শিরোনাম :
Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Logo বিএনপি নেতা ডা. রফিকের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন তারেক রহমান Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বিএনপি : সালাহউদ্দিন আহমদ Logo যবিপ্রবির অভ্যন্তরীণ রাস্তায় খানাখন্দ-জলাবদ্ধতা , নিত্যদিনের সঙ্গী দুর্ভোগ Logo কচুয়ায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উপকরণ পেল দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রীরা Logo ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন Logo সিরাজগঞ্জে গরু চুরির অভিযোগে গণপিটুনি, দুইজন নিহত Logo জুলাই-আগস্ট বিপ্লবই আগামী দিনের পথ নির্দেশিকা: ইবি উপাচার্য

লকডাউন তুলে নেওয়ার সদর হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:১০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

লকডাউন তুলে নেওয়ার চার দিনেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এখন রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। কারো মনে নেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়। হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রচার-প্রচারণা থাকলেও রোগীদের মধ্যে নেই সচেতনতা। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অনেকে আসেছেন চিকিৎসা নিতে এবং চিকিৎসাধীন স্বজনকে দেখতে। যার কারণে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি। করোনা মহামারি মোকাবিলায় সারা দেশে টানা ৬৬ দিনের লকডাউনের পর চলতি মাসের এক তারিখ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে লকডাউন। লকডাউন তুলে নেওয়ার চার দিনেই যেন স্বাভাবিক গতি ফিরে এসেছে সারা দেশসহ চুয়াডাঙ্গাতে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক গতি ফিরে এসেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেও। সামাজিক দূরত্ব না রেখেই রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা চলাচল করছে হাসপাতালের ওয়ার্ডসহ বর্হিবিভাগে। তাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। অনেকেই আবার ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে আসছেন হাসপাতালে।

জানা যায়, মার্চ মাসের ১৬ তারিখ করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ইতালি ফেরত সাব্বির আহম্মেদকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রাখেন। ১৯ মার্চ তাঁর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই হাসপাতালে রোগীদের উপস্থিতি কমতে থাকে। হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অনেক রোগী পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পূর্বেই স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে গেছে। টানা ৬৬ দিনে লকডাউনে হাসপাতালে রোগীর উপস্থিতি ছিল একই রকম। তবে লকডাউন তুলে নেওয়ার চার দিনেই করোনা সংক্রমণের ভয় যেন হারিয়ে গেছে মানুষের মন থেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের বর্হিবিভাগে বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষের সামনে রোগীদের লম্বা লাইন। হাসপাতালের ফ্লু-কর্নারে রোগীদের ভিড় দেখে মনে হয়েছে করোনা নামক ভাইরাসের ভয় এখন আর নেই কারো মনে। চিকিৎসকেরা পিপিই পরিধান করে দূরত্ব বজায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে চলেছে।নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা চার দিনেই যেন পূর্বের স্থানে ফিরে এসেছে।

রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে সচেতনতার অভাব। হাসপাতালে করোনা সচেতনতায় যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা অতি নগণ্য। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা না গেলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ আরও বেশি সংক্রমিত হতে পারে। ফ্লু-কর্নারে চিকিৎসা নিতে আসা মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস পরিহিত নাসিম হোসেন নামের এক রোগীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, হাসপাতালে এসে চমকে গেছি। কারো মনে যেন করোনাভাইরাসের কোনো ভয় নেই। কয়েকজন মাস্ক পরে এলেও নেই হ্যান্ডগ্লাভস। কেউই মানছে না সামাজিক দূরুত্ব, নেই সচেতনতা।

মানুষ সচেতন না হলে ভয়াবহরূপে জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির বলেন, হাসপাতালের রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে হাসপাতালে কাউকে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের গেইটে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ না করতে দেওয়ার জন্য দুজনকে রাখা হয়েছে। ঠাণ্ডা, জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ফ্লু কর্নারে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসবে, তাঁদেরকে চিকিৎসাও দিতে হবে। করোনা সংক্রমণ রোধে হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন

লকডাউন তুলে নেওয়ার সদর হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:১০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

লকডাউন তুলে নেওয়ার চার দিনেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এখন রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। কারো মনে নেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়। হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রচার-প্রচারণা থাকলেও রোগীদের মধ্যে নেই সচেতনতা। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অনেকে আসেছেন চিকিৎসা নিতে এবং চিকিৎসাধীন স্বজনকে দেখতে। যার কারণে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি। করোনা মহামারি মোকাবিলায় সারা দেশে টানা ৬৬ দিনের লকডাউনের পর চলতি মাসের এক তারিখ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে লকডাউন। লকডাউন তুলে নেওয়ার চার দিনেই যেন স্বাভাবিক গতি ফিরে এসেছে সারা দেশসহ চুয়াডাঙ্গাতে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক গতি ফিরে এসেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেও। সামাজিক দূরত্ব না রেখেই রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা চলাচল করছে হাসপাতালের ওয়ার্ডসহ বর্হিবিভাগে। তাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। অনেকেই আবার ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে আসছেন হাসপাতালে।

জানা যায়, মার্চ মাসের ১৬ তারিখ করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ইতালি ফেরত সাব্বির আহম্মেদকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রাখেন। ১৯ মার্চ তাঁর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই হাসপাতালে রোগীদের উপস্থিতি কমতে থাকে। হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অনেক রোগী পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পূর্বেই স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে গেছে। টানা ৬৬ দিনে লকডাউনে হাসপাতালে রোগীর উপস্থিতি ছিল একই রকম। তবে লকডাউন তুলে নেওয়ার চার দিনেই করোনা সংক্রমণের ভয় যেন হারিয়ে গেছে মানুষের মন থেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের বর্হিবিভাগে বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষের সামনে রোগীদের লম্বা লাইন। হাসপাতালের ফ্লু-কর্নারে রোগীদের ভিড় দেখে মনে হয়েছে করোনা নামক ভাইরাসের ভয় এখন আর নেই কারো মনে। চিকিৎসকেরা পিপিই পরিধান করে দূরত্ব বজায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে চলেছে।নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা চার দিনেই যেন পূর্বের স্থানে ফিরে এসেছে।

রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে সচেতনতার অভাব। হাসপাতালে করোনা সচেতনতায় যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা অতি নগণ্য। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা না গেলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ আরও বেশি সংক্রমিত হতে পারে। ফ্লু-কর্নারে চিকিৎসা নিতে আসা মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস পরিহিত নাসিম হোসেন নামের এক রোগীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, হাসপাতালে এসে চমকে গেছি। কারো মনে যেন করোনাভাইরাসের কোনো ভয় নেই। কয়েকজন মাস্ক পরে এলেও নেই হ্যান্ডগ্লাভস। কেউই মানছে না সামাজিক দূরুত্ব, নেই সচেতনতা।

মানুষ সচেতন না হলে ভয়াবহরূপে জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির বলেন, হাসপাতালের রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে হাসপাতালে কাউকে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের গেইটে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ না করতে দেওয়ার জন্য দুজনকে রাখা হয়েছে। ঠাণ্ডা, জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ফ্লু কর্নারে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসবে, তাঁদেরকে চিকিৎসাও দিতে হবে। করোনা সংক্রমণ রোধে হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।