শিরোনাম :
Logo চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে আড়ালে আবৃত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা Logo দুর্নীতির মামলায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গ্রেফতার Logo তেগুরিয়া শিশু বিদ্যানিকেতন এখন শিশু শিক্ষার আলোকবর্তিকা Logo কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo উচাং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইবির সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা বৈঠক Logo ইবিতে হিন্দুধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo সিরাজগঞ্জের শিশু নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ Logo সিরাজগঞ্জে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে পরিবার অবরুদ্ধ করার অভিযোগ Logo আলোকিত পথপ্রদর্শক: পীরে কামেল শাহসূফি সৈয়দ আবুল ওলা (রহ.) Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন

দুর্নীতির মামলায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গ্রেফতার

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে দুদকের মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে দুদক কর্তৃক তদন্তাধীন একটি মামলায় দুদকের রিকোজিশন ছিল। সেটির ভিত্তিতে গোয়েন্দা কার্যক্রমে পরিচালনার মাধ্যমে মোহাম্মদপুরে নিজ বাসা থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুদকের কাছে তাকে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ডিবি জানায়, সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে দুদকের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

গত ১৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভিসি কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক একেএম নূর-উন-নবী, তার উত্তরসূরি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, দুই ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এমএম হাবিবুর রহমান।

সেই মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি না মেনে নকশা পরিবর্তন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি করেছেন।

পাশাপাশি ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে রাখা নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা এবং এফডিআর লিয়েনে রেখে ঠিকাদারকে লোন দেওয়ার জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ অনুমোদন দিয়ে সরকারের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তারা।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে আড়ালে আবৃত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা

দুর্নীতির মামলায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৩:১৫:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে দুদকের মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে দুদক কর্তৃক তদন্তাধীন একটি মামলায় দুদকের রিকোজিশন ছিল। সেটির ভিত্তিতে গোয়েন্দা কার্যক্রমে পরিচালনার মাধ্যমে মোহাম্মদপুরে নিজ বাসা থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুদকের কাছে তাকে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ডিবি জানায়, সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে দুদকের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

গত ১৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভিসি কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক একেএম নূর-উন-নবী, তার উত্তরসূরি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, দুই ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এমএম হাবিবুর রহমান।

সেই মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি না মেনে নকশা পরিবর্তন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি করেছেন।

পাশাপাশি ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে রাখা নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা এবং এফডিআর লিয়েনে রেখে ঠিকাদারকে লোন দেওয়ার জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ অনুমোদন দিয়ে সরকারের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তারা।