বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘চাঁদা না পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে’–এই শিরোনামে দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে ঈদের আগে চাঁদা না পেয়ে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে সড়কে ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে ভুক্তভোগী তাঁর বক্তব্যে অভিযুক্তদের ছাত্রশিবির কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ না করে একপাক্ষিকভাবে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রচার করেছে, যা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।
আমরা মনে করি, প্রথম আলো-এর মতো একটি প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম এ ধরনের একপাক্ষিক, যাচাইবিহীন এবং মনগড়া প্রতিবেদন ‘দুর্ঘটনাবশত’ করেছে—এমনটি বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। বরং এটি স্পষ্ট যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক কর্মকাণ্ড এবং ইতিবাচক ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। একই সাথে, প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট পক্ষ বা গোষ্ঠীর প্ররোচনায় এই ধরনের মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশের সুযোগ দিয়েছে। আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের এই দায়িত্বহীন, অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ছাড়াও, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, উক্ত ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।’
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইতোপূর্বে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরকে নিয়ে একাধিক মনগড়া ও হাস্যকর শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেমন—’শিবিরের কমিটিতে পূজা চেরী, যা বললেন নায়িকা!’, ‘২৬ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন শিবির’ নাছির’। এ ছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যা সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থি।