শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:১৩:৫৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৮৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ (জমা-উত্তোলন নিষিদ্ধ) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র।সূত্র জানায়, বর্তমানে লকারে কোনো নতুন সম্পদ জমা দেওয়া বা আগের সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না। দুদক মনে করছে, এসব বিশেষ লকারে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদ জমা থাকতে পারে।

এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করার অনুরোধ জানান। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতিক্রমে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি চালানো হয়।

তল্লাশি করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর জমাকৃত তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে।

তল্লাশিকালে রেজিস্টার পরীক্ষা করে দেখা যায়, অন্য কর্মকর্তারাও সিলগালা করা সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন, যেখানে আরও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।দুদক জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যানের বৈঠকে এসব সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং অর্থ উপদেষ্টা এতে সম্মতি দেন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে, কেউ যাতে লকার থেকে সম্পদ বের করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ

আপডেট সময় : ০৫:১৩:৫৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ (জমা-উত্তোলন নিষিদ্ধ) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র।সূত্র জানায়, বর্তমানে লকারে কোনো নতুন সম্পদ জমা দেওয়া বা আগের সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না। দুদক মনে করছে, এসব বিশেষ লকারে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদ জমা থাকতে পারে।

এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করার অনুরোধ জানান। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতিক্রমে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি চালানো হয়।

তল্লাশি করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর জমাকৃত তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে।

তল্লাশিকালে রেজিস্টার পরীক্ষা করে দেখা যায়, অন্য কর্মকর্তারাও সিলগালা করা সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন, যেখানে আরও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।দুদক জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যানের বৈঠকে এসব সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং অর্থ উপদেষ্টা এতে সম্মতি দেন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে, কেউ যাতে লকার থেকে সম্পদ বের করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।