কুতুবদিয়ায় বন্দর জলসীমায় নোঙর ফেলার পর জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জাহাজ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টায় জাহাজটি নোঙর করলাম। খুবই ভালো লাগছে। সবাই সুস্থ আছেন।’ কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ যেখানে নোঙর করা হয়েছে তার পাশেই রয়েছে গ্রুপটির জাহাজ এমভি জাহান মণি। এমভি জাহান মণি থেকে দুই মাইল উত্তরে নোঙর করা হয়েছে এমভি আবদুল্লাহ। ২০১০ সালে এই জাহাজটিও ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে ১০০ দিনের মাথায় মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি ছাড়িয়ে আনে কেএসআরএম। এমভি জাহান মণি ইন্দোনেশিয়া থেকে সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, জাহাজটির ড্রাফট (পানির নিচের অংশের জাহাজের গভীরতার পরিমাপ) বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করা হবে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হবে। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে।
নাবিকরা কখন ফিরতে পারবেন জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, জাহাজটিতে নতুন ২৩ জন নাবিক যোগদান করেছেন। তারা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যোগদানের পর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকরা দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা দুপুর নাগাদ সদরঘাটে কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছাবেন।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের এই জাহাজটি ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসাবে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।