সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

এই সংবিধান এখন আর জনমুখী নয়

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে
৫ আগস্টের পর থেকেই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বারবার সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন মহলে এর বিপক্ষেও আলোচনা রয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’ গঠন করা হয়েছে। সংবিধান পরিবর্তন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ এবং অন্য দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে কি না?—এমন নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খন্দকার আসিফুজ্জামান।

প্রশ্ন : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কি অংশ নেবে এনসিপি?

উত্তর : নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা মনে করি বিচার, সংস্কার এবং পরবর্তী সময়ে গণপরিষদ নির্বাচন। বাংলাদেশে স্থায়ী যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে, সেই সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের জন্য রাজনৈতিকভাবে এটাই একমাত্র পথ। আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলগত ও ব্যক্তিগত জায়গা থেকে যেভাবে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে, তার বিচার করতে হবে। এটা অবশ্যই বিচারিক প্রক্রিয়া এবং সেই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অথবা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ— এমন কোনো সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাতে চাই না। আমরা সংস্কারের কথা বলেছি এবং সেই সঙ্গে এগুলো প্যারালালি চলতে থাকবে। সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রিক এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে যাত্রা করা উচিত। আর সেই জায়গা থেকেই নির্বাচন হতে পারে একমাত্র গণপরিষদ নির্বাচন, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ ৩ ও ৫ আগস্ট তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন করেছে।

সেই আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের ঘোষণা ছিল, বিদ্যমান সংবিধান বাংলাদেশের মানুষ ধারণ করে না। বিদ্যমান সংবিধান বাংলাদেশের মানুষকে হত্যাযোগ্য করে তুলেছে এবং বিদ্যমান সংবিধান পুনর্লিখন করা উচিত।

প্রশ্ন : এনসিপি কি স্বতন্ত্র দল থাকবে, নাকি অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোট করবে?

উত্তর : রিসেন্টলি আমাদের পার্টি লঞ্চ হয়েছে। এই বিষয়গুলো অত্যন্ত নির্বাচনকেন্দ্রিক ভাবনা। আমরা মনে করি, এখানে দুটি কাজ অবশ্যই জরুরি।

বিচার ও সংস্কার নিয়ে কথা বলা। সেই সঙ্গে এই দাবিগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে জনমানুষের সঙ্গে কানেকশন বিল্ডআপ করা। আর নির্বাচনকেন্দ্রিক যে জোটগত ভাবনা বা যা কিছু আছে, সেটা সময়ের পরিক্রমায় হয়তো দলই সিদ্ধান্ত নেবে।

প্রশ্ন : অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো আপনারাও কি বদলে যাবেন নাকি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবেন?

উত্তর : আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ নিজে একটা লিটমাস টেস্ট এবং এই টেস্টে যারা পাস করবে না, তাদের ইনভেলিড করে ফেলবে বাংলাদেশের জনগণ। আমরা কনফিডেন্ট, আমরা যদি কোনো ধরনের ভুল করি, জনগণ আমাদের হয়তো সুযোগ দেবে। কিন্তু বারবার যদি আমরা তাদের সঙ্গে বিট্রে করি, তাহলে তারাও আমাদের রাখবে না এবং এই বিষয়টি আমরা মাথায় রাখি, সব রাজনৈতিক দলেরও উচিত মনে রাখা। আমরা মনে করি, বিদ্যমান যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আছে এবং রাজনৈতিক কাঠামো আছে, রাষ্ট্রীয় কাঠামো আছে; এগুলো যদি আমরা রাখার চেষ্টা করি, তাহলে আমরা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ একটি কাজ করব। আমরা এখন বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটা ধারণ করার চেষ্টা করছি মাত্র। আমরা শুধু চাই, তারা যখন তাদের ম্যান্ডেটটা দেবে, সেটা যাতে সর্বোচ্চ ফেয়ারলি দিতে পারে। কোনো কোশ্চেনেবল ইলেকশনের মধ্য দিয়ে আমরা যেতে চাই না।

প্রশ্ন : সংবিধান পরিবর্তন করা কেন জরুরি এবং কেন আপনারা এ বিষয়ে এত জোর দিচ্ছেন?

