বুধবার | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর Logo সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীবিকা উন্নয়নে কয়রায় প্রকল্প সভা অনুষ্ঠিত Logo মিথাইল ও বিষাক্ত স্পিরিট অপব্যবহার রোধে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক সভা Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন Logo দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাড়ি ভোগদখল জমিজমা নিমিষেই বেদখল Logo আন্তর্জাতিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ‘এডুরম’ উদ্বোধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল

জীবননগরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু : ক্ষোভ!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:জীবননগর উপজেলা শহরের একটি ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পর ক্লিনিক মালিক কৌশলে মৃত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতিকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, জীবননগর পৌর এলাকার রাজনগর গ্রামের সাগর হোসেনের স্ত্রী চম্পা খাতুনকে (২০) সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের জন্য সোমবার বিকালে শহরের মহিমা ক্লিনিক এ্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে তাকে অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করানো হয়। অপারেশনের পর রাতে প্রসূতি চম্পা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রসূতি চম্পা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ক্লিনিকের দু’জন কর্মচারির মাধ্যমে চম্পাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মৃত গৃহবধু চম্পার শ্বশুর পাংখী মিয়া বলেন, আমার বউমাকে সোমবার বিকালে ভর্তি করি। আমাদের পক্ষ থেকে কোন অবহেলা ছিল না। কিন্তু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা আর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পরবর্তীতে বউমা চম্পা মারা গেছে। ক্লিনিকেই মারা গেলেও কৌশলে রোগীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে ক্লিনিক মালিক ঘটনা আড়াল করতে চেয়েছিল।
মহিমা ক্লিনিকের অভিযুক্ত ডা. মাহমুদা খাতুন বলেন, প্রসূতি চম্পা খাতুনকে আমিই অপারেশন করেছিলাম। অপারেশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিভিন্ন চিকিৎসক দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করি। তবে চম্পা খাতুনের এ্যাজমা রোগ ছিল যা আমাদের জানা ছিল না। তবে আমি এখন চুয়াডাঙ্গায় আছি। রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা আমাকে কেউ জানায়নি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া বলেন, ঘটনার ব্যাপারে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা আর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষেও অবহেলায় প্রসূতি মারা গেছে মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর

জীবননগরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু : ক্ষোভ!

আপডেট সময় : ১২:২৭:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:জীবননগর উপজেলা শহরের একটি ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পর ক্লিনিক মালিক কৌশলে মৃত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতিকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, জীবননগর পৌর এলাকার রাজনগর গ্রামের সাগর হোসেনের স্ত্রী চম্পা খাতুনকে (২০) সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের জন্য সোমবার বিকালে শহরের মহিমা ক্লিনিক এ্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে তাকে অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করানো হয়। অপারেশনের পর রাতে প্রসূতি চম্পা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রসূতি চম্পা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ক্লিনিকের দু’জন কর্মচারির মাধ্যমে চম্পাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মৃত গৃহবধু চম্পার শ্বশুর পাংখী মিয়া বলেন, আমার বউমাকে সোমবার বিকালে ভর্তি করি। আমাদের পক্ষ থেকে কোন অবহেলা ছিল না। কিন্তু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা আর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পরবর্তীতে বউমা চম্পা মারা গেছে। ক্লিনিকেই মারা গেলেও কৌশলে রোগীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে ক্লিনিক মালিক ঘটনা আড়াল করতে চেয়েছিল।
মহিমা ক্লিনিকের অভিযুক্ত ডা. মাহমুদা খাতুন বলেন, প্রসূতি চম্পা খাতুনকে আমিই অপারেশন করেছিলাম। অপারেশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিভিন্ন চিকিৎসক দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করি। তবে চম্পা খাতুনের এ্যাজমা রোগ ছিল যা আমাদের জানা ছিল না। তবে আমি এখন চুয়াডাঙ্গায় আছি। রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা আমাকে কেউ জানায়নি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া বলেন, ঘটনার ব্যাপারে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা আর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষেও অবহেলায় প্রসূতি মারা গেছে মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।