শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা কারাগারে হাসনাত আকলিমার আনুষ্ঠানিক বিয়ে! Logo রোহিঙ্গা সংকট ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডব্লিউএফপি প্রধানের বৈঠক Logo খুবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সাত বছরে পদার্পণ! Logo সামনের দিনে অনেক বিপদ আসবে: মির্জা ফখরুল Logo মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ : তারেক রহমান Logo মিরপুরের রূপনগর এলাকার শিয়ালবাড়িতে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন: নিহত বেড়ে ১৬ Logo সিভাসু অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কচুয়ার সন্তান মোহাম্মদ  গোলাম মাওলা শাহীন Logo জাতীয় রাজনীতিতে তারুণ্যের এক উজ্জল নক্ষত্র কৃষিবিদ শাহাদত হোসেন বিপ্লব Logo চাঁদপুরে মায়ের মামলায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা তানহা ও তার স্বামী আটক Logo মানবদূত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিচালিত “ন্যায্য মূল্যে সহস্রাধিক ক্রেতার পণ্য ক্রয়

চাইলেই কি কাউকে কাফের বলা যাবে?

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:০৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৪ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

বর্তমান সময়ে মানুষ একে অপরকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কাফের, মুনাফেক কিংবা অনেক খারাপ বিশেষণে বিশেষায়িত করে থাকে। শরিয়ত কোনো মুসলমানকে অপর অবিশ্বাসী বা কাফের, ধর্মের প্রতি কটাক্ষকারী অথবা বিভ্রান্ত ব্যক্তি, ইত্যাদি দোষারোপ করতে নিষিদ্ধ করেছে। এটি হচ্ছে সাধারণ নীতি।  

ইমাম আবু হানিফার মতে, কোনো কথায় যদি ৯৯ শতাংশই অবিশ্বাসের বোঝায় এবং মাত্র ১ শতাংশ বিশ্বাস (ঈমান) অবশিষ্ট থাকে তাহলে তাকে কাফের বলা যাবে না।

আর কোনো মুসলিমকে কাফের বলে অভিহিত করা কবিরা গুনাহ। এমনটি করা কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ কথা ও কাজে ঈমানবিধ্বংসী বক্তব্য না থাকলে তাকে তা বলা যাবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যাকে কাফের বলা হবে সে সত্যিকারে কাফের না হলে যে কাফের বলল তার দিকেই সেটা ফিরে আসবে (তিরমিজি ২৬৩৭; বুখারি ৬১০৩)।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি কর্তৃক তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলাটা তাকে হত্যা করার মতো অপরাধ (মিশকাত ৩৪১০)।

অর্থাৎ দুনিয়ায় কোনো মানুষকেই নিজেদের মতের সঙ্গে মিল না থাকলে ইসলাম বিদ্বেষী বা অবিশ্বাসী কাফের, মুনাফেক ইত্যাদি বিশেষণে আখ্যায়িত করা যাবে না। যতক্ষণ না ওই ব্যক্তির মাঝে প্রকাশ্য কুফর প্রকাশ না হয়। বরং অবিশ্বাসী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মসজিদে যাতায়াতকারী, নামাজ-রোজাসহ ইবাদত-বন্দেগি করা ব্যক্তিকে মুমিন-মুসলমান হিসেবে ভালোবাসাও ঈমানের একান্ত দাবি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা কারাগারে হাসনাত আকলিমার আনুষ্ঠানিক বিয়ে!

চাইলেই কি কাউকে কাফের বলা যাবে?

আপডেট সময় : ০২:২৭:০৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৪ আগস্ট ২০২৪

বর্তমান সময়ে মানুষ একে অপরকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কাফের, মুনাফেক কিংবা অনেক খারাপ বিশেষণে বিশেষায়িত করে থাকে। শরিয়ত কোনো মুসলমানকে অপর অবিশ্বাসী বা কাফের, ধর্মের প্রতি কটাক্ষকারী অথবা বিভ্রান্ত ব্যক্তি, ইত্যাদি দোষারোপ করতে নিষিদ্ধ করেছে। এটি হচ্ছে সাধারণ নীতি।  

ইমাম আবু হানিফার মতে, কোনো কথায় যদি ৯৯ শতাংশই অবিশ্বাসের বোঝায় এবং মাত্র ১ শতাংশ বিশ্বাস (ঈমান) অবশিষ্ট থাকে তাহলে তাকে কাফের বলা যাবে না।

আর কোনো মুসলিমকে কাফের বলে অভিহিত করা কবিরা গুনাহ। এমনটি করা কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ কথা ও কাজে ঈমানবিধ্বংসী বক্তব্য না থাকলে তাকে তা বলা যাবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যাকে কাফের বলা হবে সে সত্যিকারে কাফের না হলে যে কাফের বলল তার দিকেই সেটা ফিরে আসবে (তিরমিজি ২৬৩৭; বুখারি ৬১০৩)।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি কর্তৃক তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলাটা তাকে হত্যা করার মতো অপরাধ (মিশকাত ৩৪১০)।

অর্থাৎ দুনিয়ায় কোনো মানুষকেই নিজেদের মতের সঙ্গে মিল না থাকলে ইসলাম বিদ্বেষী বা অবিশ্বাসী কাফের, মুনাফেক ইত্যাদি বিশেষণে আখ্যায়িত করা যাবে না। যতক্ষণ না ওই ব্যক্তির মাঝে প্রকাশ্য কুফর প্রকাশ না হয়। বরং অবিশ্বাসী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মসজিদে যাতায়াতকারী, নামাজ-রোজাসহ ইবাদত-বন্দেগি করা ব্যক্তিকে মুমিন-মুসলমান হিসেবে ভালোবাসাও ঈমানের একান্ত দাবি।