শিরোনাম :
Logo সুন্দরগঞ্জে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার Logo চাঁদপুর টেলিভিশনের সাংবাদিকদের সাথে জেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা Logo নারী শিক্ষার্থীদের কটুক্তির প্রতিবাদে ইবি ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন  Logo তারেক রহমান ও টুকুর খালাসে শিয়ালকোলে মিষ্টি বিতরণ Logo জাবির হল সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মানহানি, ছাত্রদলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত কয়রার জনগণ, নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান  Logo জবির দু’টি হলের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর Logo সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে আমাদের নিয়োগের কাজ হচ্ছে: রাবি উপাচার্য Logo পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবি তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ।

জীবননগরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু : ক্ষোভ!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:জীবননগর উপজেলা শহরের একটি ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পর ক্লিনিক মালিক কৌশলে মৃত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতিকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, জীবননগর পৌর এলাকার রাজনগর গ্রামের সাগর হোসেনের স্ত্রী চম্পা খাতুনকে (২০) সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের জন্য সোমবার বিকালে শহরের মহিমা ক্লিনিক এ্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে তাকে অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করানো হয়। অপারেশনের পর রাতে প্রসূতি চম্পা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রসূতি চম্পা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ক্লিনিকের দু’জন কর্মচারির মাধ্যমে চম্পাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মৃত গৃহবধু চম্পার শ্বশুর পাংখী মিয়া বলেন, আমার বউমাকে সোমবার বিকালে ভর্তি করি। আমাদের পক্ষ থেকে কোন অবহেলা ছিল না। কিন্তু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা আর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পরবর্তীতে বউমা চম্পা মারা গেছে। ক্লিনিকেই মারা গেলেও কৌশলে রোগীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে ক্লিনিক মালিক ঘটনা আড়াল করতে চেয়েছিল।
মহিমা ক্লিনিকের অভিযুক্ত ডা. মাহমুদা খাতুন বলেন, প্রসূতি চম্পা খাতুনকে আমিই অপারেশন করেছিলাম। অপারেশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিভিন্ন চিকিৎসক দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করি। তবে চম্পা খাতুনের এ্যাজমা রোগ ছিল যা আমাদের জানা ছিল না। তবে আমি এখন চুয়াডাঙ্গায় আছি। রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা আমাকে কেউ জানায়নি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া বলেন, ঘটনার ব্যাপারে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা আর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষেও অবহেলায় প্রসূতি মারা গেছে মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরগঞ্জে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার

জীবননগরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু : ক্ষোভ!

আপডেট সময় : ১২:২৭:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:জীবননগর উপজেলা শহরের একটি ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পর ক্লিনিক মালিক কৌশলে মৃত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতিকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, জীবননগর পৌর এলাকার রাজনগর গ্রামের সাগর হোসেনের স্ত্রী চম্পা খাতুনকে (২০) সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের জন্য সোমবার বিকালে শহরের মহিমা ক্লিনিক এ্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে তাকে অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করানো হয়। অপারেশনের পর রাতে প্রসূতি চম্পা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রসূতি চম্পা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ক্লিনিকের দু’জন কর্মচারির মাধ্যমে চম্পাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মৃত গৃহবধু চম্পার শ্বশুর পাংখী মিয়া বলেন, আমার বউমাকে সোমবার বিকালে ভর্তি করি। আমাদের পক্ষ থেকে কোন অবহেলা ছিল না। কিন্তু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা আর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পরবর্তীতে বউমা চম্পা মারা গেছে। ক্লিনিকেই মারা গেলেও কৌশলে রোগীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে ক্লিনিক মালিক ঘটনা আড়াল করতে চেয়েছিল।
মহিমা ক্লিনিকের অভিযুক্ত ডা. মাহমুদা খাতুন বলেন, প্রসূতি চম্পা খাতুনকে আমিই অপারেশন করেছিলাম। অপারেশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিভিন্ন চিকিৎসক দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করি। তবে চম্পা খাতুনের এ্যাজমা রোগ ছিল যা আমাদের জানা ছিল না। তবে আমি এখন চুয়াডাঙ্গায় আছি। রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা আমাকে কেউ জানায়নি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া বলেন, ঘটনার ব্যাপারে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা আর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষেও অবহেলায় প্রসূতি মারা গেছে মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।