শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

আজ ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:০২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধের বহুল আলোচিত এ জেলায় নেই কোন স্মৃতিস্তম্ভ!
নিউজ ডেস্ক:আজ ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে আজকের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চুয়াডাঙ্গা ছিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গণের প্রধান কার্যালয়।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসে। ওইদিন সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজটি পাকবাহিনী বোমা বিস্ফোরণ করে উড়িয়ে দেয়, যাতে মুক্তিবাহিনী তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে গেলে চুয়াডাঙ্গা স¤পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়ে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ৪৭ বছর। অথচ, মুক্তিযুদ্ধের বহুল আলোচিত চুয়াডাঙ্গায় কোনো স্মৃতিসৌধ নেই। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় শহীদ হাসান চত্বরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও তা অবৈধ স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করে ২০০৪ সালে ভেঙে ফেলা হয়।
আজ চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভার আয়োজনসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বরের শহীদ স্মৃতি ফলকে পতাকা উত্তোলন ও পু®পস্তবক অর্পণ করা হবে। পরে শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্ত দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে একাত্মতা জানিয়ে সকল মুক্তিযোদ্ধাগণ সেখানে অংশগ্রহন করবে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

আজ ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস

আপডেট সময় : ১১:০২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

মুক্তিযুদ্ধের বহুল আলোচিত এ জেলায় নেই কোন স্মৃতিস্তম্ভ!
নিউজ ডেস্ক:আজ ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে আজকের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চুয়াডাঙ্গা ছিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গণের প্রধান কার্যালয়।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসে। ওইদিন সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজটি পাকবাহিনী বোমা বিস্ফোরণ করে উড়িয়ে দেয়, যাতে মুক্তিবাহিনী তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে গেলে চুয়াডাঙ্গা স¤পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়ে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ৪৭ বছর। অথচ, মুক্তিযুদ্ধের বহুল আলোচিত চুয়াডাঙ্গায় কোনো স্মৃতিসৌধ নেই। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় শহীদ হাসান চত্বরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও তা অবৈধ স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করে ২০০৪ সালে ভেঙে ফেলা হয়।
আজ চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভার আয়োজনসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বরের শহীদ স্মৃতি ফলকে পতাকা উত্তোলন ও পু®পস্তবক অর্পণ করা হবে। পরে শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্ত দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে একাত্মতা জানিয়ে সকল মুক্তিযোদ্ধাগণ সেখানে অংশগ্রহন করবে।