ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেছেন, নতুন বাংলাদেশে নব্য ফ্যাসিবাদের কোনো ঠাঁই হবে না। গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার, সংস্কার ও পিআর ছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না। জুলাইয়ের ফসল বর্তমান সরকার জুলাই যোদ্ধাদের মনে হয় ভুলে গেছে।
আপনারা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কিন্তু জুলাই যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সনদ এখনও দিতে পারেননি। জুলাই যোদ্ধাদের গলায় ফাঁসির দড়ি রেখে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া কোনোভাবেই উচিত হবে না। চলতি মাসের মধ্যেই জুলাই শহীদ ও আহতদের সনদ এবং জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে। জুলাই সনদে মাদরাসা ছাত্রদের স্বীকৃতিও দিতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) সকাল ১০টায় বাইতুল আমিন চত্বরে গণঅভ্যুত্থানের ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর শহর শাখার উদ্যোগে গণমিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই যুদ্ধের এক বছর পার হতে না হতেই ঘুষ বাণিজ্য বেড়ে যাওয়া আশঙ্কাজনক। রাষ্ট্রের কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আপনারা শুদ্ধতা ফিরিয়ে আনতে পারলেন না। তাহলে কি জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হবে? আমরা এ আন্দোলন-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দেবো না।
তিনি বলেন, আবু সাইদ, মুগ্ধ ও সিয়ামরা জুলাই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে শাহাদাতবরণ করেছেন এক বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো খুনিদের এখনও বিচার দেখতে পাইনি। এখনো সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হয়নি। সংস্কার হয়নি। কেউ কেউ আবার নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছেন। কি হবে এসব নির্বাচন দিয়ে? এমন নির্বাচন আমরা চাইনি। আমরা খুনিদের বিচার দেখতে চাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর শহর সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা সেক্রেটারি কেএম ইয়াসিন রাশেদসানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেলাল আহমাদ, সদর উপজেলা সহ-সভাপতি মাওলানা কাউসার আহমাদ, শহর সেক্রেটারি শরীফ মৃধা, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুফতি ইমরান হোসাইন, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহিবুল্লাহ, ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি ডিএম ফয়সাল, সদর যুবনেতা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশের আগে বিপণীবাগ থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে বাইতুল আমিন চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ শেষে শতাধিক মোটরসাইকেল, পিকআপ, নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে বাবুরহাট, ওয়ারলেছে পথসভা শেষে শহরের স্টেডিয়াম রোড, মুক্তিযোদ্ধা সড়ক হয়ে পুরাণবাজার প্রদক্ষিণ করে পুরাণবাজার ব্রিজ চত্বরে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।