শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

নগদ টাকার সংকটে ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নগদ টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক সময়ে নগদ অর্থের প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও সংকট পুরোপুরি কাটেনি। বিশেষ করে এসএমই ব্যবসায়ী ও বিদেশগামীরা বেশি বিপাকে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, জমা রাখা বড় অঙ্কের টাকা একসঙ্গে উত্তোলন করতে পারছেন না অনেকেই।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে চাহিদামতো অর্থ না পাওয়ায় ওই ব্যাংকগুলোর হিসাবধারী ব্যবসায়ীরা ও উদ্যোক্তারা সংকটে পড়েছেন। প্রয়োজনমতো অর্থ তুলতে না পারায় ব্যবসার পরিচালন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনকি এসব ব্যাংকে এলসি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। সংকটের কারণে তাদের গ্যারান্টি দিচ্ছে না বিদেশি ব্যাংকগুলো।

এ প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রথীন্দ্র নাথ পাল বলেন, ‘আমাদের কিছু ডিস্ট্রিবিউটর আছে, যাদের টাকা আটকা পড়েছে। তাদের একটু ঝামেলা হচ্ছে। যারা ব্যাংকে বেশি টাকা রাখে না, তাদের ক্ষেত্রে খুব একটা চাপ নেই। তারা নিয়মিত আমাদের পণ্য কেনে, বিক্রি করে ও টাকা দেয়। মূলত ডিফল্ট ব্যাংকে যাদের হিসাব ছিল, তারা টাকা তুলতে পারছে না।’

রাজধানীর পান্থপথে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু গ্রাহক স্বল্প পরিমাণের টাকা উত্তোলন করছেন। তবে একই ব্যাংকের অন্য শাখায় চাহিদামতো টাকা দেওয়া হচ্ছে না। কাউন্টার থেকে বলা হয়, অনলাইন সেবা বন্ধ থাকায় টাকা দেওয়া হচ্ছে না।

এই ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে মো. জুয়েল নামের এক গ্রাহকের। তিনি একটি জুয়েলার্সের মালিক। তিনি জানান, ‘সব সময় এই ব্যাংকে ১৪-১৫ লাখ টাকা জমা থাকে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ১২ লাখ টাকা ধাপে ধাপে তুলে ফেলি। সব টাকা একসঙ্গে পাইনি। কয়েকবার চেক নিয়ে আসতে হয়েছে। সময় নষ্ট করতে হয়েছে। এই টাকা তুলে নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। আরো দুই লাখ টাকা আটকে আছে, যা ধীরে ধীরে তুলছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ওই অবস্থায় কে টাকা রাখবে বলেন? এখন এই ব্যাংক থেকে কম লেনদেন করি। কারণ চেক দিলে যদি আটকে দেয়, তাহলে তো ব্যবসা করতে পারব না। তবে এখান থেকে বলল, এখন থেকে যা টাকা রাখবেন, সেগুলো তুলতে পারবেন।’একটি ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) বলেন, ‘এখনো আমাদের নগদ টাকার সংকট আছে। আমরা গ্রাহকদের প্রতিদিনই টাকা দিচ্ছি। কিন্তু একই গ্রাহককে বলে দিচ্ছি, সপ্তাহে দুই দিন নিয়েন। এখন মানুষ ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে পাচ্ছে। ব্যাংক তো আর কোথাও চলে যাবে না। আগে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল, সেটা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে। আতঙ্ক অনেকটাই কমেছে।’

কোহিনুর অ্যাগ্রো কেমিক্যালের স্বত্বাধিকারী সালাউদ্দিন মাহমুদ জানান, ‘এরা প্রায় এক বছর ধরে আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। আর গত সরকারের পতনের পর এটা আরো বেড়েছে। বেশ কয়েকবার এই ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য গিয়েও পাইনি।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

নগদ টাকার সংকটে ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ১০:১৮:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

নগদ টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক সময়ে নগদ অর্থের প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও সংকট পুরোপুরি কাটেনি। বিশেষ করে এসএমই ব্যবসায়ী ও বিদেশগামীরা বেশি বিপাকে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, জমা রাখা বড় অঙ্কের টাকা একসঙ্গে উত্তোলন করতে পারছেন না অনেকেই।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে চাহিদামতো অর্থ না পাওয়ায় ওই ব্যাংকগুলোর হিসাবধারী ব্যবসায়ীরা ও উদ্যোক্তারা সংকটে পড়েছেন। প্রয়োজনমতো অর্থ তুলতে না পারায় ব্যবসার পরিচালন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনকি এসব ব্যাংকে এলসি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। সংকটের কারণে তাদের গ্যারান্টি দিচ্ছে না বিদেশি ব্যাংকগুলো।

এ প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রথীন্দ্র নাথ পাল বলেন, ‘আমাদের কিছু ডিস্ট্রিবিউটর আছে, যাদের টাকা আটকা পড়েছে। তাদের একটু ঝামেলা হচ্ছে। যারা ব্যাংকে বেশি টাকা রাখে না, তাদের ক্ষেত্রে খুব একটা চাপ নেই। তারা নিয়মিত আমাদের পণ্য কেনে, বিক্রি করে ও টাকা দেয়। মূলত ডিফল্ট ব্যাংকে যাদের হিসাব ছিল, তারা টাকা তুলতে পারছে না।’

রাজধানীর পান্থপথে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু গ্রাহক স্বল্প পরিমাণের টাকা উত্তোলন করছেন। তবে একই ব্যাংকের অন্য শাখায় চাহিদামতো টাকা দেওয়া হচ্ছে না। কাউন্টার থেকে বলা হয়, অনলাইন সেবা বন্ধ থাকায় টাকা দেওয়া হচ্ছে না।

এই ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে মো. জুয়েল নামের এক গ্রাহকের। তিনি একটি জুয়েলার্সের মালিক। তিনি জানান, ‘সব সময় এই ব্যাংকে ১৪-১৫ লাখ টাকা জমা থাকে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ১২ লাখ টাকা ধাপে ধাপে তুলে ফেলি। সব টাকা একসঙ্গে পাইনি। কয়েকবার চেক নিয়ে আসতে হয়েছে। সময় নষ্ট করতে হয়েছে। এই টাকা তুলে নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। আরো দুই লাখ টাকা আটকে আছে, যা ধীরে ধীরে তুলছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ওই অবস্থায় কে টাকা রাখবে বলেন? এখন এই ব্যাংক থেকে কম লেনদেন করি। কারণ চেক দিলে যদি আটকে দেয়, তাহলে তো ব্যবসা করতে পারব না। তবে এখান থেকে বলল, এখন থেকে যা টাকা রাখবেন, সেগুলো তুলতে পারবেন।’একটি ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) বলেন, ‘এখনো আমাদের নগদ টাকার সংকট আছে। আমরা গ্রাহকদের প্রতিদিনই টাকা দিচ্ছি। কিন্তু একই গ্রাহককে বলে দিচ্ছি, সপ্তাহে দুই দিন নিয়েন। এখন মানুষ ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে পাচ্ছে। ব্যাংক তো আর কোথাও চলে যাবে না। আগে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল, সেটা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে। আতঙ্ক অনেকটাই কমেছে।’

কোহিনুর অ্যাগ্রো কেমিক্যালের স্বত্বাধিকারী সালাউদ্দিন মাহমুদ জানান, ‘এরা প্রায় এক বছর ধরে আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। আর গত সরকারের পতনের পর এটা আরো বেড়েছে। বেশ কয়েকবার এই ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য গিয়েও পাইনি।’