শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সেন্ট্রাল রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি Logo তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে বিক্ষোভ, গদি ছাড়ার হুঁশিয়ারি প্রশাসনকে Logo বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন করবে : মির্জা ফখরুল Logo রাঙামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে সেনা অভিযানে অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার Logo কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিডিও দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শনাক্ত : বাংলাফ্যাক্ট Logo ৪ বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস Logo নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় আগুনে ২০টি ঘর Logo রাবির আইআর বিভাগে ‘ভূরাজনীতি ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার Logo ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে পুতিনকে ১০-১২ দিনের সময় দিলেন ট্রাম্প Logo গ্যাসের সিলিন্ডারে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের সময় তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক

খালেদা জিয়া উপহার দিয়েছিলেন, তাই ১২ বছর পরিত্যক্ত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্স

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে
২০০৩ সালে শিক্ষার্থীদের জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদ জিয়া উপহার দেওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটি গত ১২ বছর ধরে অচল ছিল। এতদিন পর পুনরায় সচল হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি।

এই অ্যাম্বুলেন্সটি দেওয়া হলেও ২০১৫ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের উদ্যোগে এটি মেরামত করে পুনরায় চালু করা হয়েছে।

২০০৩ সালে অ্যাম্বুলেন্সটি পবিপ্রবির চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ২০১৫ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির পর এটি আর মেরামত করা হয়নি।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে এটি ক্যাম্পাসের এক কোণে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এটি বরিশাল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে এটি আরও কয়েক বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।

২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বরিশাল ক্যাম্পাস পরিদর্শনকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটি দেখে মর্মাহত হন। তিনি অবিলম্বে পরিবহন কর্মকর্তাকে ডেকে এর কারণ জানতে চান এবং দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেন।

উপাচার্যের নির্দেশে অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন, চাকা, পাওয়ার সিস্টেম, লাইটসহ প্রয়োজনীয় অংশ মেরামত করা হয়। অবশেষে ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ এটি পুনরায় চালু হয়ে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবায় যুক্ত হয়।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে শেরে বাংলা হল রাখা হয়েছিল, যা বর্তমান উপাচার্যের উদ্যোগে আগের নামে ফিরে এসেছে।

শিক্ষার্থী সোহেল রানা জনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি অবহেলায় পড়ে থাকায় আমরা খুব কষ্ট পেতাম।

এখন এটি আবার চালু হয়েছে দেখে আমরা আনন্দিত।

পরিবহন কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটির সব অংশ মেরামত করা হয়েছে। এটি এখন পুরোপুরি কার্যকর।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বেগম খালেদা জিয়ার উপহার দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি পুনরায় চালু করতে পেরে আমি গর্বিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সম্পদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়া উচিত নয়।

এটি যারা পরিত্যক্ত করেছিলেন, তারা অন্যায় করেছেন। শিক্ষার্থীদের সেবায় এটি ব্যবহারই আমাদের লক্ষ্য।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে পবিপ্রবির চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন এবং পরিত্যক্ত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সেন্ট্রাল রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি

খালেদা জিয়া উপহার দিয়েছিলেন, তাই ১২ বছর পরিত্যক্ত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্স

আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
২০০৩ সালে শিক্ষার্থীদের জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদ জিয়া উপহার দেওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটি গত ১২ বছর ধরে অচল ছিল। এতদিন পর পুনরায় সচল হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি।

এই অ্যাম্বুলেন্সটি দেওয়া হলেও ২০১৫ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের উদ্যোগে এটি মেরামত করে পুনরায় চালু করা হয়েছে।

২০০৩ সালে অ্যাম্বুলেন্সটি পবিপ্রবির চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ২০১৫ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির পর এটি আর মেরামত করা হয়নি।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে এটি ক্যাম্পাসের এক কোণে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এটি বরিশাল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে এটি আরও কয়েক বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।

২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বরিশাল ক্যাম্পাস পরিদর্শনকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটি দেখে মর্মাহত হন। তিনি অবিলম্বে পরিবহন কর্মকর্তাকে ডেকে এর কারণ জানতে চান এবং দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেন।

উপাচার্যের নির্দেশে অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন, চাকা, পাওয়ার সিস্টেম, লাইটসহ প্রয়োজনীয় অংশ মেরামত করা হয়। অবশেষে ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ এটি পুনরায় চালু হয়ে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবায় যুক্ত হয়।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে শেরে বাংলা হল রাখা হয়েছিল, যা বর্তমান উপাচার্যের উদ্যোগে আগের নামে ফিরে এসেছে।

শিক্ষার্থী সোহেল রানা জনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি অবহেলায় পড়ে থাকায় আমরা খুব কষ্ট পেতাম।

এখন এটি আবার চালু হয়েছে দেখে আমরা আনন্দিত।

পরিবহন কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটির সব অংশ মেরামত করা হয়েছে। এটি এখন পুরোপুরি কার্যকর।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বেগম খালেদা জিয়ার উপহার দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি পুনরায় চালু করতে পেরে আমি গর্বিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সম্পদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়া উচিত নয়।

এটি যারা পরিত্যক্ত করেছিলেন, তারা অন্যায় করেছেন। শিক্ষার্থীদের সেবায় এটি ব্যবহারই আমাদের লক্ষ্য।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে পবিপ্রবির চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন এবং পরিত্যক্ত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।