রবিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা Logo ফাউন্ডেশন ফর ডাঃ আব্দুল হাই মেধাবৃত্তিতে অংশ নিল ২২৫ শিক্ষার্থী Logo ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত Logo সাতক্ষীরায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল Logo সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস Logo প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত: জাবিসাস Logo হাদি হত্যা ও হামলা-ভাঙচুর; জাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের মাসিক পেনশন ও অন্যান্য ভাতা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

  • আপডেট সময় : ০২:৫৮:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট ২০২০
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শিগগিরই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের মাসিক পেনশন ও অন্যান্য ভাতা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাস থেকে ঢাকায় ও  সারাদেশে ডিসেম্বর থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেনশন পৌঁছে দেবে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিজিএ)। গত দুই মাস ধরে পরীক্ষামূলকভাবে এটি ঢাকায় চালু হয়েছে।

জানা গেছে, এ ব্যবস্থায় পেনশনারের পাওনা একবারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দিয়ে দেয়া হবে। পরে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে পেনশনারের নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে অবসরগ্রহণকারীদের সিজিএ অফিসের ওয়েবসাইট ও হিসারক্ষণ অফিস থেকে সংগৃহীত একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও নিজের ব্যাংক হিসাবের এমআইসিআর চেক বইয়ের উপরিভাগের ফটোকপি ব্যাংকে জমা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ব্যাংক এসব ডকুমেন্ট ডি-হাফ জমা দেয়ার সময় হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে জমা দেবে।

বর্তমানে সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ও তাদের উত্তরাধিকারীরা রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে অবসর সুবিধা পেয়ে থাকেন। অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীরা যেখান থেকে অবসরে যান বা যেখান থেকে পেনশন তুলতে চান সেই জেলা বা উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে পেনশন বই নেন। ওই এলাকার ব্যাংক শাখাগুলোতে পেনশনারদের তালিকা ও পেনশনের পরিমাণ দিয়ে একটি লিস্ট (যাকে ‘ডি-হাফ’ বলা হয়) দেয় হিসাবরক্ষণ অফিস।

পেনশনভোগী ব্যক্তি হিসাবরক্ষণ অফিসে হাজির হয়ে পেনশনের মূল বইয়ে স্বাক্ষর করে ব্যাংকে হাজির হন। ব্যাংক নিজস্ব তহবিল থেকে টাকা দিয়ে দেয়। পরে সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশনসহ পুনর্ভরণ নেয়।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৭ লাখ লোক অবসর সুবিধা গ্রহণ করেন। এ বছর সরকার পেনশন ও গ্রাচ্যুইটি বাবদ বাজেটে ২৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের মাসিক পেনশন ও অন্যান্য ভাতা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

আপডেট সময় : ০২:৫৮:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

শিগগিরই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের মাসিক পেনশন ও অন্যান্য ভাতা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাস থেকে ঢাকায় ও  সারাদেশে ডিসেম্বর থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেনশন পৌঁছে দেবে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিজিএ)। গত দুই মাস ধরে পরীক্ষামূলকভাবে এটি ঢাকায় চালু হয়েছে।

জানা গেছে, এ ব্যবস্থায় পেনশনারের পাওনা একবারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দিয়ে দেয়া হবে। পরে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে পেনশনারের নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে অবসরগ্রহণকারীদের সিজিএ অফিসের ওয়েবসাইট ও হিসারক্ষণ অফিস থেকে সংগৃহীত একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও নিজের ব্যাংক হিসাবের এমআইসিআর চেক বইয়ের উপরিভাগের ফটোকপি ব্যাংকে জমা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ব্যাংক এসব ডকুমেন্ট ডি-হাফ জমা দেয়ার সময় হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে জমা দেবে।

বর্তমানে সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ও তাদের উত্তরাধিকারীরা রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে অবসর সুবিধা পেয়ে থাকেন। অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীরা যেখান থেকে অবসরে যান বা যেখান থেকে পেনশন তুলতে চান সেই জেলা বা উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে পেনশন বই নেন। ওই এলাকার ব্যাংক শাখাগুলোতে পেনশনারদের তালিকা ও পেনশনের পরিমাণ দিয়ে একটি লিস্ট (যাকে ‘ডি-হাফ’ বলা হয়) দেয় হিসাবরক্ষণ অফিস।

পেনশনভোগী ব্যক্তি হিসাবরক্ষণ অফিসে হাজির হয়ে পেনশনের মূল বইয়ে স্বাক্ষর করে ব্যাংকে হাজির হন। ব্যাংক নিজস্ব তহবিল থেকে টাকা দিয়ে দেয়। পরে সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশনসহ পুনর্ভরণ নেয়।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৭ লাখ লোক অবসর সুবিধা গ্রহণ করেন। এ বছর সরকার পেনশন ও গ্রাচ্যুইটি বাবদ বাজেটে ২৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।