উত্তর : এই ১৫ বছরে কেন এ ধরনের ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটল এবং কেন টানা অত্যাচার, জেল-জুলুম কেন সম্ভব হলো? এই কারণে যে, এখানে একটি ফ্যাসিস্ট সংবিধান আছে এবং এই সংবিধানের কারণে পরবর্তী পরিস্থিতিগুলো তৈরি হয়েছে। প্রথমে এটা কোটা সংস্কার থেকে শুরু হলো। কিন্তু যখন সরকার পতনের আন্দোলনের দিকে মোড় নিল, তখন কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মনে আর কোনো সন্দেহ ছিল না যে, সাংবিধানিক সংকটের কথা বারবার বলা হচ্ছে মূলত বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করার জন্য। তার মানে এই সংবিধানটা এখন আর জনমুখী নয়। এটা কখনো জনমুখী ছিল না। এই জনবিরোধী সংবিধান পরিবর্তন করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ একটি ম্যান্ডেট দিয়েছে ৩ আগস্ট।

আমাদের অভ্যুত্থানের সমন্বয়ক ছিলেন নাহিদ ইসলাম। তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে, ৩ আগস্ট এই বিদ্যমান সংবিধান আর কার্যকর নয় এবং এই অকার্যকর সংবিধান পরিবর্তন করা এবং পুনর্লিখন করা অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট। আমাদের ওপর একটি দায় আছে এবং সেই দায় স্বীকার করেই কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি এই মুহূর্তে জাতীয় নাগরিক পার্টি সেই দায় কাঁধে নিয়ে কাজ করছে।

এই সংবিধান পরিবর্তনে যে ধরনের প্রক্রিয়া আমাদের অবলম্বন করতে হবে, আমরা সেটা গণতান্ত্রিক উপায়েই চাই। আমরা কোনো হটকারী উপায়ে সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছি না। আমরা বারবারই বলছি এখানে যে যৌক্তিক জায়গাগুলো আছে, যে প্রক্রিয়ার জায়গাগুলো আছে, সেগুলো ফেয়ার থাকুক। সেগুলো যৌক্তিক থাকুক। তাতে করে আর যে সংবিধানে পরিবর্তন করা প্রয়োজন সেটা স্থায়ী এবং জনমুখী হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

এই সংবিধান এখন আর জনমুখী নয়

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
৫ আগস্টের পর থেকেই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বারবার সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন মহলে এর বিপক্ষেও আলোচনা রয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’ গঠন করা হয়েছে। সংবিধান পরিবর্তন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ এবং অন্য দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে কি না?—এমন নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খন্দকার আসিফুজ্জামান।

প্রশ্ন : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কি অংশ নেবে এনসিপি?

উত্তর : নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা মনে করি বিচার, সংস্কার এবং পরবর্তী সময়ে গণপরিষদ নির্বাচন। বাংলাদেশে স্থায়ী যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে, সেই সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের জন্য রাজনৈতিকভাবে এটাই একমাত্র পথ। আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলগত ও ব্যক্তিগত জায়গা থেকে যেভাবে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে, তার বিচার করতে হবে। এটা অবশ্যই বিচারিক প্রক্রিয়া এবং সেই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অথবা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ— এমন কোনো সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাতে চাই না। আমরা সংস্কারের কথা বলেছি এবং সেই সঙ্গে এগুলো প্যারালালি চলতে থাকবে। সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রিক এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে যাত্রা করা উচিত। আর সেই জায়গা থেকেই নির্বাচন হতে পারে একমাত্র গণপরিষদ নির্বাচন, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ ৩ ও ৫ আগস্ট তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন করেছে।

সেই আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের ঘোষণা ছিল, বিদ্যমান সংবিধান বাংলাদেশের মানুষ ধারণ করে না। বিদ্যমান সংবিধান বাংলাদেশের মানুষকে হত্যাযোগ্য করে তুলেছে এবং বিদ্যমান সংবিধান পুনর্লিখন করা উচিত।

প্রশ্ন : এনসিপি কি স্বতন্ত্র দল থাকবে, নাকি অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোট করবে?

