কচুয়া উপজেলার তেগুরিয়া গ্রামে অবস্থিত ‘তেগুরিয়া শিশু বিদ্যানিকেতন’ এখন শিশু শিক্ষায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ে এলাকাবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য—শিশুদের আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বিত চর্চা। শিক্ষার্থীদের মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়। আধুনিক পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা, চারিত্রিক উন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধ শেখানো হয় শিশুদের শৈশব থেকেই।
প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ২৯২ জন শিক্ষার্থী পাঠগ্রহণ করছে। পাঠদান পরিচালনায় রয়েছেন একঝাঁক অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা। পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন ৫ জন নিবেদিতপ্রাণ সদস্য, যাঁরা নিয়মিত শিক্ষার মান উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোঃ ওমর ফারুক, যিনি একজন অভিজ্ঞ ও প্রবীণ শিক্ষক, তিনি জানান,শুধু পরীক্ষার ফল নয়, আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। সুশিক্ষিত ও নৈতিক গুণে গুণান্বিত নাগরিক তৈরিই আমাদের মূল লক্ষ্য।
প্রতিবছর তেগুরিয়া শিশু বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এবং কচুয়া উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রতিবছরই শতভাগ পাসের হার অর্জন করে এবং অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়। এই কৃতিত্বের পেছনে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা।
শিক্ষকরা জানান,আমরা শিশুকে শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি না। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহপাঠ কার্যক্রম, খেলাধুলা, কাব্যচর্চা, ধর্মীয় জ্ঞান ও আচরণগত শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেই। ফলে শিশুদের ভিত শক্ত হচ্ছে।
তেগুরিয়া শিশু বিদ্যানিকেতন শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি স্বপ্নের কারখানা—যেখানে শিশুরা গড়ে উঠছে আলোকিত ভবিষ্যতের নির্মাতা হিসেবে।