শিরোনাম :
Logo গাজায় ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত Logo টাঙ্গাইলে পুকুরের পানিতে ডুবে এক বৃদ্ধের মৃত্যু Logo আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় ফ্যাসিস্ট শিক্ষকরা এখনো কাপড় পরে হাঁটতে পারছে : রাবি ছাত্রদল সভাপতি Logo কুড়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডহক কমিটির পরিচিতি, কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে আড়ালে আবৃত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা Logo দুর্নীতির মামলায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গ্রেফতার Logo তেগুরিয়া শিশু বিদ্যানিকেতন এখন শিশু শিক্ষার আলোকবর্তিকা Logo কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo উচাং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইবির সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা বৈঠক Logo ইবিতে হিন্দুধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বিচার বিভাগের রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত থাকা নিশ্চিত হয়েছে: প্রধান বিচারপতি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:৪৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায় ‘রিভিউ’ (পুনর্বিবেচনা) নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুদ্ধার ও শক্তিশালী করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে থাক বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগ যাতে অযৌক্তিক রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে, বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

শনিবার ‘জুডিসিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড এফিসায়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপি যৌথভাবে এই সেমিনার আয়োজন করে।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অবশ্যই দক্ষতার পরিপূরক উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালতের কার্যক্রমকে আরও দক্ষ ও স্বচ্ছ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটালাইজেশন এখন আর বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন। আধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিকে একীভূত করার মাধ্যমে বিচারে বিলম্ব কমাতে, স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং নির্বিঘ্ন করতে বিচার বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। আর এই উদ্যোগগুলো অর্জনের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন অপরিহার্য।’

তিনি বলেন, আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে একটি একক উদ্দেশ্য হলো জনগণের সেবা করে এমন একটি বিচার বিভাগ তৈরি করা। যেখানে প্রত্যেক বিচারপ্রার্থী তাদের অবস্থা বা পরিস্থিতি নির্বিশেষে নিশ্চিত বোধ করবে যে, নিরপেক্ষভাবে মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করা হবে। এমন একটি বিচারব্যবস্থা দরকার যা ব্যবধান দূর করে প্রযুক্তি, আইনি সহায়তা এবং পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে বিচারকে আরও সহজলভ্য করে তোলে। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমার একার নয়, এটি একটি ভাগাভাগি আকাঙ্ক্ষা যার জন্য সব সুবিধাভোগীর (স্টেকহোল্ডারের) সম্মিলিত অঙ্গীকার প্রয়োজন।

আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার। পরে দিনব্যাপী বিভিন্ন অধিবেশনে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি মো. মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার অতিরিক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন। সেমিনারে উচ্চ বিচারপতি, জেলা জুডিসিয়ারির বিচারক, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রি, আইন মন্ত্রণালয়, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন ও আইন কমিশনে নিযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি‘র প্রোগ্রাম লিড ফর এক্সেস টু জাস্টিসের শাহরীন তিলোত্তমা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত

বিচার বিভাগের রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত থাকা নিশ্চিত হয়েছে: প্রধান বিচারপতি

আপডেট সময় : ০৭:০৫:৪৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায় ‘রিভিউ’ (পুনর্বিবেচনা) নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুদ্ধার ও শক্তিশালী করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে থাক বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগ যাতে অযৌক্তিক রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে, বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

শনিবার ‘জুডিসিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড এফিসায়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপি যৌথভাবে এই সেমিনার আয়োজন করে।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অবশ্যই দক্ষতার পরিপূরক উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালতের কার্যক্রমকে আরও দক্ষ ও স্বচ্ছ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটালাইজেশন এখন আর বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন। আধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিকে একীভূত করার মাধ্যমে বিচারে বিলম্ব কমাতে, স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং নির্বিঘ্ন করতে বিচার বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। আর এই উদ্যোগগুলো অর্জনের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন অপরিহার্য।’

তিনি বলেন, আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে একটি একক উদ্দেশ্য হলো জনগণের সেবা করে এমন একটি বিচার বিভাগ তৈরি করা। যেখানে প্রত্যেক বিচারপ্রার্থী তাদের অবস্থা বা পরিস্থিতি নির্বিশেষে নিশ্চিত বোধ করবে যে, নিরপেক্ষভাবে মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করা হবে। এমন একটি বিচারব্যবস্থা দরকার যা ব্যবধান দূর করে প্রযুক্তি, আইনি সহায়তা এবং পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে বিচারকে আরও সহজলভ্য করে তোলে। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমার একার নয়, এটি একটি ভাগাভাগি আকাঙ্ক্ষা যার জন্য সব সুবিধাভোগীর (স্টেকহোল্ডারের) সম্মিলিত অঙ্গীকার প্রয়োজন।

আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার। পরে দিনব্যাপী বিভিন্ন অধিবেশনে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি মো. মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার অতিরিক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন। সেমিনারে উচ্চ বিচারপতি, জেলা জুডিসিয়ারির বিচারক, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রি, আইন মন্ত্রণালয়, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন ও আইন কমিশনে নিযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি‘র প্রোগ্রাম লিড ফর এক্সেস টু জাস্টিসের শাহরীন তিলোত্তমা।