উত্তর : রিসেন্টলি আমাদের পার্টি লঞ্চ হয়েছে। এই বিষয়গুলো অত্যন্ত নির্বাচনকেন্দ্রিক ভাবনা। আমরা মনে করি, এখানে দুটি কাজ অবশ্যই জরুরি।

বিচার ও সংস্কার নিয়ে কথা বলা। সেই সঙ্গে এই দাবিগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে জনমানুষের সঙ্গে কানেকশন বিল্ডআপ করা। আর নির্বাচনকেন্দ্রিক যে জোটগত ভাবনা বা যা কিছু আছে, সেটা সময়ের পরিক্রমায় হয়তো দলই সিদ্ধান্ত নেবে।

প্রশ্ন : অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো আপনারাও কি বদলে যাবেন নাকি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবেন?

উত্তর : আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ নিজে একটা লিটমাস টেস্ট এবং এই টেস্টে যারা পাস করবে না, তাদের ইনভেলিড করে ফেলবে বাংলাদেশের জনগণ। আমরা কনফিডেন্ট, আমরা যদি কোনো ধরনের ভুল করি, জনগণ আমাদের হয়তো সুযোগ দেবে। কিন্তু বারবার যদি আমরা তাদের সঙ্গে বিট্রে করি, তাহলে তারাও আমাদের রাখবে না এবং এই বিষয়টি আমরা মাথায় রাখি, সব রাজনৈতিক দলেরও উচিত মনে রাখা। আমরা মনে করি, বিদ্যমান যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আছে এবং রাজনৈতিক কাঠামো আছে, রাষ্ট্রীয় কাঠামো আছে; এগুলো যদি আমরা রাখার চেষ্টা করি, তাহলে আমরা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ একটি কাজ করব। আমরা এখন বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটা ধারণ করার চেষ্টা করছি মাত্র। আমরা শুধু চাই, তারা যখন তাদের ম্যান্ডেটটা দেবে, সেটা যাতে সর্বোচ্চ ফেয়ারলি দিতে পারে। কোনো কোশ্চেনেবল ইলেকশনের মধ্য দিয়ে আমরা যেতে চাই না।

প্রশ্ন : সংবিধান পরিবর্তন করা কেন জরুরি এবং কেন আপনারা এ বিষয়ে এত জোর দিচ্ছেন?

উত্তর : এই ১৫ বছরে কেন এ ধরনের ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটল এবং কেন টানা অত্যাচার, জেল-জুলুম কেন সম্ভব হলো? এই কারণে যে, এখানে একটি ফ্যাসিস্ট সংবিধান আছে এবং এই সংবিধানের কারণে পরবর্তী পরিস্থিতিগুলো তৈরি হয়েছে। প্রথমে এটা কোটা সংস্কার থেকে শুরু হলো। কিন্তু যখন সরকার পতনের আন্দোলনের দিকে মোড় নিল, তখন কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মনে আর কোনো সন্দেহ ছিল না যে, সাংবিধানিক সংকটের কথা বারবার বলা হচ্ছে মূলত বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করার জন্য। তার মানে এই সংবিধানটা এখন আর জনমুখী নয়। এটা কখনো জনমুখী ছিল না। এই জনবিরোধী সংবিধান পরিবর্তন করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ একটি ম্যান্ডেট দিয়েছে ৩ আগস্ট।

আমাদের অভ্যুত্থানের সমন্বয়ক ছিলেন নাহিদ ইসলাম। তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে, ৩ আগস্ট এই বিদ্যমান সংবিধান আর কার্যকর নয় এবং এই অকার্যকর সংবিধান পরিবর্তন করা এবং পুনর্লিখন করা অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট। আমাদের ওপর একটি দায় আছে এবং সেই দায় স্বীকার করেই কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি এই মুহূর্তে জাতীয় নাগরিক পার্টি সেই দায় কাঁধে নিয়ে কাজ করছে।

এই সংবিধান পরিবর্তনে যে ধরনের প্রক্রিয়া আমাদের অবলম্বন করতে হবে, আমরা সেটা গণতান্ত্রিক উপায়েই চাই। আমরা কোনো হটকারী উপায়ে সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছি না। আমরা বারবারই বলছি এখানে যে যৌক্তিক জায়গাগুলো আছে, যে প্রক্রিয়ার জায়গাগুলো আছে, সেগুলো ফেয়ার থাকুক। সেগুলো যৌক্তিক থাকুক। তাতে করে আর যে সংবিধানে পরিবর্তন করা প্রয়োজন সেটা স্থায়ী এবং জনমুখী হবে।