পূর্ণ খালি হয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
৪. প্রস্রাবের বেগ এলেই প্রস্রাব করতে হবে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি করতে হবে। প্রস্রাব করার পর প্রয়োজনে ১০-১৫ মিনিট পর আবার প্রস্রাব করতে হবে।
৫. যৌন মিলনের আগে এবং পরে প্রস্রাব করে মূত্রথলি খালি করতে হবে।
৬. প্রতিবার যৌন মিলনের পর ভালো করে পানি দিয়ে প্রস্রাবের স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
7. যৌন মিলনের আগে প্রস্রাবের পথের চারপাশে ০.৫০% সেট্রিমাইড ক্রিম মেখে নিতে হবে।
8. যদি ওপরের ব্যবস্থায় কাজ না হয় তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে প্রস্রাব করার পরে একটি একক মাত্রায় কোনো উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা যেতে পারে।

বিঃদ্রঃ রোগ নির্নয়ও তার চিকিৎসার জন্য সংশ্লিস্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ

যে কারনে ছেলেদের চাইতে মেয়েদের প্রস্রাবের সংক্রমণ বেশি হয় !

আপডেট সময় : ০২:১১:২১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রস্রাবের রাস্তায় সংক্রমণ হয় না এমন লোক বিরল। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সচরাচর সংক্রমণ বেশি হয়। এর কারণ হলো মেয়েদের মূত্রনালী ছেলেদের তুলনায় অনেক ছোট। এছাড়া পায়ূপথ এবং মূত্রনালীর দূরত্বও অনেক কম। ফলে জীবাণু খুব সহজে পায়ূপথ থেকে মূত্রনালীতে প্রবেশকরতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটায়।

রোগের কারণঃ

১. প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগের কারণ হলো ই-কলাই নামক জীবাণু। এই জীবাণু অসতর্ক মুহূর্তে পায়ূপথ থেকে মূত্রনালীতে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। এ ছাড়া প্রোটিয়াস,সিউডোমোনাস, স্ট্রেপটোকক্কাই, স্ট্যাফাইলোকক্কাই, ক্লেবসিয়েলা প্রভৃতি জীবাণুও মূত্রপথের সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে।
২. প্রস্রাব করার সময় মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি না হওয়া (এটা সাধারণত ঘটে প্রোস্টেটগ্রন্থি বড় হওয়া, মূত্রনালী সঙ্কীর্ণ হওয়া, মূত্রথলিতে স্নায়ুজনিত দুর্বলতা প্রভৃতি কারণে)।
৩. মূত্রতন্ত্রে পাথর অখবা বাইরের কোনো বস্তু থাকলে কিংবা টিউমার হলে।
৪. যৌনসঙ্গমের ফলে মূত্রনালীতে আঘাত লাগলে। (এ ক্ষেত্রে পেরিনিয়ামথেকে ব্যাকটেরিয়া মূত্রথলিতে স্থানান্তর হতে পারে)।

প্রতিরোধঃ

১. দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করতে হবে।
২. দিনে তিন ঘণ্টা পরপর এবং ঘুমোতে যাওয়ারআগে নিয়মিত ভালোভাবে প্রস্রাব করতে হবে।
৩. মূত্রথলি যেন সম্পূর্ণ খালি হয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
৪. প্রস্রাবের বেগ এলেই প্রস্রাব করতে হবে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি করতে হবে। প্রস্রাব করার পর প্রয়োজনে ১০-১৫ মিনিট পর আবার প্রস্রাব করতে হবে।
৫. যৌন মিলনের আগে এবং পরে প্রস্রাব করে মূত্রথলি খালি করতে হবে।
৬. প্রতিবার যৌন মিলনের পর ভালো করে পানি দিয়ে প্রস্রাবের স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
7. যৌন মিলনের আগে প্রস্রাবের পথের চারপাশে ০.৫০% সেট্রিমাইড ক্রিম মেখে নিতে হবে।
8. যদি ওপরের ব্যবস্থায় কাজ না হয় তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে প্রস্রাব করার পরে একটি একক মাত্রায় কোনো উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা যেতে পারে।

বিঃদ্রঃ রোগ নির্নয়ও তার চিকিৎসার জন্য সংশ্লিস্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়।