মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : প্রধান আসামি হিটু শেখ ৭ দিনের রিমান্ডে

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:২০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • ৭০৮ বার পড়া হয়েছে
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি ভুক্তভোগী শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখের ৭ দিন এবং স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুরের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৯ মার্চ) গভীর রাতে রিমান্ড শুনানি শেষে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালত তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নিরাপত্তাশঙ্কা থাকায় আসামিদের রোববার দিনে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরে রোববার দিবাগত মধ্যরাতে তাঁদের আদালতে নেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন (তদন্ত) সকল আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন আসামিরা। রিমান্ড না দেওয়ারও দাবি করেন তাঁরা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভুক্তভোগী শিশু অচেতন থাকায় জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার মূল অভিযুক্তের সাত দিন ও অন্য তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

নাম না প্রকাশের শর্তে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রিমান্ডের আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি থাকলেও রোববার দিনে আসামিদের আদালতে হাজির করার ঝুঁকি নেওয়া যায়নি। দিনভর আন্দোলনকারীরা আদালতের ফটক ঘিরে রেখেছিল। আসামিদের তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলছিল। এ কারণে মধ্যরাতে শুনানি করেছেন আদালত।’

এর আগে, শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুরকে শনিবার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়। আর শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয় বোনের শ্বশুরকে।

পরিবারের অভিযোগ, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়।

শনিবার চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : প্রধান আসামি হিটু শেখ ৭ দিনের রিমান্ডে

আপডেট সময় : ১০:৫১:২০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি ভুক্তভোগী শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখের ৭ দিন এবং স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুরের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৯ মার্চ) গভীর রাতে রিমান্ড শুনানি শেষে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালত তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নিরাপত্তাশঙ্কা থাকায় আসামিদের রোববার দিনে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরে রোববার দিবাগত মধ্যরাতে তাঁদের আদালতে নেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন (তদন্ত) সকল আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন আসামিরা। রিমান্ড না দেওয়ারও দাবি করেন তাঁরা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভুক্তভোগী শিশু অচেতন থাকায় জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার মূল অভিযুক্তের সাত দিন ও অন্য তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

নাম না প্রকাশের শর্তে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রিমান্ডের আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি থাকলেও রোববার দিনে আসামিদের আদালতে হাজির করার ঝুঁকি নেওয়া যায়নি। দিনভর আন্দোলনকারীরা আদালতের ফটক ঘিরে রেখেছিল। আসামিদের তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলছিল। এ কারণে মধ্যরাতে শুনানি করেছেন আদালত।’

এর আগে, শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুরকে শনিবার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়। আর শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয় বোনের শ্বশুরকে।

পরিবারের অভিযোগ, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়।

শনিবার চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন।