শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo খুবিতে গনিত ক্লাবের যাত্রা: দায়িত্ব পেয়েছে পরমা-পলাশ Logo খুবিতে ‘মাইন্ড ওভার ম্যাথ’ শীর্ষক আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান Logo  অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের তীব্র নিন্দা Logo কচুয়ায় দাড়িপাল্লার গণজোয়ার: জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর গণসংযোগে মানুষের ঢল Logo জননেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুমানা মাহমুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জেলা বিএনপির নেতার Logo জমকালো আয়োজনে ইবিতে নবীন বরণ  Logo ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির জনসভা Logo গাইবান্ধায় মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা

খালেদা জিয়া উপহার দিয়েছিলেন, তাই ১২ বছর পরিত্যক্ত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্স

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে
২০০৩ সালে শিক্ষার্থীদের জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদ জিয়া উপহার দেওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটি গত ১২ বছর ধরে অচল ছিল। এতদিন পর পুনরায় সচল হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি।

এই অ্যাম্বুলেন্সটি দেওয়া হলেও ২০১৫ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের উদ্যোগে এটি মেরামত করে পুনরায় চালু করা হয়েছে।

২০০৩ সালে অ্যাম্বুলেন্সটি পবিপ্রবির চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ২০১৫ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির পর এটি আর মেরামত করা হয়নি।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে এটি ক্যাম্পাসের এক কোণে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এটি বরিশাল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে এটি আরও কয়েক বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।

২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বরিশাল ক্যাম্পাস পরিদর্শনকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটি দেখে মর্মাহত হন। তিনি অবিলম্বে পরিবহন কর্মকর্তাকে ডেকে এর কারণ জানতে চান এবং দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেন।

উপাচার্যের নির্দেশে অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন, চাকা, পাওয়ার সিস্টেম, লাইটসহ প্রয়োজনীয় অংশ মেরামত করা হয়। অবশেষে ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ এটি পুনরায় চালু হয়ে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবায় যুক্ত হয়।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে শেরে বাংলা হল রাখা হয়েছিল, যা বর্তমান উপাচার্যের উদ্যোগে আগের নামে ফিরে এসেছে।

শিক্ষার্থী সোহেল রানা জনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি অবহেলায় পড়ে থাকায় আমরা খুব কষ্ট পেতাম।

এখন এটি আবার চালু হয়েছে দেখে আমরা আনন্দিত।

পরিবহন কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটির সব অংশ মেরামত করা হয়েছে। এটি এখন পুরোপুরি কার্যকর।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বেগম খালেদা জিয়ার উপহার দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি পুনরায় চালু করতে পেরে আমি গর্বিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সম্পদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়া উচিত নয়।

এটি যারা পরিত্যক্ত করেছিলেন, তারা অন্যায় করেছেন। শিক্ষার্থীদের সেবায় এটি ব্যবহারই আমাদের লক্ষ্য।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে পবিপ্রবির চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন এবং পরিত্যক্ত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

খালেদা জিয়া উপহার দিয়েছিলেন, তাই ১২ বছর পরিত্যক্ত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্স

আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
২০০৩ সালে শিক্ষার্থীদের জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদ জিয়া উপহার দেওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটি গত ১২ বছর ধরে অচল ছিল। এতদিন পর পুনরায় সচল হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি।

এই অ্যাম্বুলেন্সটি দেওয়া হলেও ২০১৫ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের উদ্যোগে এটি মেরামত করে পুনরায় চালু করা হয়েছে।

২০০৩ সালে অ্যাম্বুলেন্সটি পবিপ্রবির চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ২০১৫ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির পর এটি আর মেরামত করা হয়নি।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে এটি ক্যাম্পাসের এক কোণে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এটি বরিশাল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে এটি আরও কয়েক বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।

২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বরিশাল ক্যাম্পাস পরিদর্শনকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটি দেখে মর্মাহত হন। তিনি অবিলম্বে পরিবহন কর্মকর্তাকে ডেকে এর কারণ জানতে চান এবং দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেন।

উপাচার্যের নির্দেশে অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন, চাকা, পাওয়ার সিস্টেম, লাইটসহ প্রয়োজনীয় অংশ মেরামত করা হয়। অবশেষে ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ এটি পুনরায় চালু হয়ে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবায় যুক্ত হয়।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে শেরে বাংলা হল রাখা হয়েছিল, যা বর্তমান উপাচার্যের উদ্যোগে আগের নামে ফিরে এসেছে।

শিক্ষার্থী সোহেল রানা জনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি অবহেলায় পড়ে থাকায় আমরা খুব কষ্ট পেতাম।

এখন এটি আবার চালু হয়েছে দেখে আমরা আনন্দিত।

পরিবহন কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটির সব অংশ মেরামত করা হয়েছে। এটি এখন পুরোপুরি কার্যকর।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বেগম খালেদা জিয়ার উপহার দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি পুনরায় চালু করতে পেরে আমি গর্বিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সম্পদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়া উচিত নয়।

এটি যারা পরিত্যক্ত করেছিলেন, তারা অন্যায় করেছেন। শিক্ষার্থীদের সেবায় এটি ব্যবহারই আমাদের লক্ষ্য।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে পবিপ্রবির চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন এবং পরিত্যক্ত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।